লাইফস্টাইল Knowledge Story: ফলের ‘রানি’ কে বলুন তো দেখি…? মাথা চুলকাচ্ছেন? ‘নাম’ শুনলে আকাশ থেকে পড়বেন, গ্যারান্টি! Gallery September 19, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান যেমন আমাদের নানা দেশ বিদেশের তথ্য দিয়ে সমৃদ্ধ করে, তেমনই আবার এই জ্ঞান আমাদের নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার চটজলদি প্রশ্নের উত্তরের ভান্ডার হিসেবেও কাজ করে সময়ে বিশেষে। এই জ্ঞানের পরিধিতে যেমন থাকে নানা দেশ বিদেশ ও জ্ঞান বিজ্ঞান থেকে ইতিহাসের আজব তথ্য, তেমনই আবার থাকে সেই সমস্যা জ্ঞান যা দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের ঋদ্ধ করে। আজ ফল নিয়ে তেমনই মজাদার একটি তথ্য শেয়ার করছি এই প্রতিবেদনে। পুষ্টির অপর নাম ফল। ফল খাওয়া যে স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল, সেটা আমরা সকলেই জানি! প্রতিদিন ব্রেকফাস্টের পরে ফল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ফলের আলোচনা উত্থাপন হলে আমের কথা না বললেই নয়! কারণ আম হল ফলের রাজা! আমকে ফলের রাজা বলা হয় এর অসাধারণ জনপ্রিয়তা ও অতুলনীয় স্বাদের জন্য। কারণ এই ফলটি নিঃসন্দেহে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রিয়। মিষ্টি রসালো আম ভালোবাসেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। ফলের একজন রাজা থাকলে অবশ্যই ফলের রানিও থাকবে, তাই না? আর সেই রানি কে? সমাজ মাধ্যমে এই প্রশ্ন ট্রেন্ড করতেই সবার মাথায় হাত। কেউ বলছেন কাঁঠাল তো কেউ তরমুজ কেউ বা ভাবছেন পুষ্টিতে ভরপুর আপেল হল ফলের রানি। কিন্তু এখানেই ‘গল্পে ট্যুইস্ট’। এই সব ফলের কোনওটিকেই নাকি ফলের রানি হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয় না। গোটা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় ফলের রানি নাম বিখ্যাত যেই ফল তার নাম শুনলে আপনিও আকাশ থেকে পড়বেন। আসলে ফলের রানি হল ‘ম্যাঙ্গোস্টিন’। চলুন মজার ছলে জেনে নেওয়া যাক বিশেষ এই সাধারণ জ্ঞান, যা অনেকেরই অজানা। জেনে নেওয়া যাক কেন এই ফল এত বিখ্যাত আর কী তার বিশেষত্ব ও গুণাগুণ। জানলে অবাক হবেন যে এই ম্যাঙ্গোস্টিন গাছগুলি ১০০ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত লম্বা হতে পারে এবং শুধুমাত্র ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বৃদ্ধি পায়। এই ফলের বৈজ্ঞানিক নাম Garcinia mangostana। গাছে ফল আসতে গাছটি সাত থেকে নয় বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে এবং সেরা ফসলের জন্য আপনাকে দশ থেকে বিশ বছর অপেক্ষা করতে হবে। এই ‘ম্যাঙ্গোস্টিন’ (গাব জাতীয় ফল) ফলটিকে ফলের রানি নাম আখ্যা দিয়েছেন আমেরিকান প্ল্যান্ট এক্সপ্লোরার এবং উদ্ভিদবিদ ডেভিড ফেয়ারচাইল্ড। লেখক তাঁর বই এক্সপ্লোরিং ফর প্ল্যান্টস-এ ১৯০৩ সালে এই আখ্যা দিয়েছিলেন ম্যাঙ্গোস্টিনকে। রিপোর্ট অনুসারে, ম্যাঙ্গোস্টিন ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন, যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে এবং বার্ধক্য প্রক্রিয়া ধীর করতে পারে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি সাধারণ ঠান্ডা এবং ফ্লুর মতো অসুস্থতা থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এবং ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে বলে মনে করেন বিজ্ঞানীরা। এমনই অমূল্য গুণের আধার এই ফল। প্রসঙ্গত, ম্যাঙ্গোস্টিন থাইল্যান্ডের জাতীয় ফল, এবং এর বাইরের স্তরটি বেগুনি রঙের হয় আর ভিতরের অংশটি একটু সাদাটে হয় যা বীজ-সহ দু-ভাগে বিভক্ত থাকে। এই ফলটি ভারতে বিভিন্ন নামে পরিচিত, যেমন হিন্দিতে ‘মাঙ্গুস্তান’, মালায়ালামে ‘কাট্টাম্পি’, মারাঠিতে ‘কোকাম’, কন্নড় ভাষায় ‘হান্নু’ এবং বাংলায় ‘বাও’। ম্যাঙ্গোস্টিন ছিলেন ব্রিটেনের রানি ভিক্টোরিয়ার প্রিয়। প্রতিবেদনে বলা হয় যে রানি তাকে ১০০ পাউন্ড স্টার্লিং পুরষ্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আবার এ কথাও বলা হয়ে থাকে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই ফল নিষিদ্ধ করে কারণ রিপোর্টে বলা হয় এটি এশিয়ান মাছি বৃদ্ধির একটি প্রধান কারণ। তবে ২০০৭ সালে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও করা হয়। অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। সামাজিক মাধ্যম ও নানা ওয়েবসাইটের পাওয়া তথ্য থেকে এই জ্ঞান নেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।