কলকাতা মেট্রো

Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রোর সমস্ত করিডোরে সি বি টি সি সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু হবে

কলকাতাঃ কলকাতা শহরের জীবনরেখা  কলকাতা মেট্রো। ১৯৮৪ সালে যাত্রা শুরু করে বিগত প্রায় ৪০ বছরে কলকাতা মেট্রোর বিস্তার হয়েছে অনেক , ছুঁয়ে গেছে লক্ষ  লক্ষ মানুষের জীবনকে। প্রায় চার দশকের এই দীর্ঘ পথ চলায় দেশের প্রথম মেট্রো যাত্রী নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।  যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাগ্রে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে সিগন্যালিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণেও। স্পেন , ডেনমার্ক এবং অন্যান্য উন্নত দেশের মেট্রো ব্যবস্থার মতো কলকাতা মেট্রোও কমিউনিকেশন বেসড ট্রেন কন্ট্রোল (সি বি টি সি ) সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মেট্রো যাত্রীদের জন্য আরও একটি সুখবর! চালু হল UPI Payment! জানুন বিস্তারিত

বর্তমানে এই সিগন্যালিং ব্যবস্থা জোকা থেকে এসপ্লানেড এবং কবি সুভাষ থেকে বিমানবন্দর মেট্রো করিডোরে বসানো হচ্ছে।  এর জন্য ব্যয় হবে ৮০০ কোটি টাকা।  এই অত্যাধুনিক সিগন্যালিং ব্যবস্থা অত্যন্ত নিরাপদ ও ট্রেন পরিচালন ব্যবস্থাকে আরও নমনীয় করে তুলবে।  স্পেন , ডেনমার্ক সহ বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশে এই ব্যবস্থা চালু থাকার ফলে মোটরম্যান ছাড়াই মেট্রো ট্রেন চালানো সম্ভব হচ্ছে। দিল্লী মেট্রোও মোটরম্যান-বিহীন মেট্রো পরিষেবা চালু করেছে। কলকাতা মেট্রোতে সি বি টি সি সিগন্যালিং ব্যবস্থায় অটোমেটিক ট্রেন অপারেশন্স (এ টি ও ) মোডে (অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় ট্রেন পরিচালন ব্যবস্থায় ) ট্রেন চালানোর সময় মোটরম্যানদের কোনও ভূমিকা থাকে না। তাঁরা কেবল বোতাম টিপে দরজা বন্ধ ও স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার কাজটি করেন।  ভারতের অন্যান্য মেট্রোতে এই কাজ যাঁরা করেন তাঁদের ট্রেন অপারেটর বলে।

কলকাতা মেট্রোর নতুন করিডোরগুলি ছাড়াও দেশের প্রথম মেট্রো ব্যবস্থা অর্থাৎ  ৪০ বছরের পুরোনো নর্থ – সাউথ করিডোরেও এই সি বি টি সি ব্যবস্থা বসানো হচ্ছে। এর জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা।  এই কাজে অভিজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংস্থাকে এই সিগন্যাল বসানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে কলকাতা মেট্রোর পুরো নেটওয়ার্ক সি বি টি সি সিগন্যালিং ব্যবস্থার এ টি ও মোডে পরিচালিত হবে। মেট্রো যাত্রীদের কাছে যা হবে এক নতুন অভিজ্ঞতা।  প্রয়োজনে ট্রেনের সংখ্যাও এর ফলে বাড়ানো যেতে পারে।

সি বি টি সি সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু হয়ে গেলে মোটরম্যানদের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে।  সেই সময় ট্রেন পরিচালন সংক্রান্ত ৯৯.৯৯% কাজ এ টি ও মোডেই নিরাপদে সম্পন্ন হবে। তখন  এই ব্যবস্থা মসৃণভাবে চালু রাখার জন্য কলকাতা মেট্রো ট্রেন অপারেটরদের নিয়োগ করবে। এ ছাড়া পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নেবেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। দৈনিক রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সঙ্গে যুক্ত মেট্রো কর্মীরাই ট্রেন অপারেটরের এই কাজ সহজে করে দেবেন।