কলকাতা: গত সোমবার নবান্নে পুরসভা নিয়ে বৈঠকে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো ‘বকাবকি’ করেন ছাড়লেন প্রশাসনিক সতীর্থদের। বিধাননগর পুরনিগমে ইচ্ছমতো লোক বসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উগরে দিলেন মমতা। মঙ্গলবার থেকেই শুরু সল্টলেক, গড়িয়াহাটে শুরু হল হকার ও অস্থায়ী দোকানদারদের উচ্ছেদ।
গড়িয়াহাট, সল্টলেকের হকারদের উচ্ছেদ করা হয়। জানা গিয়েছে, গড়িয়াহাট, সল্টলেকে একাধিক দোকান ভেঙে ফেলা হচ্ছে। গড়িয়াহাটে ৬ জন হকারকে আটক করল পুলিশ। সল্টলেক ১৬ নাম্বার ট্যাঙ্কের কাছে অস্থায়ী দোকান ভাঙলো পুলিশ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, একজনকে আটক করছে পুলিশ। একটি পুরনো দোকানকারকেই আটক করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এসএসকেএমের উল্টোদিকে ফুটপাতে দোকান প্লাস্টিক খোলার জন্য বলা হচ্ছে। কলকাতা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার চালানো হয়েছে। কাউন্সেলার ও প্রেসিডেন্ট রয়েছেন এই প্রচারাভিযানে।
সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, কাউন্সিলারের উপস্থিতিতেই খোলা হচ্ছে দোকানের প্লাস্টিক। দোকানের প্লাস্টিক খুলে গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সোমবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”সুজিত বসু লোক বসিয়ে দিছে। সল্টলেকের কাউন্সিলররা কোনও কাজ করে না।যেখান সেখান থেকে লোক এনে পুরসভায় কাজ দিচ্ছে। যেখানে সেখানে দোকান বসে যাচ্ছে অনুমতি ছাড়াই।” পুর পরিষেবা নিয়ে বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “এবার কি আমাকে রাস্তায় ঝাঁটা দিতে হবে?” একইসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “কারও কারও অভ্যাস হয়ে গিয়েছে যতদিন আইসি, জেলাশাসক, এসডিও থাকব, কিছু গুছিয়ে নেব।”
শঙ্কু সাঁতরা