কেবল পেঁপে নয়, গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য এই খাবারগুলিও ক্ষতিকর! বলছেন চিকিৎসক

Pregnancy Care Tips: কেবল পাকা পেঁপে নয়, গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্য ‘এই’ খাবারগুলিও ভীষণ ‘ক্ষতিকারক’! বলছেন চিকিৎসক, এক নজরে

হাওড়া: গর্ভাবস্থায় আপনার গর্ভের বাড়ন্ত শিশুকে কীভাবে নিরাপদ রাখবেন? এই সময় কী করবেন আর কী নয়। জেনে নিন চিকিৎসকের পরামর্শ। মাতৃত্ব একজন মায়ের জীবনে অন্যরকম সুখ নিয়ে আসে। একটা মায়ের জীবন ন’মাসের জন্য সম্পূর্ণ বদলে যায়। এই সময়ে মহিলারা বেশ কয়েকটি লক্ষণ এবং উপসর্গ অনুভব করেন। গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে, একজন মহিলা জানেন না যে সে গর্ভবতী। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তার মহিলার শেষ মাসিক চক্রের তারিখ নিশ্চিত করেন এবং গর্ভাবস্থা নিশ্চিত করে। এই সময় একজন হবু মা এবং সন্তান কীভাবে সুস্থ থাকবেন, সে বিষয়ে শুনে নেব চিকিৎসক সুমন বক্সীর পরামর্শ।

গর্ভাবস্থার প্রথম ৩ মাসে খাদ্য তালিকায় ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিংক, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার রাখতে হবে। এসব পুষ্টি উপাদান আপনার ভ্রূণের বৃদ্ধি ও বিকাশে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি রোধে সহায়তা করে।

গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকতে কী খাবেন সেটা জানার পাশাপাশি কী খাবেন না সেটা জানাও জরুরি। এই সময়ে অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার যেমন চা বা কফি কম খেতে হবে। কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন জাতীয় খাবার গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

আরও পড়ুন: POLICE শব্দটা যে সংক্ষিপ্ত রূপ, তা জানতেন? পুলিশ-এর এক মস্ত ফুলফর্ম আছে, যার সম্পর্কে ধারণাই নেই ৯৯ শতাংশের!

এই সময় সামুদ্রিক মাছ কম খাওয়া উচিত। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্রুণের মস্তিষ্কের বিকাশে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

এই সময় আধা সেদ্ধ ডিম বা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। ডিম ও মাংসে সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়া, লিস্টেরিয়া, ইত্যাদি থাকতে পারে যা গর্ভাবস্থার প্রাথমিক দিকে গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন ভালভাবে রান্না করে খাবেন।

আনারস, পেঁপে খাওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে। আনারসে ব্রোমেলেইন নামের যৌগ গর্ভের ক্ষতি করতে পারে। পাকা পেঁপেতে থাকা ল্যাটেক্স মায়েদের জন্য ক্ষতিকারক।

গর্ভাবস্থায় মহিলার সামনে কোনও ভাবেই ধূমপান করা উচিত নয়, এতে শিশুর শরীরের কোষ গঠনে সমস্যা হতে পারে। এই সময় দিনে আধ ঘণ্টা হালকা ব্যায়াম, যোগা না করলে ওজন বেড়ে ডায়াবিটিস বা হাই প্রেশার হতে পারে। মানসিক চাপ কমাতে, রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে, প্রসবের জন্য শরীরকে প্রস্তুত করতেও ব্যায়ামের জুড়ি নেই। তা বলে খুব ভারী কাজ, পরিশ্রমের কাজ করবেন না। কিন্তু শরীরকে নানাভাবে সচল রাখতে হবে।মিষ্টি, ভাজাভুজি, মশলাদার খাবার কম খেতে হবে, কারণ এতে ওজন বেড়ে যেতে পারে। হতে পারে অপুষ্টিও। কাজেই ব্যালান্স করে চলতে হবে।

রাকেশ মাইতি