মালদহ: পাঁচদিন ধরে চলে কোজাগরী লক্ষীপুজো। রীতি মেনে লক্ষ্মী ছাড়াও একাধিক দেব দেবীর মূর্তি পূজিত হন এখানে। এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো অনুষ্ঠিত হয় মালদহ শহরের কোঠাবাড়ি রায় পরিবারে। এ বছর রায় পরিবারের পুজো ৮৫ বছরে পড়ল। নিয়ম মেনে পুজোর আগের দিন স্থানীয় তিনশো বিশ মোড়ে মেলার আসর বসে। পুজোর প্রথমদিন রাতভর অনুষ্ঠিত হয় লক্ষীপুজো। পাঁচদিনের এই লক্ষীপুজো হয় পুরানো ঠাকুর দালানে। আজও নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পুজো করে আসছেন বর্তমান প্রজন্ম। এই পুজোর বিশেষ আকর্ষণ হল একটি চালির মধ্যেই দেবীলক্ষী-সহ অন্যান্য দেব দেবীদের বসানো হয়।
মাঝে থাকেন দেবী লক্ষ্মী। সকলের উপরে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। লক্ষ্মী দেবীর মাথার ওপরে দুই পাশে রাম ও লক্ষণ । ডানদিকে গণেশ লক্ষ্মী বাঁদিকে থাকেন সরস্বতী কার্তিক। পাঁচ দিন ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হওয়ার পর মহানন্দা নদীতে নৌকায় করে নিয়ে যাওয়া হয় সদরঘাটে। সেদিন সদরঘাটে মেলা হয়। সদরঘাট থেকে নৌকায় আবার কোঠাবাড়ি ঘাটে নিয়ে এসে দেবী লক্ষ্মীর বিসর্জন হয়। পরিবারের বর্তমান সদস্য বিশ্বনাথ রায় বলেন, আমার বাবা এই পুজোর সূচনা করেছিলেন। লক্ষ্মী ছাড়াও এখানে আরও দশ দেবদেবীর পুজো করা হয় একই চালিতে। সেই নিয়ম মেনে এখনও পুজো দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ গোটা গ্রাম জুড়ে অতিথি আসা বন্ধ! বিয়ে হচ্ছে না কোনও মেয়ের! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষিতীশ চন্দ্র রায় এই পুজো শুরু করেছিলেন। প্রথম থেকেই পরিবারের কুল দেব-দেবীদের লক্ষ্মী দেবীর মূর্তির সঙ্গে স্থান দেওয়া হয়। একইসঙ্গে পুজিত হন তাঁরা। সেই রীতি আজও বহাল। বর্তমানে শুধুমাত্র পুজো মেলায় অনুষ্ঠিত হয়। তবে এক সময় এই পুজোকে ঘিরে গম্ভীরা বাউল গানের আসর বসত পাঁচদিন ধরে চলত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শহরের গোটা বাড়ি এলাকায় বর্তমানে জায়গা অনেক কমে গিয়েছে, ঘিঞ্জি পরিবেশ তাই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর সম্ভব হয় না। তবে নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে এই লক্ষ্মীপুজো।
হরষিত সিংহ