দূরত্ব ঘুচল

Kunal Ghosh-Dev: এবার কুণাল ঘোষ-দেবের মধ্যে এ কী ঘটল! পুজোর আগেই বড় ধামাকা

কলকাতা: দিন কয়েক আগেই তৃণমূলে শুরু হয়েছিল দেব-কুণাল ঘোষ সংঘাত৷ ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে উদ্বোধন হওয়া ডায়ালিসিস ইউনিট দেব ফের নিজের নামে উদ্বোধন করেছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ দেবকে সুপারস্টার বলে কটাক্ষও করেছিলেন তৃণমূল নেতা৷ পাল্টা কটাক্ষ করেছিলেন দেবও। এমনকি দেবের ছবি ‘টেক্কা’র পোস্টার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। যদিও এক্ষেত্রে আক্রমণের লক্ষ্যে অবশ্য ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। তবে ছবির প্রযোজক কিন্তু সেই দেব। এরপরই অবশ্য জল গলে। ‘টেক্কার’ ট্রেলার লঞ্চের মঞ্চ থেকে দেব ‘ও কুণালদা…, কুণালদা ভালো আছেন?’ বলার পরই গলে জল হয়ে গিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। আর এবার দুজনে রীতিমতো বৈঠক করলেন। তাতে সংঘাত আর প্রায় রইলই না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

দূরত্ব ঘুচল নেতা-অভিনেতার। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বর নির্দেশেই কি বৈঠকে বসলেন কুণাল-দেব? সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক ইস্যুতে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সেই দূরত্বও ঘুচল এই বৈঠক থেকেই।

আরও পড়ুন: দাম বেড়েছে মদের, এবার পুজোয় কতদিন বন্ধ মদের দোকান? শুনে কিন্তু চমকে যাবেন

কয়েকদিন আগে কুণাল অভিযোগ করেন প্রযোজক দেবের ছবি ‘টেক্কা’র বিরুদ্ধে। আরজি-কর কাণ্ডের আবেগকে কাজে লাগিয়ে ছবি প্রচার করার চেষ্টা করছেন বলে দাবি করে কুণাল সমাজমাধ্যমে ‘টেক্কা’র একটি হোর্ডিংয়ের ছবি ভাগ করে নেন। সেখানে দেখা যায়, ছবির অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে। সঙ্গে ক্যাপশন, “আমার মেয়েকে কে ফেরাবে?”

কিন্তু, ছবির এই বিজ্ঞাপনী প্রচারের কুণাল যে ব্যখ্যা করেছেন তা ঘিরে সমাজমাধ্যমে বিতর্কের সূত্রপাত ঘটে। কুণাল তাঁর পোস্টে দাবি করেছেন, আরজি কর আবহকে কাজে লাগিয়ে নির্মাতারা ছবির প্রচার সারতে চাইছেন। অবশ্য আরজি করের ঘটনার সঙ্গে সৃজিতের ছবির কোনও মিল নেই, সে কথা কুণাল তাঁর পোস্টেই স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি লেখেন, “যদিও ছবিটির বিষয়বস্তু অপহরণের, তবু, এই আরজি কর আবহে ট্র্যাজেডিকে কাজে লাগিয়ে সিনেমার প্রোমোশনের কৌশল, একটু চোখে লাগছে।”

এরপরই ট্রেলার লঞ্চের মঞ্চ থেকে দেব ‘ও কুণালদা…, কুণালদা ভালো আছেন?’ বলার পরই বরফ গলতে শুরু করে। দেবের ছবিকে শুভেচ্ছা জানান কুণাল। ছবির ট্রেলার পোস্ট করে লেখেন, “দেব, সৃজিত এবং তাদের পুরো টিমকে আগাম শুভেচ্ছা। ‘টেক্কা’ সফল হোক। দর্শক হলে গিয়ে দেখুন। কয়েক ঝলক দেখেই বোঝা যাচ্ছে বাংলা সিনেমায় নতুন স্বাদ ও ঝাঁজ।” কুণালকে ধন্যবাদ জানিয়ে চুম্বনের ইমোজিও পোস্ট করেন তৃণমূল সাংসদ ও অভিনেতা দেব। এবার বৈঠকেও বসলেন তাঁরা। অবশেষে মিটল সংঘাত।