সুড়সুড়ি হল বা কাতুকুতু, আমাদের সবারই পরিচিত এই শারীরিক ক্রিয়া। আমরা প্রায়ই অন্যের হাতে, পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে থাকি। কখনও কাউকে হাসাতে তো কখনও বা ঘুম ভাঙাতে, সুড়সুড়ির জুড়ি মেলা ভার। আর কেউ রাগ করে গোমড়া মুখে বসে থাকলে এই কাতুকুতু বা সুড়সুড়ি জাস্ট অব্যর্থ দাওয়াই। মুহূর্তে ভ্যানিশ রাগরাগ মুখ। নিমেষে গোমড়ামুখো হাসতে হাসতে খুন।

বলুন তো নিজেকে নিজে ‘সুড়সুড়ি’ দেওয়া যায় না কেন…? শুনেই মাথা চুলকাচ্ছেন ৯৯% মানুষ! আপনি জানুন ‘আসল’ কারণ

সুড়সুড়ি হল বা কাতুকুতু, আমাদের সবারই পরিচিত এই শারীরিক ক্রিয়া। আমরা প্রায়ই অন্যের হাতে, পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে থাকি। কখনও কাউকে হাসাতে তো কখনও বা ঘুম ভাঙাতে, সুড়সুড়ির জুড়ি মেলা ভার। আর কেউ রাগ করে গোমড়া মুখে বসে থাকলে এই কাতুকুতু বা সুড়সুড়ি জাস্ট অব্যর্থ দাওয়াই। মুহূর্তে ভ্যানিশ রাগরাগ মুখ। নিমেষে গোমড়ামুখো হাসতে হাসতে খুন।
সুড়সুড়ি হল বা কাতুকুতু, আমাদের সবারই পরিচিত এই শারীরিক ক্রিয়া। আমরা প্রায়ই অন্যের হাতে, পায়ে সুড়সুড়ি দিয়ে থাকি। কখনও কাউকে হাসাতে তো কখনও বা ঘুম ভাঙাতে, সুড়সুড়ির জুড়ি মেলা ভার। আর কেউ রাগ করে গোমড়া মুখে বসে থাকলে এই কাতুকুতু বা সুড়সুড়ি জাস্ট অব্যর্থ দাওয়াই। মুহূর্তে ভ্যানিশ রাগরাগ মুখ। নিমেষে গোমড়ামুখো হাসতে হাসতে খুন।
দেখা যায় প্রায় প্রতিটি মানুষের শরীরের কোনও না কোনও অংশে সুড়সুড়ির অনুভূতি রয়েছে। এসব জায়গায় অন্য কেউ স্পর্শ করলে সুড়সুড়ি লাগে। আর তৎক্ষণাৎ মানুষটি হাসিতে ফেটে পড়ে। তবে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে কই তেমন আরাম তো লাগে না?
দেখা যায় প্রায় প্রতিটি মানুষের শরীরের কোনও না কোনও অংশে সুড়সুড়ির অনুভূতি রয়েছে। এসব জায়গায় অন্য কেউ স্পর্শ করলে সুড়সুড়ি লাগে। আর তৎক্ষণাৎ মানুষটি হাসিতে ফেটে পড়ে। তবে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে কই তেমন আরাম তো লাগে না?
কী বলছে বিজ্ঞান, আসল কারণ কী? এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, যখন কোনও ব্যক্তিকে সুড়সুড়ি দেওয়া হয় তখন মানুষ প্রকৃতপক্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এটি মাকড়সার মতো ছোট পোকামাকড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
কী বলছে বিজ্ঞান, আসল কারণ কী? 
এক্ষেত্রে বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন, যখন কোনও ব্যক্তিকে সুড়সুড়ি দেওয়া হয় তখন মানুষ প্রকৃতপক্ষে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এটি মাকড়সার মতো ছোট পোকামাকড় থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
পোকামাকড় গায়ে উঠলে পুরো শরীরে একটি ঠান্ডা শিরশিরে ভাব অনুভূত হয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় শরীরের ওপরে কোনও কিছু রয়েছে। সেই একই সুড়সুড়ির অনুভূতি মানুষের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
পোকামাকড় গায়ে উঠলে পুরো শরীরে একটি ঠান্ডা শিরশিরে ভাব অনুভূত হয়। এর মাধ্যমে বোঝা যায় শরীরের ওপরে কোনও কিছু রয়েছে। সেই একই সুড়সুড়ির অনুভূতি মানুষের ভেতরে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
তাই অন্য কোনও ব্যক্তি শরীরের বিশেষ অংশে সুড়সুড়ি দিলে এর প্রতিক্রিয়ায় মানুষ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। কিন্তু নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে হাসি পায় না কেন?
তাই অন্য কোনও ব্যক্তি শরীরের বিশেষ অংশে সুড়সুড়ি দিলে এর প্রতিক্রিয়ায় মানুষ অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। কিন্তু নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে হাসি পায় না কেন?
নিজেকে সুড়সুড়ি দিতে না পারার কারণ হল-আপনি যখন নিজের শরীরের কোনও অংশ স্পর্শ করেন তখন মস্তিষ্কের একটি অংশ এই নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে এবং এই সংবেদ যে ঘটবে তা আগে থেকেই অনুমান করতে পারে।
নিজেকে সুড়সুড়ি দিতে না পারার কারণ হল-আপনি যখন নিজের শরীরের কোনও অংশ স্পর্শ করেন তখন মস্তিষ্কের একটি অংশ এই নড়াচড়া পর্যবেক্ষণ করে এবং এই সংবেদ যে ঘটবে তা আগে থেকেই অনুমান করতে পারে।
এই কারণে হাঁটার সময় হাতের সঙ্গে শরীরের স্পর্শ হলেও তা আলাদা করে মানুষ অনুভব করে না। আবার একইভাবে অন্য কেউ আপনাকে স্পর্শ করলেই আপনি কিন্তু তৎক্ষণাৎ চমকে উঠবেন।
এই কারণে হাঁটার সময় হাতের সঙ্গে শরীরের স্পর্শ হলেও তা আলাদা করে মানুষ অনুভব করে না। আবার একইভাবে অন্য কেউ আপনাকে স্পর্শ করলেই আপনি কিন্তু তৎক্ষণাৎ চমকে উঠবেন।
মানুষের মস্তিষ্ক শরীরের গতিবিধি ও তা থেকে তৈরি সংবেদগুলিকে যদি পর্যবেক্ষণ না করে তাহলে মানুষ ক্রমাগত স্পর্শ, খোঁচার অনুভূতি পেত! ফলে অন্য কোনও কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ত।
মানুষের মস্তিষ্ক শরীরের গতিবিধি ও তা থেকে তৈরি সংবেদগুলিকে যদি পর্যবেক্ষণ না করে তাহলে মানুষ ক্রমাগত স্পর্শ, খোঁচার অনুভূতি পেত! ফলে অন্য কোনও কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ত।
নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়া এর অন্যতম উদাহরণ। আপনি নিজেকে নিজে স্পর্শ করছেন তা মস্তিষ্ক আগেই বুঝতে পেরে যাচ্ছে। তাই সতর্ক থাকে। এবং স্বভাবতই তখন মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান থেকে নিষ্ক্রিয় থাকে।
নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়া এর অন্যতম উদাহরণ। আপনি নিজেকে নিজে স্পর্শ করছেন তা মস্তিষ্ক আগেই বুঝতে পেরে যাচ্ছে। তাই সতর্ক থাকে। এবং স্বভাবতই তখন মস্তিষ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান থেকে নিষ্ক্রিয় থাকে।
নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে ও অন্যজনে সুড়সুড়ির দিলে মস্তিষ্ক কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা তুলনা করতেই জন্য মস্তিষ্কের ইমেজিং শুরু করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা।
নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে ও অন্যজনে সুড়সুড়ির দিলে মস্তিষ্ক কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায় তা তুলনা করতেই জন্য মস্তিষ্কের ইমেজিং শুরু করেন যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানীরা।
শরীরে সংবেদ সৃষ্টির জন্য দায়ী মস্তিষ্কের অংশকে সোমাটোসেন্সরি করটেক্স বলা হয়। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষায় দেখতে পান, অন্যের সুড়সুড়ির তুলনায় নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে এই অংশ কম প্রতিক্রিয়া দেখায়।
শরীরে সংবেদ সৃষ্টির জন্য দায়ী মস্তিষ্কের অংশকে সোমাটোসেন্সরি করটেক্স বলা হয়। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষায় দেখতে পান, অন্যের সুড়সুড়ির তুলনায় নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দিলে এই অংশ কম প্রতিক্রিয়া দেখায়।
বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে আরও দেখা যায়, মস্তিষ্কের সেরিবেলাম (মস্তিষ্কের যে অংশ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে ও ভারসাম্য বজায় রাখে) শরীরের গতিবিধিগুলি পর্যবেক্ষণ করে ও নিজেকে নিজে স্পর্শ করলে যে সংবেদ উৎপন্ন হয় তা দমন করার জন্য সংকেত পাঠায়।
বিজ্ঞানীদের পর্যবেক্ষণে আরও দেখা যায়, মস্তিষ্কের সেরিবেলাম (মস্তিষ্কের যে অংশ গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে ও ভারসাম্য বজায় রাখে) শরীরের গতিবিধিগুলি পর্যবেক্ষণ করে ও নিজেকে নিজে স্পর্শ করলে যে সংবেদ উৎপন্ন হয় তা দমন করার জন্য সংকেত পাঠায়।
এক্ষেত্রে মস্তিষ্ককে বোকা বানিয়ে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দেওয়া যায় কি না সে চেষ্টাও করেন বিজ্ঞানীরা। তারা একটি সুড়সুড়ি দেওয়া মেশিন তৈরি করেন। এই মেশিনের সাহায্যে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী একটি লিভার টেনে নিজেদের সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দেওয়া যায়।
এক্ষেত্রে মস্তিষ্ককে বোকা বানিয়ে নিজেকে নিজে সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দেওয়া যায় কি না সে চেষ্টাও করেন বিজ্ঞানীরা। তারা একটি সুড়সুড়ি দেওয়া মেশিন তৈরি করেন। এই মেশিনের সাহায্যে গবেষণায় অংশগ্রহণকারী একটি লিভার টেনে নিজেদের সুড়সুড়ি দেওয়ার অনুভূতি দেওয়া যায়।
গবেষকেরা দেখেন, লিভার টানার মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সুড়সুড়ির অনুভূতি বাড়ানো যায়। অংশগ্রহণকারীর লিভার টান দেওয়া ও মেশিনের সুড়সুড়ি দেওয়ার মধ্যে এক সেকেন্ডের কম সময় ব্যবধান রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে বোকা বানানো কিছুটা হলেও সম্ভব।
গবেষকেরা দেখেন, লিভার টানার মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সুড়সুড়ির অনুভূতি বাড়ানো যায়। অংশগ্রহণকারীর লিভার টান দেওয়া ও মেশিনের সুড়সুড়ি দেওয়ার মধ্যে এক সেকেন্ডের কম সময় ব্যবধান রাখার মাধ্যমে মস্তিষ্ককে বোকা বানানো কিছুটা হলেও সম্ভব।