KKR: ধোনির চেন্নাই এক্সপ্রেসে পিষে গেল নাইটরা, বৃথা গেল রয়ের লড়াই! টানা চতুর্থ হার

কেকেআর – ১৮৬/৮
চেন্নাই জয়ী ৪৯ রানে

কলকাতা: চেন্নাইয়ের বিশাল রান তাড়া করে জয় কেকেআরের পক্ষে সম্ভব নয় সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল পাওয়ার প্লের মধ্যেই। জগদীশন এবং সুনীল নারিন ওপেন করতে নেমে আবার ব্যর্থ। ভেঙ্কটেশ ২০ রান করে ফিরে গেলেন মইনের বলে। নীতিশ রানা (২৭) ফিরে গেলেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে। এখান থেকে কিছুটা লড়াই করলেন জেসন রয়।

ফিল্ডিং করার সময় পায়ে চোট পেয়েছিলেন। তাই আজ ওপেন করতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যান। কিন্তু মিডল অর্ডারে নেমে লড়াকু একটা ইনিংস উপহার দিলেন কেকেআর সমর্থকদের। যতক্ষণ ছিলেন কাউন্টার আক্রমণ করে গেলেন চেন্নাই বোলারদের। ২৬ বলে ৬১ করে গেলেন রয়। পাঁচটি বাউন্ডারি এবং পাঁচটি ওভার বাউন্ডারি মারলেন তিনি।

রিঙ্কু কয়েকটা বাউন্ডারি মারলেন। কিন্তু এখান থেকে জয় সম্ভব ছিল না।রাসেল পাঁচ বলে নয় করে আউট হলেন পথিরানার বলে। আবার ব্যর্থ দ্রে রাস। আগের তিন ম্যাচেই হেরেছিলেন নীতীশ রানা। হায়দারাবাদ, মুম্বই এবং দিল্লি হারের হ্যাটট্রিক করেছিল কেকেআর। তাই আজ ঝড়ের মাঠে ইডেনে সুপার সানডেতে শাহরুখ খানের দল জয়ের রাস্তায় ফিরতে পারে কিনা সেটাই দেখার ছিল। লিটন এবং মনদীপের বদলে উইজ়া এবং জগদীশনকে দলে রেখেছিল নাইট রাইডার্স।

টসে জিতে ধোনির দলকে ব্যাটিং করতে পাঠান নীতিশ।দুই ওপেনার কনওয়ে এবং ঋতুরাজ মিলে দুর্ধর্ষ শুরু করেন। ব্যক্তিগত ৩৫ রান করে আউট হলেন ঋতুরাজ। সুযশের বল বুঝতেই পারলেন না। গুগলিতে বোল্ড হয়ে গেলেন। এরপর রাহানেকেও প্রায় এলবি করে দিয়েছিলেন সুয়াশ। আম্পেয়ার কলের জন্য বেঁচে গেলেন। বরুণের বলে ছয় মারতে গিয়ে বাউন্ডারির ধারে উইজ়‌ার হাতে ক্যাচ দিলেন কনওয়ে (৫৬)।

শিবম এবং রাহানে মিলে কেকেআর বোলারদের ধোলাই করা বন্ধ করলেন না। উমেশ, উইজা প্রত্যেকেই মার খেলেন। ইডেনে রাজত্ব করলেন চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা। যেখানে ইচ্ছে সেখানে মারলেন। একমাত্র সুয়াশ ছাড়া কোনও বোলারকে পাল্টা লড়াই দিতে দেখা গেল না। প্রায় ছেলে খেলা করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি মারছিলেন শিবম, রাহানেরা। অধিনায়ক নীতিশ রানাকেও মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল।

যেন বুঝতেই পারছিলেন না কি করবেন। বল পড়ার আগেই উড়ে যাচ্ছিল গ্যালারিতে। ২৪ বলে ৫০ করে ফেললেন রাহানে। অসাধারণ ছন্দে আছেন তিনি। রাহানের এমন ছন্দময় ব্যাটিং চোখের পক্ষে আরামদায়ক। এদিন যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছিলেন রাহানে। তার এই অবতার নতুন করে ভাবতে বাধ্য করতে পারে জাতীয় নির্বাচকদের। শেষ দুটি বলের জন্য নেমেছিলেন ধোনি। দু রান করলেন তিনি। ২৯ বলে ৭১ রানে অপরাজিত রইলেন রাহানে।

শেষ পর্যন্ত একটা হাফ সেঞ্চুরি করলেন রিঙ্কু। কিন্তু তাতে দলের লাভ হল না। ইডেনে নিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সিতে জিতেই মাঠ ছাড়লেন মাহি।সব হলুদ জার্সি যেন আজ নম্বর সাতকে টুপি খুলে স্যালুট জানাল।