উত্তর ২৪ পরগনা: দেশ ভাগের ইতিহাস কে সঙ্গে নিয়ে, প্রায় ৪৭ বছর ধরে চলে আসা সীমান্ত শহরে ঐতিহ্যের লক্ষ্মীপূজো উপলক্ষে হওয়া নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় পরল ছেদ! বাগদায় ১৯৬২ সাল থেকে ওপার বাংলা থেকে আগত মানুষদের একাংশের বসবাস গড়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণবঙ্গের চার জেলায় আসছে ঝেঁপে বৃষ্টি, বুধবার থেকে রাজ্য জুড়ে আবহাওয়ার খেলা
সেই সময়ের অবিভক্ত বাংলার প্রথাকে ধরে রেখেই দেশভাগের পর পূর্বহুদা তরুণ সংঘের পরিচালনায় ও গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় কোদালিয়া নদীর ধারে লক্ষ্মীপূজো উপলক্ষে চালু হয় বিশেষ মেলা। বিস্তীর্ণ বাগদা সহ আশপাশের এলাকার মানুষের কাছে এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ হয়ে ওঠে, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। প্রায় দীর্ঘ তিন কিলোমিটার এলাকার নদীকে এই প্রতিযোগিতা স্থল হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। নৌকাকে এক সময়ে বাণিজ্যের প্রতীক হিসেবেই ধরা হতো। সেই রীতি মেনে আজও গত ৪৬ বছর ধরে এই উৎসব পালন হয়ে আসলেও, এবছর যেন বাদ সাধলো নদীর এমন অবস্থায়। আগেই টানা বৃষ্টিতে জল জমে প্লাবিত হয়েছে বাগদার বিস্তীর্ণ এলাকা। পরবর্তীতে নদী ভরেছে কচুরিপানায়।
আরও পড়ুন: সাইকেলে ৯০০ কিলোমিটার! কোথা থেকে কোথায় চললেন ২৫ বছরের যুবক? জানলে চমকে যাবেন!
এই কচুরিপানা পরিষ্কার করে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা করা ব্যয়বহুল অনেকটাই। প্রশাসনেরও তেমন কোন উদ্যোগ না থাকায় এবছর ঐতিহ্যের নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উৎসব কমিটি। আর সেই কারণেই এবার মন খারাপ সীমান্ত এলাকার মানুষদের। লক্ষ্মীপুজো ও মেলার আয়োজন করা হলেও, এবছর আর হল না ঐতিহ্যের নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। সেক্ষেত্রে প্রশাসন যদি নদী সংস্কারে উদ্যোগী হতো, তবে এ হেন ঐতিহ্যের এই প্রতিযোগিতায় ছেদ পড়তো না বলেই মত স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই এবারের লক্ষ্মীপূজো অনেকটাই যেন জৌলুসহীন থাকল সীমান্ত এলাকা বাগদার মানুষের কাছে।
Rudra Narayan Roy