Hooghly News: জলেই ‘মরণফাঁদ’! মাছ ধরার জালে ওটা কী উঠে এল! তুলতে গিয়ে যা ঘটল…

হুগলি: কথায় আছে কেঁচো খুঁড়তে বেরয় কেউটে! মাছ ধরার ফাঁদে কেউটে যদি এসে পড়ে তখন কী হবে? এমনই ঘটনার সাক্ষী হুগলির বলাগড়ের ইনচূড়ার বাসিন্দা মৃত্যুন মণ্ডল। তাঁর মাছ ধরার ফাঁদে ধরা পড়েছে একটি নয়, দু’টি বৃহৎ আকৃতির বিষধর কেউটে সাপ! যা দেখে চক্ষু চড়ক গাছ এলাকার মানুষজনের। তবে ভয় কাটিয়ে মাছ ধরার ফাঁদে আটকে পড়া বিষধর সাপকে উদ্ধার করে তুলে দিলেন বন দফতরের হাতে।

বর্ষার মাঠের জল নিকাশি নালাতে মাছ ধরার জন্য ফাঁদ পাতেন হুগলির বলাগড়ের ইনছুড়ার বাসিন্দা মৃত্যুন মন্ডল। রাতে পেতে আসেন সকালে উঠে সেই ফাঁদে পড়া মাছ  আনতে যান। সেটি আনতে গিয়ে দেখেন ফোঁসফাঁস শব্দ হচ্ছে। কোথা থেকে সেই শব্দ আসছে তা তিনি বুঝতে পারেননি। প্রথমে তিনি ভয় পেয়ে থমকে যান। পরে কিছুটা এগিয়ে যেতেই তার চক্ষু চড়ক গাছ! মাছ পাওয়া তো দূরের কথা, ফাঁদের ভিতরে ঢুকে বসে  বিষধর কেউটে। একদিন নয়, পরপর দু’দিন ঘুনির মধ্যে দেখতে পান দু’টি কেউটে সাপ। লম্বায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট বড় ফনার সাপ দেখলেই ভয় লাগে।

আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে বোমা বানানো! শ্রীঘরে ১৮-র যুবক, কেন এমন কাণ্ড, জানলে অবাক হবেন

আরও পড়ুন: নদী পেরিয়ে ঝুঁকি নিয়ে স্কুল যেতে হয় শতাধিক পড়ুয়াকে 

তবে ফাঁদের ভিতরে ঢুকে থাকায় বাইরে বেরতে পারছিল না সাপ দু’টি। এরপরই তিনি সেই ফাঁদ ধরে বাড়ি নিয়ে যান। সাপ দু’টিকে উদ্ধার করতে ডাক পরে বলাগড়ের পশুপ্রেমী বনমালী তপাদারের। মাছ ধরার সেই ফাঁদ বা ঘুনি থেকে সাপ দু’টিকে উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দেবেন বলে জানান বনমালী। বর্ষাকালে বৃষ্টি হওয়ার জন্য সাপের বাসস্থানের সমস্যা হয়। তাই তারা লোকালয়ে চলে আসে।আবার খাবারের সন্ধানেও তারা মানুষের বাড়িতে ঢুকে পরে। তাই সাপ না মেরে সতর্ক থাকা।সাপ দেখলে উদ্ধারকারী কাউকে বা বন দফতরের খবর দেওয়া উচিত বলে জানান বনমালি।

রাহী হালদার