তিন চাকার সাইকেল

Knowledge Story: সাইকেল নিয়ে যখন ইচ্ছে এখান-সেখানে যাচ্ছেন, জানেন কী কবে বাংলায় এল সাইকেল, কলকাতায় নয়-তবে কোথায় এসেছিল এই যান

সাইকেল মোটামুটি আমাদের সকলের বাড়িতেই এক আধটি রয়েছে, তবে কি জানেন এই সাইকেল প্রথম কবে বাংলায় এসেছিল? কেইবা এই সাইকেল প্রথম আনিয়েছিলেন? সেই সময় সাইকেল হত তিন চাকার!ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ
সাইকেল মোটামুটি আমাদের সকলের বাড়িতেই এক আধটি রয়েছে, তবে কি জানেন এই সাইকেল প্রথম কবে বাংলায় এসেছিল? কেইবা এই সাইকেল প্রথম আনিয়েছিলেন? সেই সময় সাইকেল হত তিন চাকার!ছবি ও তথ্য: মৈনাক দেবনাথ
সম্ভবত কলকাতার রাস্তায় প্রথম সাইকেল এসেছিল ১৮৬৭ থেকে ৬৮ সাল নাগাদ। অবশ্য সেটি চিরাচরিত সাইকেল ছিল না। অর্থাৎ আমরা সাধারণত যেরকম সাইকেল হিসেবে পরিচিত সেটি সেই রকম দেখতে ছিল না।
সম্ভবত কলকাতার রাস্তায় প্রথম সাইকেল এসেছিল ১৮৬৭ থেকে ৬৮ সাল নাগাদ। অবশ্য সেটি চিরাচরিত সাইকেল ছিল না। অর্থাৎ আমরা সাধারণত যেরকম সাইকেল হিসেবে পরিচিত সেটি সেই রকম দেখতে ছিল না।
সেটি ছিল সাইকেলের পূর্বপুরুষ, যাকে বলা হয় ভেলোসিপিড। দুই বা তিন চাকা ওয়ালা সেই ভেলোসিপিডে চাকা ঘোরানোর জন্য কোনও চেন বা প্যাডেল থাকত না। তাতে চেপে আরোহীকে পা দিয়ে ঠেলে ঠেলে এগোতে হত।
সেটি ছিল সাইকেলের পূর্বপুরুষ, যাকে বলা হয় ভেলোসিপিড। দুই বা তিন চাকা ওয়ালা সেই ভেলোসিপিডে চাকা ঘোরানোর জন্য কোনও চেন বা প্যাডেল থাকত না। তাতে চেপে আরোহীকে পা দিয়ে ঠেলে ঠেলে এগোতে হত।
সম্ভবত ১৮৬৭ - ৬৮ সাল নাগাদ প্রথম সেই তিন চাকা ওয়ালা ভেলোসিপিড আমদানি করিয়েছিলেন বর্ধমানের মহারাজা। তার কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য প্যাডেল বলা সাইকেল চলে আসে কলকাতার রাস্তায়। তবে সেইগুলো অনেক ক্ষেত্রে তিন চাকারই হত।
সম্ভবত ১৮৬৭ – ৬৮ সাল নাগাদ প্রথম সেই তিন চাকা ওয়ালা ভেলোসিপিড আমদানি করিয়েছিলেন বর্ধমানের মহারাজা। তার কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য প্যাডেল বলা সাইকেল চলে আসে কলকাতার রাস্তায়। তবে সেইগুলো অনেক ক্ষেত্রে তিন চাকারই হত।
এই সাইকেল নিয়ে ১৮৭০ সালে সুলভ সমাচার নামক একটি পত্রিকায় একটি লেখা বেরিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল
এই সাইকেল নিয়ে ১৮৭০ সালে সুলভ সমাচার নামক একটি পত্রিকায় একটি লেখা বেরিয়েছিল। তাতে লেখা ছিল “কলিকাতায় অনেকে দেখিয়া থাকিবেন তিন চাকার একরকম গাড়ি আছে তাহা ঘোড়ায় টানে না, যিনি চড়েন তাহাকেই দুই পা দিয়া চাপ দিতে হয়, আর গাড়িখানি ঘোড়ার গাড়ি অপেক্ষাও দৌড়াইয়া চলিয়া যায়।”
এরপরেই ধীরে ধীরে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে সাইকেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি দুই চাকার যানবাহন হয়ে থাকে। যা পরবর্তী কাল বর্তমানে আমাদের ঘরে ঘরে বিদ্যমান।
এরপরেই ধীরে ধীরে সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে সাইকেল অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি দুই চাকার যানবাহন হয়ে থাকে। যা পরবর্তী কাল বর্তমানে আমাদের ঘরে ঘরে বিদ্যমান।