জলপাইগুড়ি: শতবর্ষ পার করেও ভোটদানে উৎসাহী ইনি! শতবর্ষ পেরোনো মা ভোট দিলেন শতবর্ষ ছুঁই ছুঁই ছেলের সঙ্গে। ১১৭ বছর বয়সে এসেও গণতান্ত্রিক অধিকার বজায় রাখতে বেশ উৎসাহী মাঝিয়াশ্বরী রায়। বড় ছেলে কালীকান্ত রায়ের বয়স ৯৬। বয়সের ভারে নুব্জ দু’জনেই।
১১৭ বছর বয়সে জরাজীর্ণ শরীরে চোখে মুখে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। ঠিকমতো চলাফেরাও করতে পারেন না। কিন্তু, এই অবস্থাতেই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পিছুপা হননি জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির সাঁকোয়াঝড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব মল্লিকপাড়ার বৃদ্ধা মাঝিয়াশ্বরী রায় ও কালীকান্ত রায়।
যদিও ভোটার কার্ড অনুযায়ী বয়সের দিক থেকে মা এবং ছেলে সমবয়সি। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি,মাঝিয়াশ্বরী রায়ের বয়স আনুমানিক ১১৭ বছর। তিনি বিয়ে দেখেছেন নাতি সহ পুতির। প্রতি বছর ভোট দিয়ে নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার টিকিয়ে রাখেন। এ বছরও হয় নি তার অন্যথা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট রয়েছে ১৯ এপ্রিল। তার আগেই ৮৫ ঊর্ধ্ব বয়সি বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট গ্রহণ করার সুব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন।
তাই এবার বুথে গিয়ে নয়, বাড়িতে বসেই ভোট দিলেন মা ও ছেলে। ভোট দেওয়ার পর মাঝিয়াশ্বরী রায় জানিয়েছেন, ভোট দিয়ে খুব ভাল লাগছে। তিনি জানান, তাঁদের সময়ে ভোটে এত মারামারি হত না। তবে, বুথে গিয়ে ভোট দিলে বেশি আনন্দ পেত এমনই দাবি বৃদ্ধার নাতির। যেখানেই হোক না কেন ভোট দিয়ে কিন্তু বেশ উৎসাহিত দুজনেই।
জানা গিয়েছে, মাঝিয়াশ্বরী দেবীর পাঁচ ছেলের মধ্যে এক ছেলের মৃত্যু হলেও চার ছেলেরাই এখন সত্তরোর্ধ্ব। শতবর্ষ ছুঁয়েও গণতান্ত্রিক অধিকার ধরে রাখার বিষয়ে যে তিনি এত সচেতন তা নিয়ে খুশি সকলেই। মাঝিয়াশ্বরী দেবীর মত ব্যক্তিদের এমন উৎসাহই বুঝিয়ে দেয়, বয়স একটি সংখ্যা মাত্র।
সুরজিৎ দে