কলকাতা, ব্যবসা-বাণিজ্য Lakshmir Bhandar:লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন করতে চান…? কী কী ডক্যুমেন্ট লাগবে? কোন নথি থাকা ‘মাস্ট’? মিলিয়ে নিন লিস্ট Gallery April 9, 2024 Bangla Digital Desk এপ্রিল থেকেই ঢুকছে ডবল টাকা। লক্ষীর ভাণ্ডার নিয়ে বাংলার ঘরে ঘরে, গ্রামে গ্রামে উৎসাহ তুঙ্গে। অনেকেই টাকার অঙ্ক বাড়তেই নতুন করে আবেদনের কথা ভাবছেন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে। আপনিও যদি সেই তালিকায় থাকেন তবে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে চলতি অর্থবর্ষ থেকেই। ঘোষণামাফিক এপ্রিল শুরু থেকেই ঢুকছে বর্ধিত টাকা। প্রত্যেক সুবিধাভোগীর হাতে বার্ষিক ১২,০০০ টাকা করে দেওয়ার জন্য অনবরত কাজ করে চলেছে রাজ্যের অর্থ দফতর। ইতিমধ্যেই ঘরে ঘরে অনেকেই পেয়েছেন এই বড় অঙ্কের টাকা। কিন্তু এখনও এমন অনেক মহিলাই রয়েছেন, যাঁরা নিজেদের আর্থিক চাহিদা মেটাতে ঘরে বাইরে সংগ্রাম চালাচ্ছেন। যাঁরা আর্থিকভাবে তেমন নিরাপদ নন। বাংলার সেই সমস্ত মহিলাদের পাশে দাঁড়াতেই সরকারি এই ভাতা। তবে এই প্রকল্পের সাহায্য চাইলে, রাজ্য সরকারের এই জনমুখী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে সঠিক পদ্ধতিতে আবেদন করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন প্রক্রিয়া ঠিক না হলে অনেক সময়ই যোগ্যতা থাকলেও আপনি এই সুবিধাপ্রাপকদের তালিকাতে নিজের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন না। আজ এই প্রতিবেদনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনে নিন যা অত্যন্ত জরুরি। আবেদন করতে কী কী ডক্যুমেন্ট লাগবে? কী যোগ্যতা থাকা জরুরি।রাজ্যে বাসস্থান – আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।লিঙ্গ – শুধুমাত্র মহিলা আবেদনকারীরা এই স্কিমের জন্য যোগ্য।বয়সসীমা – আবেদনকারীর বয়স ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। যোগ্যতা: সরকারি চাকরি – আবেদনকারীর কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকার, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, সরকারী উদ্যোগ, পঞ্চায়েতি রাজ প্রতিষ্ঠান, পৌর কর্পোরেশন/পৌরসভা, স্থানীয় সংস্থা এবং সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী চাকরিতে থাকলে চলবে না বা সরকারী পেনশনের অধিকারী হলে চলবে না। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা:১) স্বাস্থ্যসাথী কার্ড: পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা জারি করা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড।২) আধার কার্ড: আবেদনকারীর আধার কার্ড।৩) SC/ST শংসাপত্র: জাতি শংসাপত্র (যদি)। ৪) ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ: অ্যাকাউন্টধারীর নাম, অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাঙ্কের ঠিকানা, IFSC কোড এবং MICR কোড সহ আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিবরণ, ব্যাঙ্ক পাসবুকের প্রথম পেজের জেরক্স। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি ব্যক্তিগত হতে হবে।৫) রঙিন পাসপোর্ট সাইজ ছবি: আবেদনকারীর সাম্প্রতিক রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি।মনে রাখবেন, আরও অন্যান্য নথিও লাগতে পারে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্য কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন?যে মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যোজনার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে আগ্রহী, তাঁদের জন্য অনলাইনে আবেদন করার প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আপনি নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করে কোনও ঝুট-ঝামেলা ছাড়াই আবেদন করতে পারেন ‘এইভাবে’: প্রথমত, পশ্চিমবঙ্গ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট socialsecurity.wb.gov.in/login ভিজিট করুন।ওয়েবসাইটের হোম পেজে পৌঁছে আপনাকে সেখানে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করার পর আপনার মোবাইল নম্বরের সাহায্যে লগ ইন করুন।লগ ইন করার পরে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যোজনার আবেদনপত্র আপনার সামনে খুলবে।এর পরে, আপনাকে আবেদনপত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করতে হবে।প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করার পরে, প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন। সমস্ত তথ্য এবং নথি ফর্মে পূরণ এবং আপলোড করার পরে, ‘Submit’ বোতামে ক্লিক করুন।এইভাবে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার যোজনার জন্য আপনার আবেদন সফলভাবে সম্পন্ন হবে অনলাইন মাধ্যমেই। অনলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের স্ট্যাটাস কীভাবে চেক করবেন?অনলাইনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার স্ট্যাটাস চেক করতে, আপনাকে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে হবে- প্রথমত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের পোর্টালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান, https://socialsecurity.wb.gov.in।ওয়েবসাইটের মূল পৃষ্ঠাটি আপনার স্ক্রিনে খুলবে।‘ট্র্যাক অ্যাপ্লিকেশন স্ট্যাটাস’ বাটনে ক্লিক করুন।আপনার স্ক্রিনে একটি নতুন পেজ খুলবে। সেখানেই থাকবে স্ট্যাটাস। মনে রাখবেন, আপনি জেনারেল ক্যাটাগরির মহিলা হলে ১০০০ টাকা প্রতি মাসে পাবেন এই পরিকল্পের অধীনে। আর যদি জেনারেল ক্যাটাগরির না হয়ে ST, SC ক্যাটাগরির মহিলা হন, তাহলে ১২০০ টাকা পাবেন। অনলাইনে আবেদন করতে না জানলে বাড়ির নিকটবর্তী দুয়ারে সরকার ক্যাম্প হলে, সেখানেও প্রয়োজনীয় নথি-সহ আবেদন করতে পারবেন সঠিক পদ্ধতিতে।