পাঁচমিশালি Knowledge Story: জানেন কোন দেশে বাস করেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষেরা? নামটা জানলে মাথা ঘুরে যাবে! Gallery October 27, 2024 Bangla Digital Desk নাউরু, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপটি আয়তনে ওই এলাকার ক্ষুদ্রতম দ্বীপরাষ্ট্র। এখানকার জনসংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। এই দেশের আরও একটি অদ্ভুত পরিচয় রয়েছে। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের মাইক্রোনেশিয়া অঞ্চলের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র নাউরু। নাউরু বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দ্বীপরাষ্ট্র। এই দেশের ক্ষেত্রফল মাত্র ২১ বর্গ কিলোমিটার। কলকাতার ক্ষেত্রফল প্রায় ২০৬ বর্গ কিলোমিটার। সেই নিরিখে কলকাতার ১০ ভাগের ১ ভাগ এই দ্বীপরাষ্ট্র। এর পাশাপাশি এটি বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্বাধীন প্রজাতন্ত্র। এই দেশের কোনও রাজধানী নেই। আয়তনে দ্বীপটি যতই ছোট হোক না কেন, এখানকার বাসিন্দারা আড়েবহরে বেশ চওড়া। কারণ বিশ্বের সবচেয়ে স্থূল মানুষেরা বাস করেন এই দ্বীপে। দ্বীপের বাসিন্দাদের প্রত্যেকের গড় বিএমআই ৩৪-৩৫ ১৮.৫ থেকে ২৪.৯- এর মধ্যে বিএমআই আদর্শ বলে বিবেচিত। যাঁদের বিএমআই ২৫ থেকে ২৯.৯, তাঁদের ওজন বেশি এবং ৩০-এর উপরে বিএমআই স্থূলতার লক্ষণ। এই হিসাব ধরলে নাউরুর বাসিন্দারা প্রায় প্রত্যেকেই স্থূলতায় ভুগছেন। এখানকার বাসিন্দাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় খাবার হল মুরগি ভাজা এবং কোলা জাতীয় পানীয়। বেশির ভাগ অধিবাসী ইনস্ট্যান্ট নুডলস, সোডা জাতীয় পানীয় এবং টিনজাত খাবার খেতেই অভ্যস্ত। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সামুদ্রিক পাখিদের মুক্তাঞ্চল ছিল প্রশান্ত মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত এই নাউরু। তাদের ফেলে যাওয়া বর্জ্য কয়েক লাখ বছর ধরে জমতে জমতে উৎকৃষ্ট মানের ফসফেটের টিলায় পরিণত হয়। পরবর্তী কালে এই ফসফেটের টিলা নাউরুর জন্য আশীর্বাদ বলে চিহ্নিত হয়। ১৯৭৫ সালে নাউরুর জনগণের মাথাপিছু আয় এত বেশি ছিল যে, তাদের থেকে একমাত্র ধনী রাষ্ট্র ছিল কুয়েত। নাউরুকে তখন বলা হত ‘প্রশান্ত মহাসাগরের কুয়েত’। তেলের রাজ্য কুয়েতের মতোই ফসফেট থেকে বিপুল আয় করতে থাকে নাউরু। ৭০-এর দশকের মাঝামাঝি নাউরুতে স্থূলতার সমস্যা বাড়তে শুরু করে। বাসিন্দাদের মধ্যে অত্যধিক হারে বাড়তে থাকে ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা এবং হৃদ্রোগের প্রকোপ। এই সব রোগ প্রধানত স্থূলতার কারণে ঘটে। নাউরুর ৯৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৯৩ শতাংশ নারী স্থূলতার শিকার। মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ নাগরিকের রয়েছে টাইপ-২ ডায়াবেটিস। নাউরুর আয়তন এত ছোট যে পুরো দ্বীপ জুড়েই রয়েছে বিমানবন্দরের রানওয়ে। ২০০৫ সাল পর্যন্ত এখানে জেট বিমান অবতরণ করত।