বাসে সবচেয়ে নিরাপদ আসন আপনি যদি বাসে ভ্রমণ করেন তবে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর সিট নেওয়ার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ মাঝখানের টায়ারের উপরে যে আসন।

Kolkata Bus: রাস্তায় কম বেসরকারি বাস, ভোগান্তি আরও বাড়বে? লাখো মানুষের জন্য বিরাট খবর

কলকাতা: গত এপ্রিল মাসে ভোটের কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বেসরকারি বাস, মিনিবাস নিতে শুরু করেছিল নির্বাচন কমিশন। গত শনিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া জেলায় লোকসভা নির্বাচন হয়। সেই জন্য বেশ কিছু বাস তুলে নেওয়া হয়েছিল। আবার শেষ দফায় ভোট কলকাতা-সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার আসনগুলিতেগুলিতে। তাই গত ২৭ ও ২৮ তারিখ থেকে কলকাতা শহর ও শহরতলির মধ্যে চলাচল করা বাস, মিনিবাসের ৯০ শতাংশ পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে বলেই খবর।

পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, শেষ দফার ভোটের জন্য নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজার স্থানীয় থানা ও মোটর ভেহিকেলস বিভাগ বাস নিচ্ছে। তাই গত কয়েকদিন ধরে রাস্তায় বেসরকারি বাস কম সংখ্যাতেই পাওয়া যাচ্ছে। এই সময় যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে বলে অভিযোগ। কারণ, এই ৯০ শতাংশ বাস রাস্তা থেকে তুলে নেওয়া হলে তার বিকল্প পরিবহণের বন্দোবস্ত করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছে বাসমালিক সংগঠনগুলি। ৪ জুন ভোটগণনা।

আরও পড়ুন: ‘করিডর’ বাংলার ‘এই’ জায়গা, মালদহ থেকে যা উদ্ধার করল পুলিশ, চক্ষু চড়কগাছ সকলের

তাই পয়লা জুন শেষ পর্বের ভোট হয়ে গেলেও সব গাড়ি যে বাসমালিকদের কাছে ফিরে আসবে, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই বলেই জানাচ্ছে কলকাতা পুলিশের একটি সূত্র। কারণ, ভোটগণনার আগে ভোটকর্মীদের জন্য পরিবহণের বন্দোবস্ত করতেও বিরাট আয়োজন করতে হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে। এমতাবস্থায় কলকাতা শহর ও শহরতলিতে আগামী কয়েক দিন যানবাহনের আকাল থাকবে বলেই মনে করছে পরিবহণ সংগঠনগুলি। এ ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের কিছু করার নেই বলেই জানা যাচ্ছে।

জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, একদিকে গত ২৭ মে থেকে কলকাতা সহ বেশকিছু জেলায় ঝড় বৃষ্টিতে বাস ঠিকমতো রাস্তায় নামতে পারেনি।  শ্রমিকরা আগের দিন ঘরবাড়ি বাঁচাতে ও পরিবারের পাশে থাকতে আগেরদিন বাড়ি চলে গিয়েছে, তার উপর ১ জুন শেষ নির্বাচন, নির্বাচনে পুলিশ ও নির্বাচন দফতর ২৯ মে বাস/ মিনিবাস দখল নিতে শুরু করেছিল, এই উভয় চাপে আগামী ২ জুন পর্যন্ত মানুষের অসুবিধা হবে এবং রাস্তায় বাস অন্য দিনের তুলনায় অনেক কম থাকবে।              ‌