Tag Archives: Sealdah Station

Kunal Ghosh: ‘শ্যামাপ্রসাদ কেন, বিবেকানন্দর নামে করা হোক’, শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদল নিয়ে পাল্টা আসরে তৃণমূল

কলকাতা: শিয়ালদহ থেকে বুধবার একাধিক রেল প্রকল্পে উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর সেখান থেকেই আরও একবার উঠল শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলের দাবিও। সেই প্রস্তাব দিলেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এদিন শিয়ালদহ স্টেশনের অনুষ্ঠান থেকেই রেলমন্ত্রীর সামনেই শমীক বলেন, ”শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামকরণ করা হোক শিয়ালদহ স্টেশনের।” এরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল দাবি তুলল, শ্যামাপ্রসাদ কেন, বিবেকানন্দর নামে করা হোক শিয়ালদহ স্টেশনের নাম।

তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ”সব কিছুর একটা ইতিহাস আছে। বিভিন্ন জায়গায় নাম বদল করে রাজনীতি করছে বিজেপি। এখানেও সেটা করার চেষ্টা হচ্ছে। শিয়ালদহ স্টেশন স্বামী বিবেকানন্দের নামে করুন। যদি নাম বদল করতে হয় তাহলে স্বামী বিবেকানন্দের নামে করুন।”

আরও পড়ুন: ফের সেই আরজি কর, আবার নিশানায় মহিলা চিকিৎসক! ভোররাতে যা ঘটে গেল হাসপাতালে…

পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতের সবথেকে ব্যস্ততম স্টেশনের মধ্যে একটি হল শহর কলকাতার শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশন সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার সুবিধা করে দিচ্ছে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে মেট্রো পর্যন্ত চলে, যা সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা দেয়।

সেই শিয়ালদহ স্টেশনের নাম আগেই বদলের দাবি উঠেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সেই দাবি করা হয়েছিল। এবার স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সেই দাবি তুললেন। পাল্টা তা নিয়ে আসরে নামল তৃণমূলও।

একই সঙ্গে বুধবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের একাধিক রেল প্রকল্প উদ্বোধন নিয়েও কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। কুণাল ঘোষের কথায়, ”রেলমন্ত্রী বিভ্রান্ত করছেন। বাংলায় যা যা প্রকল্প, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন। তাকে ড্রাই করে দিয়েছেন ওঁরা। আপনারা আগে রেলের নিরাপত্তা দিন। আর বাংলার সেই সব প্রকল্প শেষ করুন। রাজনৈতিক ভাবে নাক গলাবেন পরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী হিসাবে যা করেছিলেন, সেই কাজগুলি শেষ করুন।”

Sealdah Station: বিরাট খবর! নাম বদলে যাচ্ছে শিয়ালদহ স্টেশনের? রেলমন্ত্রীর সামনেই দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ

কলকাতা: শিয়ালদহ থেকে বুধবার একাধিক রেল প্রকল্পে উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর সেখান থেকেই আরও একবার উঠল শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলের দাবিও। সেই প্রস্তাব দিলেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এদিন শিয়ালদহ স্টেশনের অনুষ্ঠান থেকেই রেলমন্ত্রীর সামনেই শমীক বলেন, ''শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামকরণ করা হোক শিয়ালদহ স্টেশনের।''
কলকাতা: শিয়ালদহ থেকে বুধবার একাধিক রেল প্রকল্পে উদ্বোধন করলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আর সেখান থেকেই আরও একবার উঠল শিয়ালদহ স্টেশনের নাম বদলের দাবিও। সেই প্রস্তাব দিলেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। এদিন শিয়ালদহ স্টেশনের অনুষ্ঠান থেকেই রেলমন্ত্রীর সামনেই শমীক বলেন, ”শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে নামকরণ করা হোক শিয়ালদহ স্টেশনের।”
পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতের সবথেকে ব্যস্ততম স্টেশনের মধ্যে একটি হল শহর কলকাতার শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশন সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার সুবিধা করে দিচ্ছে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে মেট্রো অবধি চলে, যা সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা দেয়।
পশ্চিমবঙ্গ তথা গোটা ভারতের সবথেকে ব্যস্ততম স্টেশনের মধ্যে একটি হল শহর কলকাতার শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশন সেই ব্রিটিশ আমল থেকেই যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাওয়ার সুবিধা করে দিচ্ছে। বর্তমানে শিয়ালদহ থেকে মেট্রো অবধি চলে, যা সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা দেয়।
সেই শিয়ালদহ স্টেশনের নাম আগেই বদলের দাবি উঠেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সেই দাবি করা হয়েছিল। এবার স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সেই দাবি তুললেন।
সেই শিয়ালদহ স্টেশনের নাম আগেই বদলের দাবি উঠেছিল। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে সেই দাবি করা হয়েছিল। এবার স্বয়ং বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সেই দাবি তুললেন।
শমীক এদিন আরও বলেন, ''আজকের রাজনীতি উন্নয়ন কেন্দ্রিক। কেন্দ্রীয় সরকার সংঘর্ষ নয় সম্পৃক্ততা চায়৷ রাজ্যের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কেন্দ্র কাজ করবে। একাধিক রেলওয়ে ওভার ব্রিজ পিংক বুকে আছে। কিন্তু বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না। বহু শহর এই রাজ্যের যেখানে তীব্র যানজট হয়৷ এটি বাস্তবায়ন করতে রাজ্যের সাহায্য দরকার। কেন্দ্র যেন এই বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে।''
শমীক এদিন আরও বলেন, ”আজকের রাজনীতি উন্নয়ন কেন্দ্রিক। কেন্দ্রীয় সরকার সংঘর্ষ নয় সম্পৃক্ততা চায়৷ রাজ্যের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে কেন্দ্র কাজ করবে। একাধিক রেলওয়ে ওভার ব্রিজ পিংক বুকে আছে। কিন্তু বাস্তবায়িত করা যাচ্ছে না। বহু শহর এই রাজ্যের যেখানে তীব্র যানজট হয়৷ এটি বাস্তবায়ন করতে রাজ্যের সাহায্য দরকার। কেন্দ্র যেন এই বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে কথা বলে।”
এদিকে, অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ''রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব রাজনীতি বন্ধ করুন৷ আপনারা কেন্দ্রকে সাহায্য করুন। ৬১ রেল প্রকল্প আটকে আছে। এর টাকা প্রস্তুত। ভোট শেষ হয়ে গেছে। ভোট এলে রাজনীতি আবার হবে৷ এখন রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে ন্যায় করুন।''
এদিকে, অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ”রাজ্য সরকারকে অনুরোধ করব রাজনীতি বন্ধ করুন৷ আপনারা কেন্দ্রকে সাহায্য করুন। ৬১ রেল প্রকল্প আটকে আছে। এর টাকা প্রস্তুত। ভোট শেষ হয়ে গেছে। ভোট এলে রাজনীতি আবার হবে৷ এখন রাজনীতি দূরে সরিয়ে রেখে উন্নয়ন কাজের মাধ্যমে ন্যায় করুন।”

Local train Sealdah Station: ফের একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল শিয়ালদহে! শনি-রবিতে জোর ভোগান্তি যাত্রীদের, জানুন কারণ

ফের শিয়ালদহ লাইনে যাত্রীদের ভোগান্তির সম্ভাবনা। শনি এবং রবিবার শিয়ালদহ বিভাগের উত্তর শাখায় বেশ কিছু ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল।
ফের শিয়ালদহ লাইনে যাত্রীদের ভোগান্তির সম্ভাবনা। শনি এবং রবিবার শিয়ালদহ বিভাগের উত্তর শাখায় বেশ কিছু ট্রেন বাতিলের কথা ঘোষণা করেছে ভারতীয় রেল।
শিয়ালদহ বিভাগের সণ্ডালিয়া স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা হবে। তাই একাধিক ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল।
শিয়ালদহ বিভাগের সণ্ডালিয়া স্টেশনে ফুট ওভারব্রিজ তৈরি করা হবে। তাই একাধিক ট্রেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল।
শনিবার অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর বাতিলের তালিকায় থাকবে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লাইনের ৩৩৫৩৩ আপ এবং ৩৩৫৩৮ ডাউন ট্রেন। বারাসাত-হাসনাবাদ লাইনে বাতিল করা হয়েছে ৩৩৩২৩ এবং ৩৩৩২৫ আপ ট্রেন এবং ৩৩৩১৮ এবং ৩৩৩২০ ডাউন ট্রেন।
শনিবার অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর বাতিলের তালিকায় থাকবে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ লাইনের ৩৩৫৩৩ আপ এবং ৩৩৫৩৮ ডাউন ট্রেন। বারাসাত-হাসনাবাদ লাইনে বাতিল করা হয়েছে ৩৩৩২৩ এবং ৩৩৩২৫ আপ ট্রেন এবং ৩৩৩১৮ এবং ৩৩৩২০ ডাউন ট্রেন।
রবিবারও এই লাইনে বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন ৩৩৫১২ এবং ৩৩৫১৪ ডাউন হাসনাবাদ- শিয়ালদহ লোকাল, ৩৩৩১২ এবং ৩৩৩১৪ হাসনাবাদ- বারাসাত লোকাল। সেই সঙ্গেই বাতিল ৩৩৫১৩, ৩৩৫১৭ আপ শিয়ালদহ হাসনাবাদ লোকাল এবং ৩৩৩১১, ৩৩৩১৩ আপ বারাসাত-হাসনাবাদ লোকাল।রবিবারও এই লাইনে বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন ৩৩৫১২ এবং ৩৩৫১৪ ডাউন হাসনাবাদ- শিয়ালদহ লোকাল, ৩৩৩১২ এবং ৩৩৩১৪ হাসনাবাদ- বারাসাত লোকাল। সেই সঙ্গেই বাতিল ৩৩৫১৩, ৩৩৫১৭ আপ শিয়ালদহ হাসনাবাদ লোকাল এবং ৩৩৩১১, ৩৩৩১৩ আপ বারাসাত-হাসনাবাদ লোকাল।
রবিবারও এই লাইনে বাতিল করা হয়েছে বেশ কিছু ট্রেন ৩৩৫১২ এবং ৩৩৫১৪ ডাউন হাসনাবাদ- শিয়ালদহ লোকাল, ৩৩৩১২ এবং ৩৩৩১৪ হাসনাবাদ- বারাসাত লোকাল। সেই সঙ্গেই বাতিল ৩৩৫১৩, ৩৩৫১৭ আপ শিয়ালদহ হাসনাবাদ লোকাল এবং ৩৩৩১১, ৩৩৩১৩ আপ বারাসাত-হাসনাবাদ লোকাল।
সেই সঙ্গে হাসনাবাদ – বিবাদি বাগ লোকাল ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাসনাবাদ থেকে ছাড়বে, সেই সঙ্গে ট্রেনটি বিবাদি বাগের পরিবর্তে বারাসাত পর্যন্ত চলবে।
সেই সঙ্গে হাসনাবাদ – বিবাদি বাগ লোকাল ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের পরিবর্তে ভোর ৬টা ৫ মিনিটে হাসনাবাদ থেকে ছাড়বে, সেই সঙ্গে ট্রেনটি বিবাদি বাগের পরিবর্তে বারাসাত পর্যন্ত চলবে।

Sealdah Station: প্রতিদিন মোট লোকাল ট্রেনের সংখ্যা কত? সঠিক সময়ে চলুক ট্রেন, দাবি শিয়ালদহ ডিভিশনের যাত্রীদের

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: আপনি নিশ্চই শহরতলি থেকে কলকাতায় যাতায়াত করেন, আপনার জানা দরকার যে কলকাতা শহরে শিয়ালদহ থেকে ব্যস্ত সময়ে কতগুলি ট্রেন চলাচল করে।

পূর্ব রেলওয়ের শিয়ালদহ স্টেশন, যা ভারতের অন্যতম ব্যস্ত রেলওয়ে কেন্দ্র, প্রতিদিন অসংখ্য লোকাল ট্রেন পরিচালনা করে যা মহানগরীর জীবনযাত্রাকে মসৃণভাবে চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।  শিয়ালদহ স্টেশন থেকে প্রতিদিন ৩৫৬টি ট্রেন ছাড়ে এবং ৩৫৪টি ট্রেন আসে, যা হাজার হাজার যাত্রীকে শহরের বাইরে থেকে এবং শহরের মধ্যে যাতায়াত করতে সাহায্য করে চলেছে। এটি কলকাতার দৈনন্দিন পরিবহণের অন্যতম প্রধান শক্তি যা অফিস যাত্রী, ছাত্রছাত্রী এবং অন্যান্য দৈনিক যাত্রীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করে। বিশেষত পিক আওয়ারের সময় এই স্থানীয় ট্রেনগুলির গুরুত্ব সর্বাধিক। এই বহরটি নিশ্চিত করে যে, কর্মস্থল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাত্রা করা যাত্রীরা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারে, পাশাপাশি ভিড়ের সমস্যাও কমানো সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন- শনি গোচরে শুক্রকে শক্তিশালী করতে এই কয়েকটি প্রতিকার মেনে চলুন, জীবনে সুখ-সমৃদ্ধির কমতি থাকবে না

সকাল ৮:৩০ থেকে ১০:৩০ এর মধ্যে শিয়ালদহ মেইন, শিয়ালদহ নর্থ এবং শিয়ালদহ সাউথ সেকশনে মোট ৫৩টি ইএমইউ (ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট) লোকাল চলাচল করে। শিয়ালদহ নর্থ ও শিয়ালদহ মেইন সেকশনের মধ্যে ৪টি করে ট্রেন রানাঘাট, বনগাঁ, নৈহাটি, ব্যারাকপুর থেকে ছাড়ে , ৩টি করে ট্রেন ডানকুনি থেকে ছাড়ে , ২টি করে ট্রেন হাসনাবাদ, বারাসত, দত্তপুকুর থেকে ছাড়ে এবং ১টি করে ট্রেন কল্যাণী সীমান্ত, কৃষ্ণনগর সিটি, মধ্যমগ্রাম, শান্তিপুর, গেদে, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, হাবরা, লালগোলা (মেমু) থেকে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছায়  । শিয়ালদহ সাউথ সেকশনের মধ্যে  ৪টি করে ট্রেন ক্যানিং থেকে এবং ৩টি করে ট্রেন ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, বজবজ থেকে এবং ২টি করে ট্রেন সোনারপুর থেকে ছেড়ে শিয়ালদহ পৌঁছয় ।

আরও পড়ুন– বঙ্গোপসাগরে তৈরি নিম্নচাপ, সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি বাড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল-সহ সংলগ্ন জেলাগুলিতে

বিকেল ৪:৩০ থেকে সন্ধ্যা ৭:৩০-এর মধ্যে  ৫৮ টি ইএমইউ লোকাল শিয়ালদহ থেকে ছেড়ে বিভিন্ন সেকশনে চলাচল করে। শিয়ালদহ নর্থ ও শিয়ালদহ মেইন সেকশন থেকে ০৬টি ট্রেন বনগাঁ, ৪টি ট্রেন নৈহাটি, ৩টি করে ট্রেন  ডানকুনি, কল্যাণী সীমান্ত, কৃষ্ণনগর সিটি, শান্তিপুর, গেদে, ২টি দত্তপুকুর, ১টি করে ট্রেন রাণাঘাট, হাসনাবাদ, বারাসাত, ব্যারাকপুর ও লালগোলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শিয়ালদহ সাউথ সেকশন থেকে  ৬টি ট্রেন ক্যানিং, ৫টি ট্রেন বজবজ, ৪টি করে ট্রেন বারুইপুর, লক্ষ্মীকান্তপুর এবং ২টি সোনারপুর ও ১টি করে ট্রেন বি.বি.ডি. ব্যাগ এবং মগরাহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।

পূর্ব রেলওয়ের এই বিস্তৃত লোকাল ট্রেন নেটওয়ার্ক শুধু দৈনিক যাত্রীদের প্রয়োজন মেটায় না, বরং সড়ক পরিবহনের উপর চাপ কমিয়ে মহানগরীর সামগ্রিক পরিবহণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Indian Railways: ট্রেন দুর্ঘটনা হলে কীভাবে মোকাবিলা? শিয়ালদহ ডিভিশনে যা হল না দেখলে বিশ্বাস হবে না!

কলকাতা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আরও বেশি সক্রিয়তা ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য পূর্ব রেলের ক্রমাগত প্রচেষ্টার এক অন্যতম নিদর্শন হিসাবে শিয়ালদহ বিভাগ ধুবুলিয়ায় একটি পূর্ণ মাত্রার মক ড্রিল আয়োজন করা হয়। খালি চোখে দেখে মনে হবে রেল দুর্ঘটনা। সেটি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

উদ্ধার অভিযানের জন্য অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ মেডিকেল ভ্যান এবং অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন/রানাঘাট থেকে ডাকা হয়। স্ব-চালিত অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ মেডিক্যাল ভ্যান/বেলেঘাটা এবং অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন/বেলেঘাটা সাইটের দিকে অতিদ্রুত যাত্রা শুরু করে খবর আসার সঙ্গে সঙ্গে। শিয়ালদহ থেকে ১৪০ টন ক্রেন, অ্যাক্সিডেন্ট রিলিফ ট্রেন এবং মেডিকেল ভ্যানও দুর্ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়।

আরও পড়ুন: আরজি করে কী কালচার চলত আমি জানি, কিন্তু এখন থেকে একটা জিনিস চলবে: সুপার ডক্টর সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়

শিয়ালদহ বিভাগ এবং জাতীয় বিপর্যয় ত্রাণ বাহিনী যৌথভাবে অ্যাক্সিডেন্টের পরিত্যক্ত অংশ বিশেষ সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করে এবং ভার্চুয়াল যাত্রীদের উদ্ধার করে। যৌথ অভিযানে ৩০ জন ভার্চুয়াল যাত্রীদের কোচ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুতর আহত যাত্রীদের শিয়ালদা বি আর সিং হাসপাতালে পাঠানো হয় দ্রুত।

আরও পড়ুন: ছোট্ট শরীরজুড়ে কাটা দাগ, বিপাশার মেয়ের জন্মের ৩ দিন পর জানা যায় মারাত্মক রোগের কথা! তারপর?

এই মক ড্রিলে দুটি মৌলিক বিষয় এর উপর বিশেষ ভাবে অনুশীলন করা হয়: -ক)  আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে ট্রেনের ভগ্নাংশের অংশ কেটে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া যাত্রীদেরকে কীভাবে সহজ উপায়ে ও কম সময়ে উদ্ধার করা যায়। খ) অতি অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে এটি অনুশীলন করা হয় যেমন উচ্চ ক্ষমতার কাটার, বিভাজক, প্লাজমা কাটিং ইত্যাদি।
যৌথ অনুশীলন শুরু হয় ০৯:৩০ টায়। পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য এটিকে ১২:৫০-এ মক ড্রিল হিসাবে ঘোষণা করা হয় এবং সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধারের পরে ড্রিলটি সম্পন্ন হয়।

এই যৌথ মক ড্রিলটিতে প্রায় ৪৪ জনের NDRF উদ্ধারকারী দল, বিভাগীয় দুর্যোগ উদ্ধারকারী দল, সিভিল ডিফেন্স ও ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন। এছাড়াও, ৬ জন ডাক্তার, ৩১ জন প্যারামেডিক্যাল স্টাফ, ১৬ জন স্কাউটস এবং গাইড এবং ৪০ জন RPF কন্টিনজেন্ট উদ্ধার অভিযানে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

শিয়ালদহ ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার শ্রী দীপক নিগমের দৃষ্টান্তমূলক নেতৃত্বে ড্রিলটি সফল ও সার্থক ভাবে পরিচালিত হয়েছে। শ্রী সুজিত কুমার সিনহা, সিনিয়র ডিভিশনাল সেফটি অফিসার, শ্রী পবন কুমার, সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল অফিসার এবং অন্যান্য ডিভিশনাল অফিসাররা এই মক ড্রিলটিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এই ধরনের মক ড্রিলের মূল উদ্দেশ্য হল সর্বোচ্চ সতর্কতা, জরুরি প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা এবং রেলওয়ে এবং এনডিআরএফ উভয় দলের স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতির মূল্যায়ন করা।

আবীর ঘোষাল

Indian Railways: ভারতীয় রেলে OSOP প্রকল্প আপনাকে করতে পারে লাখপতি! সরকারি এই উদ্যোগ আপনি জানেন তো?

কলকাতা: OSOP আসলে কী ? OSOP অর্থাৎ “ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট”।  আপনার মতো সাধারণ মানুষ যারা বিভিন্ন হস্তশিপ্লের এবং ক্ষুদ্রশিল্পের সঙ্গে জড়িত কিন্তু এখনও সুযোগ পাননি যে নিজের তৈরি সামগ্রী অথবা আপনাদের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে সমষ্টিগত ভাবে তৈরি সামগ্রীকে বৃহত্তর বাজারে তুলে ধরতে, তাদের জন্য ভারত সরকার নিয়ে এসেছে “ভোকাল ফর লোকাল অ্যান্ড লোকাল টু গ্লোবাল ” প্রকল্প।

অর্থাৎ যদি আপনার তৈরি সামগ্রীকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সাহায্য করার কেউ না থাকে, সেই সুযোগ রেল আপনাকে এনে দিয়েছে “ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট” স্টলের মাধ্যমে।  রেলের বিভিন্ন স্টেশনে “ওয়ান স্টেশন ওয়ান প্রোডাক্ট” ষ্টল ইতিমধ্যেই আছে এবং এ বিষয়ে পূর্ব রেল  বিভিন্ন খবরের কাগজে  বিজ্ঞাপন দিয়েছে গত ১৯ অগাস্ট।

আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে গোয়েন্দাদের নজরে সন্দীপ ঘোষ, এবার গোপন জবানবন্দির তোড়জোড় CBI-এর

হাওড়া ডিভিশনের অন্তর্গত প্রায় ১০০টি স্টেশনে এবং শিয়ালদহ ডিভিশনে ও ১০০ টির কাছাকাছি  স্টেশনে এক স্টেশন এক পণ্য প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় হাওড়া, আদিসপ্তগ্রাম, অম্বিকা কালনা, আরামবাগ, আজিমগঞ্জ জংশন, চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া-সহ বিভিন্ন স্টেশনে স্টল স্থাপন করা হয়েছে। শিয়ালদহ ডিভিশনে দত্তপুকুর, পিয়ালী, লালগোলা, ভগবানগোলা, মুর্শিদাবাদ, কৃষ্ণনগর, বনগাঁ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট-সহ আরও অনেক স্টেশনে এই স্টলগুলো স্থাপন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: নেমপ্লেট আছে, মানুষটাই আর নেই! খাঁখাঁ করছে সোদপুরের চেম্বার, হাওয়ায় শুধু ভাসছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’!

কিন্তু আপনারা আবেদন করবেন কীভাবে ? 

আবেদনের প্রক্রিয়া খুবই সহজ। স্টেশন ম্যানেজার লেভেলে সাদা কাগজে আপনাকে আবেদন করতে হবে এবং ফি বাবদ  আপনাকে সামান্য কিছু টাকা পেমেন্ট করতে হবে রেজিস্ট্রেশনের জন্য। এরপর লটারি হবে, মোট যতজন আবেদনকারী আবেদন করবেন তাদের মধ্যে লটারী হবে সততা বজায় রাখার জন্য। আবেদনকারীদের মধ্যে কারা কতদিনের জন্য ষ্টল পাবেন সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই লটারি করা হবে। সবাই যাতে সমান সুযোগ পায় , সেজন্যই ভারতীয় রেলের এই সিদ্ধান্ত।

এই স্টলগুলোর জন্য যাঁরা ১৫ দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাঁদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫০০ টাকা (জিএসটি-সহ) এবং ২০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। ৩০ দিনের জন্য যাঁরা রেজিস্ট্রেশন করবেন, তাঁদের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফি ২০০০ টাকা (জিএসটি-সহ) এবং ৪০ ইউনিট বিদ্যুতের ব্যবহার বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। এর বাইরে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত চার্জ প্রযোজ্য হবে। বিস্তারিত তথ্য এবং শর্তাবলী www.er.Indianrailways.gov.in ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

স্থানীয় শিল্পী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ, যেখানে তাঁরা সহজেই তাঁদের পণ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পারছেন এবং যাত্রীরা সস্তায় তাঁদের পছন্দের হ্যান্ডক্র্যাফট পণ্য পেতে পারছেন। সাধারণ মানুষদের কথা ভেবেই ভারতীয় রেল এই ব্যবস্থা করেছে।

আবীর ঘোষাল

Rail: কেরলের ছায়া বাংলায়! শিয়ালদহে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস ঢুকতেই ভেঙে পড়ল মিডল বাঙ্কের শিকল! রক্তারক্তি কাণ্ড

কলকাতা: কেরলের ছায়া এবার এ রাজ্যে। এবার মিডল বাঙ্কের শিকল খুলে আহত যাত্রী। রবিবার সকালে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস শিয়ালদহ ঢোকার সময়ে লোয়ার বাঙ্কে বসেছিলেন বিমলেন্দু রায়। আচমকা তার মাথায় খুলে পড়ে শিকল। মাথা থেকে রক্ত বেরোতে থাকে। অভিযোগ, শিয়ালদহ স্টেশনে ঘটনা ঘটলেও রেলের কোনও ডাক্তার পাননি তিনি।

শেষ পর্যন্ত সহযাত্রীদের উদ্যোগে রেলের কর্মরত টিটিই তাকে স্টেশন মাস্টারের কাছে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে নীলরতন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কেরলের যাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল। যা নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। এরই মধ্যে খাস কলকাতায় ঘটল এই ঘটনা। ফের সমালোচনার মুখে রেল।

আরও পড়ুন: গুজরাতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ৬ তলা বাড়ি! ৭ জনের দেহ উদ্ধার, ধ্বংসস্তূপে আটকে অসংখ‍্য, কী কারণে বিপর্যয়?

প্রসঙ্গত, জুন মাসেই কেরলে বৃদ্ধ যাত্রীর ওপর ভেঙে পড়েছিল ট্রেনের আপার বার্থ। আচমকা এই ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছিল ওই যাত্রীর। কেরল থেকে নয়া দিল্লিগামী এর্নাকুলাম-হযরত নিজামুদ্দিন মিলেনিয়াম সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে (১২৬৪৫) ঘটেছিল এই মর্মান্তিক ঘটনা।

রেলের রক্ষণাবেক্ষণে গাফিলতির ফলেই এমন দুর্ঘটনা বলেই অভিযোগ উঠেছিল। ফের ঘটল একই রকম ঘটনা।

Eastern Railway: রোদ উঠুক বা ঝড় বৃষ্টি, শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বেহাল দশা রেল যাত্রীদের

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার বারুইপুর স্টেশন থেকে শুরু করে বহডু, কল্যাণপুর, মথুরাপুর সহ সব স্টেশনেই ঝড়-বৃষ্টি মাথায় নিয়েই সফর করেন যাত্রীরা। অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মেই শেড বলতে রয়েছে একটি। ভরদুপুরের চড়া গরমে কিংবা বৃষ্টির সময় ওই শেডের নিচেই গাদাগাদি করে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করেন যাত্রীরা। রেল কর্তৃপক্ষের এই ব্যাপারে হেলদোল নেই। এমন অব্যবস্থার ফলে ক্রমশ ভোগান্তি বাড়ছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার যাত্রীদের।

শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় অন্যতম ব্যস্ত স্টেশন হল বারুইপুর। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এখানে চারটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। এরমধ্যে ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বড় শেড থাকলেও ৩ এবং ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রয়েছে মাত্র একটি ছোট শেড। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা যাওয়ার ট্রেন থাকে অধিকাংশ সময়। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে সাধারণত বারুইপুর লোকাল বা আপ ট্রেন ছাড়ে। বৃষ্টি নামলে শেডের নিচে দাঁড়ানোর জন্য যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যে। এক যাত্রীদের কথায়, এই স্টেশনে যাত্রীদের ভালমন্দের দিকে রেলের কোনও নজর নেই। বৈধ টিকিট থাকলেও বৃষ্টিতে ভিজে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।

আর‌ও পড়ুন: মালাবদল করে শুরু ফুটবল ম্যাচ!

এছাড়া শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার আরও একটি বড় স্টেশন বহুডু। জয়নগরের মোয়ার জন্য বহুডুর নাম জগৎজোড়া। এই বহডুতেই বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটে। এই স্টেশনে দু’টি প্ল্যাটফর্ম থাকলেও মাত্র একটি করে শেড রয়েছে। ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে যেখানে শেডটি রয়েছে, সেখানে পৌঁছতেই যাত্রীদের অনেকটা সময় লেগে যায়। তাঁদের বক্তব্য, শুধু শেড নয়, পানীয় জলও সব সময় মেলে না। অন্যান্য স্টেশনেও কমবেশি এই সমস্যাগুলো বজায় আছে। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, খোঁজ নিয়ে দেখছি।

সুমন সাহা

Sealdah Train Problem: শিয়ালদহে মিটল রেলের কাজ, যাত্রী হয়রানি শেষ হল? ট্রেন স্বাভাবিক চলছে? বড় ঘোষণা

কলকাতা: নির্ধারিত সময়ের দু’ঘণ্টা আগেই শিয়ালদহ মেইন সেকশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের কাজ সুসম্পন্ন হয়েছে। শিয়ালদহ মেন সেকশনে ১২ কোচের EMU ট্রেন চালানোর জন্য কিছু পরিকাঠামোগত পরিবর্তনের অতি আবশ্যকতায় গত শুক্রবার থেকে রবিবার দুপুর দু’টো পর্যন্ত শিয়ালদহ স্টেশনের ১ নম্বর থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পর্যন্ত পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তবে এই কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের দু’ঘণ্টা আগেই শেষ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে রবিবার দুপুর বারোটা থেকে শিয়ালদহ মেন সেকশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্মে EMU ট্রেন পরিচালনা শুরু হয়েছে। এই বিশাল কর্মযজ্ঞে পূর্ব রেলের স্টাফ ও অফিসার মিলিয়ে প্রায় ৪০০ জন কর্মীর দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ এই কাজ নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি রেলের। এক্ষেত্রে ১ থেকে ৫ নম্বর প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্মে ট্রেন পরিচালনা শুরু হলেও কোনও কোনও ট্রেন যাত্রাপথে কিছুটা সময় বিলম্বিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আরও পড়ুন: তৃতীয় ‘টিম মোদি’-র মন্ত্রী হচ্ছেন সুকান্ত-শান্তনু, বদলাবে রাজ্য বিজেপির সভাপতি? তুমুল জল্পনা শুরু

দীপক নিগম, DRM শিয়ালদহ সকালে জানিয়েছিলেন, ‘কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে। ট্রেনের যে বাঞ্চিং হয়ে রয়েছে, সেগুলো ঠিক করে পরিষেবা একেবারে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে তিন চার ঘণ্টা সময় লেগে যাবে। ফেজ ২-এর কাজ শেষ হয়েছে, লেআউট পরিবর্তন হওয়ায় প্ল্যাটফর্ম এক্সটেনশনের জায়গা আমরা পেয়েছি। এবার বাকি কাজ সম্পূর্ণ করে জুলাইয়ের শুরু থেকে সব বারো বগির ট্রেন চালানো সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন: তমলুকে অভিজিতের কাছে হারলেন কেন? ‘দুই’ কারণ স্পষ্ট করে চাঞ্চল্যকর দাবি দেবাংশুর

শুক্র-শনির পর রবিবারাও চরম হয়রানির শিকার হতে হয় ন নিত্যযাত্রীদের। দমদম স্টেশনের মেট্রোতেও প্রবল ভিড়। শিয়ালদহ মেন লাইনে ট্রেন ক্যানসেল ও ১-৫ নম্বর স্টেশন বন্ধ থাকায় প্রচুর লোক যেতে পারছিলেন না ট্রেনে করে। তাই রবিবারও মেট্রো খুলতে না খুলতেই লম্বা লাইন পড়ে। অনেক ট্রেন চালু হলেও বড় স্টেশনগুলিতে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ শুরু হয়। নাজেহাল যাত্রীরা। এবার সমস্ত কাজ শেষ হয়েছে বলে জানাল রেল।

আবীর ঘোষাল

Sealdah Train Cancelled: চরম হয়রানি আজও, শিয়ালদহ থেকে বাতিল ১০০-র কাছাকাছি লোকাল ট্রেন, ভরসা বিশেষ বাস পরিষেবা

কলকাতা: শিয়ালদহ স্টেশনে কাজের জন্য বাতিল একাধিক ট্রেন। একাধিক ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে৷ যার জেরে দুর্ভোগের শিকার নিত্যযাত্রীরা৷ সমস্যা মেটাতে বাস চালানোর আবেদন করেছিল রাজ্য সরকার৷ সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বিশেষ বাস চালানো শুরু করল রাজ্য সরকার।

ডিআরএম শিয়ালদহের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সকাল ৬টা থেকে ব্যারাকপুর থেকে ডানলপ এবং ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন লাগোয়া দমদম জেল থেকে বেলগাছিয়া মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত দু’টি রুটে সরকারি বাসের শাটল পরিষেবা মিলবে। ব্যারাকপুর থেকে টিটাগড়, খড়দহ, পানিহাটি, রথতলা হয়ে ডানলপ পর্যন্ত বাস চলবে। অন্য দিকে, দমদম জেল থেকে নাগেরবাজার, লেক টাউন, পাতিপুকুর হয়ে বেলগাছিয়া মেট্রো পর্যন্ত সরকারি বাস আসবে। দু’টি বাসেই ভাড়া পড়বে ১০ টাকা করে।শিয়ালদহে এই কাজের জন্য প্রায় ৯০টি লোকাল ট্রেন বাতিল করেছে রেল।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

সেগুলির মধ্যে শিয়ালদহ থেকে ব্যারাকপুর, ডানকুনি এবং নৈহাটিগামী ট্রেনের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। এ ছাড়া, রানাঘাট, মধ্যমগ্রাম, দত্তপুকুর, গোবরডাঙা থেকে চলে— এমন বেশ কিছু লোকাল বাতিল করা হচ্ছে। বাতিল থাকছে শিয়ালদহ থেকে সিউড়ি এবং জঙ্গিপুর রুটের দু’টি মেমু এক্সপ্রেসও।এরই সঙ্গে শিয়ালদহ থেকে চলা অজমের এক্সপ্রেস, হাটে-বাজারে এক্সপ্রেস, বালুরঘাট এবং আসানসোল এক্সপ্রেস কলকাতা স্টেশন থেকে চালানো হবে।শিয়ালদহ স্টেশনের উত্তর এবং মেন শাখায় যে সব লোকাল ট্রেন চলে, সেগুলির ছাড়ার ব্যবধান সারা দিনে ওঠানামা করবে।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, “শিয়ালদার ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ১২ কোচের ট্রেন চালাতে শুরু করব খুব তাড়াতাড়ি। ৬ তারিখ মধ্যরাত থেকে ৯ তারিখ দুপুর ২টো পর্যন্ত অফিস টাইম বাদ বেশ কিছু ট্রেনের যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত করেছি। কিছু ট্রেনকে শিয়ালদায় নিতে পারছি না। এই সময়ে কিছু ট্রেন বারাসাত, দমদম, দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হবে। ৪০০-র উপর বেশি কর্মী এই কাজ করবে। জুন মাসের শুরুতে বা জুলাই মাসে এই পরিষেবা পৌঁছে দিতে পারি সেই আশা রাখছি।”