ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা

Lok Sabha Election 2024: হিংসামুক্ত নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ বিরোধীদের করলেন মানিক সাহা!

ত্রিপুরা: প্রচারে বেরিয়ে সরব ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা।  তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের কোন ভিত্তি নেই, তারা শুধু বিভ্রান্তি তৈরি করে৷’ ২০২৩ সালের পর হিংসা মুক্ত নির্বাচনের আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছে ত্রিপুরা, বিরোধীদের চ্যালেঞ্জ  মুখ্যমন্ত্রীর।  তিনি বলেন, ‘২০২৩ সালের পর হিংসা মুক্ত নির্বাচন করে আরেকটি ইতিহাস তৈরি করেছে ত্রিপুরা। কীভাবে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন করা যায় সেটা এই সরকার করে দেখিয়েছে। কমিউনিষ্ট – কংগ্রেসের কুশাসন, রাজনৈতিক হিংসা এবং নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস থেকে মুক্ত হয়ে এখন ডাবল ইঞ্জিন সরকারের বিকাশের দিশায় এগিয়ে চলেছে ত্রিপুরাবাসী। এর ফলে উন্নত হচ্ছে জনজাতিদের জীবনমান। সুশাসনের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে মোদি সরকারই একমাত্র ভরসা।’

আরও পড়ুনঃ ‘টুম্পা সোনা’-র পর জামাল কুদু! ফের প্যারোডি গানে বিজেপি-তৃণমূলকে কটাক্ষ বামেদের

লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব ত্রিপুরা জনজাতি সংরক্ষিত আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে ধলাই জেলার করমছড়ায় আয়োজিত সুবিশাল নির্বাচনী জনসমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে  একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর ডাঃমানিক সাহা।

সমাবেশে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য বিরোধী দলগুলির প্রবল সমালোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোট তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন সেটা পর্যন্ত নির্ধারণ করতে পারেনি। কারণ তাঁরা এই ইন্ডিয়া জোট সঠিকভাবে গঠন করতে পারেনি। কেরালা ও পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেস একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর ত্রিপুরায় তাঁরা একসঙ্গে লড়ছে। তাই এই জোটের কোন ভিত্তি নেই।’

মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘২০১৪ সালের আগে দেশের ভবিষ্যত নিয়ে বড়সর প্রশ্ন উঠে পড়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি আসার পর সবকিছু বদলে গেছে। আগে গোটা দেশ ও উত্তর পূর্বাঞ্চলে অস্থির পরিস্থিতি ছিল। কিন্তু এখন সর্বত্র শান্তি সুস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি কীভাবে অন্যান্য দেশের নেতারা প্রধানমন্ত্রী মোদিকে মিস্টার বস বলে সম্মান করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদি সবসময় মহিলা, যুবক, কৃষক এবং দরিদ্রদের জন্য কাজ করেন। তিনি বলছেন যে এই চারটি শ্রেণীর বিকাশ হলে দেশ উন্নত হবে না। আগে অনেক মানুষ উত্তর-পূর্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। কিন্তু যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি ক্ষমতায় আসেন তখন তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন এবং আমাদের হিরা মডেল, অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি দেন। এগুলির কারণেই আমরা ব্যাপক উন্নয়নের সাক্ষী হয়েছি।’

সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলগুলির কাজই হচ্ছে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা। আমরা প্রত্যক্ষ করেছি সিপিএমের শাসনামলে এই রাজ্যে কীভাবে হিংসার ঘটনা হতো। তখন বিরোধী দলের নেতাদের রাজ্য পর্যন্ত ছাড়তে হয়েছিল। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার রাজ্যে শান্তির পরিবেশ কায়েম রেখেছে। একটি উন্নত জাতি গঠনের জন্য এই লোকসভা নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেশকে রক্ষা করতে, দুর্নীতিমুক্ত ভারত গঠন করতে এই নির্বাচন খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধীরা দাবি করছে যে ত্রিপুরায় নাকি গণতন্ত্র নেই। কিন্তু তাদের সময়ে বহু মানুষ খুন হয়েছে। এমনকি তাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পর্যন্ত খুন করা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তাদেরও খুন করা হয়েছে। এই নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক খুনের মামলাগুলি পুন:তদন্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ডাঃ সাহা বলেন, ‘এই সরকার সর্বদা জনগণের সমস্যা সমাধানে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সেই সঙ্গে হিংসা মুক্ত নির্বাচনের আরো একটি ইতিহাস তৈরি করেছে। ২০২৩ সালের পরে গতকাল আবারও ইতিহাস তৈরি হয়েছে। পশ্চিম ত্রিপুরা লোকসভা আসনের নির্বাচনে সহিংসতার একটি ঘটনাও ঘটেনি। আমাদের দল হিংসার তীব্র বিরোধিতা করে। বিজেপি, আইপিএফটি ও তিপ্রা মথা মিলে ঐক্যবদ্ধ ত্রিপুরা ও উন্নত ত্রিপুরা গড়তে কাজ করবে।’