লক্ষ্মীর ভাণ্ডার

Lakshmir Bhandar: বন্ধ হয়ে যাবে মাসে মাসে টাকা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ঢালাও প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস

কলকাতা: এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের তুরুপের তাস হয়ে ওঠেছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। শহর থেকে গ্রাম প্রায় সর্বত্রই বিশেষ করে মহিলা ভোটারদের প্রভাবিত করেছে এই সরকারি স্কিম। তার উপর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণায় এ বার সেই বরাদ্দ ৫০০ থেকে বেড়ে এক হাজার। লোকসভার ভোটের আগে এই ঘোযণা তৃণমূলকে কিছুটা অ্যাডভান্টেজ দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা।

দ্বিতীয় দফার ভোটের আগে রায়গঞ্জ ও বালুরঘাট এই দুই আসনে মুলত প্রচারে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে তুলে নিয়ে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের প্রথম দফার ভোটের ফল নিয়ে বেশ আশাবাদী তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল সূত্রে খবর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি আসনে যে ভাবে ভোটের লাইনে প্রচুর মহিলাদের দিনভর দেখা গিয়েছে সেটাকেই টার্গেট করেছে রাজ্যের শাসক দল।

ভোটের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে মহিলারা আরও বেশি তৃণমূলের দিকে ঝুঁকেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই টাকা শুধু মহিলাদের হাত খরচের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে না। সংসার চালানোর ক্ষেত্রেও তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে। এমন দাবি তৃণমূলের। দেখা গিয়েছে, কোনও কোনও পরিবারে মা, মেয়ে ও বৌমা মিলিয়ে তিন থেকে চারজন এই টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকায় সংসার খরচের অনেকটাই সামাল দিচ্ছেন তাঁরা।

ভোটে হেরে গেলে এই টাকা বন্ধ হয়ে যাবে বলে শাসক দলের তরফে যে প্রচার করা হচ্ছে তা অনেককেই প্রভাবিত করছে গ্রাম বাংলা থেকে শহরতলীর ভোটারদের। তৃণমূলের হারে এই টাকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থেকেই মহিলারা তাঁদের ভোট দেবে, দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের। প্রথম দফার ভোটের প্রচারে নেমে সিতাইয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে স্থানীয় বাজারগুলিতে ভালই কেনাকাটা হয়েছে। আর এটার কারণ মহিলাদের হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত টাকা পৌঁছে যাচ্ছে ঘরে ঘরে। এমনকি বিভিন্ন সভায় গিয়ে কোচবিহারের এক বিজেপি নেত্রীর অডিও শোনাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও অভিযোগ করছে তৃণমূল।