The Lyre Bird: মানুষের গলা থেকে অ্যালার্ম! হুবহু নকল করে, বিশ্বের সবচেয়ে ওস্তাদ হরবোলা এই পাখি

লায়ারবার্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনুকরণকারী বা মিমিক পাখি বললে ভুল হবে না, কারণ এটি কণ্ঠস্বর ও ধ্বনি অনুকরণে বিশেষ পারদর্শী। এই পাখি কি কি শব্দ নকল করতে পারে? অনেকেরই ধারণা নেই এই সম্পর্কে, তাই অনেকেই হয়তো জেনে অবাক হবেন যে এই পাখি মানুষের কণ্ঠস্বর থেকে গাড়ির অ্যালার্ম এবং এমনকি কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দও নকল করতে পারে। এই পাখির কণ্ঠস্বর শুনে কেউ অবাক হয়নি এমন মানুষ নেই।

Britannica.com-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, লায়ারবার্ড হল আকারে বড় ধরনের পাখি, তবে এর ডানা ছোট এবং পা শক্ত। এটি সাধারণত স্থলে বসবাসকারী পাখি। এদের শরীর দেখতে অনেকটা মুরগির মতো। এই পাখিগুলি আকাশে উড়তে তেমন পারদর্শী নয়। এদের বাস দক্ষিণ-পূর্ব অস্ট্রেলিয়ায়। তবে লায়ারবার্ড দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই সমান ভাবে এটি ভাল অনুকরণকারী পাখি হিসেবেও পরিচিত। ন্যাট জিও ওয়াইল্ডের ইউটিউবে শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এই পাখিটি কী কী ধরনের শব্দ অনুসরণ করতে পারে।

এই পাখিটিকে সাধারণত খুব কমই দেখা যায়, কারণ এটি প্রায়শই রেইন ফরেস্টের গভীরে বিচরণ করে।

Australian.museum-এর রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে যে, পুরুষ লায়ারবার্ডের একটি অনন্য সুন্দর লেজ রয়েছে, এর মধ্যে আট জোড়া পালক রয়েছে, যা দাঁড়িয়ে পড়লে লায়ারের মতো দেখায়। কখনও কখনও এই পাখিরা তাদের লেজের এই বিশেষ পালকগুলি এমন ভাবে নাড়ায় যেন তারা নাচছে।

এই পাখির রঙ কী?

এই পাখি লেজ সহ মোট ৮০-১০০ সেমির মতো লম্বা হতে পারে। পুরুষ ও স্ত্রী উভয়েরই শরীরের উপরের অংশে বাদামি পালক থাকে। এদের ঘাড়ে হালকা বাদামি এবং লাল চিহ্ন রয়েছে। এদের লেজের পালক উপর থেকে গাঢ় বাদামি এবং নিচে রুপোলি-ধূসর রঙের দেখায়। একই সঙ্গে এদের ঠোঁট, পা ও পায়ের পাতার রঙ কালো।

আরও পড়ুন: মহাকাশ থেকে ভারতকে কী অপূর্বই না লাগে! কোন শহরই বা সবথেকে ঝলমলে, দেখে নিন ছবি

আরও পড়ুন: ?R? দিয়ে নামের মানুষেরা আসলে ঠিক কেমন হয়? দোষ আর গুণই বা কী কী? সবটা জেনে নিন

লায়ারবার্ড যে শব্দগুলি অনুকরণ করতে পারে তা জানলে অনেকেই চমকে যাবেন। এই পাখিগুলি গাড়ির ইঞ্জিন, গাড়ির অ্যালার্ম, কুকুরের ঘেউ ঘেউ ডাক, যে কোনও গানের সুর, রিংটোন, হুইসল, ফায়ার অ্যালার্ম, রাইফেল শট, ক্যামেরা শাটার, শিশুর কান্নার শব্দ এবং মানুষের কণ্ঠের অনুকরণ করতে ওস্তাদ।

=