উত্তর ২৪ পরগণা: বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পরে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের শেষ পূর্ণিমা তিথিতেই হয়ে থাকে কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা। তবে বাঙালিদের ঘরে ঘরে লক্ষ্মী দেবীর আরাধনা হয় কিন্তু নানা রূপে। লক্ষ্মী হলেন মূলত ধনসম্পত্তির দেবী। তাই সকলেই ধন-সম্পত্তি লাভের আশা নিয়ে এই কোজাগরী লক্ষ্মীর আরাধনা করে থাকেন।
বাজার গুলিতে লক্ষ্মীর মূর্তির পাশাপাশি এই সময় চাহিদা বাড়ে মাটির সরায় চিত্রপটে ফুটে ওঠা লক্ষ্মী থেকে শুরু করে কলা বউ এমনকি কলার বের ও সপ্ততরীর। অনেকেই আবার ঝুড়ির মধ্যে ধান ভরে তাতে নতুন কাপড় জড়িয়ে তৈরি করেন আড়ি লক্ষ্মী। আখের গায়ে নতুন শাড়ি জড়িয়েও তৈরি হয় লক্ষ্মী প্রতিমার রূপ।
আরও পড়ুন – Maa Tara Puja: তারা মায়ের মাহাত্ম্য অপরিসীম, সিদ্ধপীঠে আজ মা তারার আবির্ভাব দিবস, পুজোর রীতিও আজ তাই আলাদা
নানা রূপে হলেও এভাবেই গ্রাম বাংলা সহ শহরাঞ্চলেও পূজিত হন ধনদেবী। লক্ষ্মী পুজোর আগেই তাই বাজার গুলিতে ভিড় জমে পুজোর কেনাকাটির। প্রতিমা থেকে সরা বা কলার বের হরেক দামেই মেলে লক্ষ্মী আরাধায়।
দেবীকে সন্তুষ্ট করতে ভোগ প্রসাদে দেওয়া হয় খিচুড়ি, লুচি, পায়েস থেকে শুরু করে, নাড়ু, মুড়কি, মটকা সহ নানা সুস্বাদু খাবার। আচার বিশেষে বদলায় পুজোর ধরণাও। অনেক বাড়িতেই লক্ষ্মী পুজোয় জোড়া ইলিশও আনা হয়ে থাকে। এভাবেই নানা রূপে বঙ্গে হয়ে থাকে ধনলক্ষ্মী কোজাগরীর আরাধনা।
Rudra Narayan Roy