আবীর ঘোষাল, কলকাতা: আপনি নিশ্চই শহরতলি থেকে কলকাতায় যাতায়াত করেন, আপনার জানা দরকার যে কলকাতা শহরে শিয়ালদহ থেকে ব্যস্ত সময়ে কতগুলি ট্রেন চলাচল করে।
পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ স্টেশন, যা ভারতের অন্যতম ব্যস্ত রেলওয়ে কেন্দ্র, প্রতিদিন অসংখ্য লোকাল ট্রেন পরিচালনা করে যা মহানগরীর জীবনযাত্রাকে মসৃণভাবে চালিয়ে যেতে সাহায্য করে। শিয়ালদহ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৩৫৬টি ট্রেন ছাড়ে এবং ৩৫৪টি ট্রেন আসে, যা হাজার হাজার যাত্রীকে শহরের বাইরে থেকে এবং শহরের মধ্যে যাতায়াত করতে সাহায্য করে চলেছে। এটি কলকাতার দৈনন্দিন পরিবহণের অন্যতম প্রধান শক্তি যা অফিস যাত্রী, ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য দৈনিক যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করে। বিশেষত পিক আওয়ারের সময় এই স্থানীয় ট্রেনগুলির গুরুত্ব সর্বাধিক। এই বহরটি নিশ্চিত করে যে, কর্মস্থল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাত্রা করা যাত্রীরা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, পাশাপাশি ভিড়ের সমস্যাও কমানো সম্ভব হয়।
সকাল ৮:৩০ থেকে ১০:৩০ এর মধ্যে শিয়ালদহ মেইন, শিয়ালদহ নর্থ এবং শিয়ালদহ সাউথ সেকশনে মোট ৫৩টি ইএমইউ (ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট) লোকাল চলাচল করে। শিয়ালদহ নর্থ ও শিয়ালদহ মেইন সেকশনের মধ্যে ৪টি করে ট্রেন রানাঘাট, বনগাঁ, নৈহাটি, ব্যারাকপুর থেকে ছাড়ে , ৩টি করে ট্রেন ডানকুনি থেকে ছাড়ে , ২টি করে ট্রেন হাসনাবাদ, বারাসত, দত্তপুকুর থেকে ছাড়ে এবং ১টি করে ট্রেন কল্যাণী সীমান্ত, কৃষ্ণনগর সিটি, মধ্যমগ্রাম, শান্তিপুর, গেদে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, হাবরা, লালগোলা (মেমু) থেকে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছায় । শিয়ালদহ সাউথ সেকশনের মধ্যে ৪টি করে ট্রেন ক্যানিং থেকে এবং ৩টি করে ট্রেন ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, বজবজ থেকে এবং ২টি করে ট্রেন সোনারপুর থেকে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছয় ।
বিকেল ৪:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০-এর মধ্যে ৫৮ টি ইএমইউ লোকাল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে বিভিন্ন সেকশনে চলাচল করে। শিয়ালদহ নর্থ ও শিয়ালদহ মেইন সেকশন থেকে ০৬টি ট্রেন বনগাঁ, ৪টি ট্রেন নৈহাটি, ৩টি করে ট্রেন ডানকুনি, কল্যাণী সীমান্ত, কৃষ্ণনগর সিটি, শান্তিপুর, গেদে, ২টি দত্তপুকুর, ১টি করে ট্রেন রাণাঘাট, হাসনাবাদ, বারাসাত, ব্যারাকপুর ও লালগোলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শিয়ালদহ সাউথ সেকশন থেকে ৬টি ট্রেন ক্যানিং, ৫টি ট্রেন বজবজ, ৪টি করে ট্রেন বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর এবং ২টি সোনারপুর ও ১টি করে ট্রেন বি.বি.ডি. ব্যাগ এবং মগরাহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
পূর্ব রেলওয়ের এই বিস্তৃত লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্ক শুধু দৈনিক যাত্রীদের প্রয়োজন মেটায় না, বরং সড়ক পরিবহনের উপর চাপ কমিয়ে মহানগরীর সামগ্রিক পরিবহণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।