‘বাম আমলের খুনের মামলা গুলি পুনরায় খোলা হবে’, প্রচারে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহার

Lok Sabha Election 2024: ‘বাম আমলের রাজনৈতিক খুনের মামলা গুলি পুনরায় খোলা হবে’, নির্বাচনের প্রচারে হুঙ্কার মুখ্যমন্ত্রী মাণিক সাহার

ত্রিপুরা:  ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডঃ মানিক সাহা ভোট প্রচারে বলেন যে তিনি সিপিআইএম-এর শাসনকালে ঘটে যাওয়া সমস্ত রাজনৈতিক হত্যা মামলা পুনরায় খোলার বিষয়ে বিবেচনা করছেন এবং লোকসভা নির্বাচনের সমাপ্ত হবার পরেই আইন বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে তিনি এই বিষয়ে পরামর্শ চাইবেন।

প্রসঙ্গত  আগরতলার শান্তিপাড়ায় আয়োজিত একটি নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ডঃ সাহা বলেন যে “বিজেপি কার্যকর্তাদের একটি পার্টি এবং আসন্ন নির্বাচনে সবাই একত্রিতভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্য জনগণের কাছ থেকে আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য কাজ করছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিকশিত ভারতের স্বপ্ন পূরণের জন্য এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী মোদির হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। বিজেপি সবসময়ই নির্বাচনকে খুব গুরুত্ব সহকারে নেয়।  আমরা আমাদের বিজয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী এবং ভোটের হার বাড়াতে কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী মোদি মানেই গ্যারান্টি কারণ তিনি সবসময় বিকাশের জন্য কাজ করেন।  প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বদা মানুষের জন্য কাজ করেন।”

আরও পড়ুন: ৩১-এর সুন্দরী যুবতী অভিনেত্রী! হয়ে গেলেন ‘কল গার্ল’? মন খুলে বললেন,‘আমি খুব খুশি’, আসল ঘটনা জানলে চমকে যাবেন

তিনি আরোও বলেন “২০১৪ সাল থেকে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর  কংগ্রেস আমলের একাধিক দুর্নীতির কবল থেকে ভারত বেরিয়ে এসেছে। সিপিআইএম এবং কংগ্রেস তাদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই INDI জোট গঠন করেছে।এই ইন্ডি জোট শীঘ্রই ভেঙে পড়বে।  তাদের নিজেদের মধ্যেই বোঝাপড়া নেই।

ডঃ সাহা আরও জানান  “আমরা দেখেছি সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের শাসনামলে কীভাবে হিংসার বাতাবরন ছিলো।  তারা এখন একত্রিত হয়েছে। তারা সিপিআইএম-কংগ্রেস জোট বলতে লজ্জা বোধ করেন।  তারা জনগণকে বোকা বানাচ্ছে।

সিপিআইএম-এর বিরোধিতা করায় বহু লোককে হত্যা করা হয়েছে।  পশ্চিমবঙ্গে এবং ত্রিপুরায় যারা কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছে, সিপিআইএমের লোকেরা তাদের মেরেছে। শুধু তাই নয় দুই দলেরই বিধায়ক, মন্ত্রী-সহ অনেক লোকেকেই তারা খুন করেছে, এখন তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে এবং তাদের ৩৫ বছরের শাসনে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। নির্বাচনের পর, আমি ত্রিপুরায় সমস্ত রাজনৈতিক হত্যা মামলা খোলার ব্যাপারে ভাবছি এবং আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেব।

তিনি শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি এবং শিল্প ধ্বংস করার জন্য সিপিআইএম-এর তীব্র সমালোচনা করেন। “আমরা যদি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই বিজেপি প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে হবে,” বলে তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।