দক্ষিণবঙ্গ: ভোটপর্বে এই প্রথম৷ ‘অধিকারী গড়’কাঁথিতে প্রচারসভা করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গত বুধবার চুঁচুড়ার সভা থেকে মমতাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, লোকসভা নির্বাচনে জিতে যদি শেষ পর্যন্ত ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করতে পারে, তাহলেও সরকারে থাকবে না তৃণমূল কংগ্রেস৷ শুধুমাত্র সরকার গঠনে সাহায্য করতে বাইরে থেকেই নতুন সরকারকে সমর্থন করবে তৃণমূল৷ কিন্তু, আজ তাঁর মুখে শোনা গেল একটু অন্য কথা৷
এদিন কাঁথির সভা থেকে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোট নিয়ে কাটাকুটি করবেন না। কংগ্রেস,সিপিআইএম বিজেপি-র টাকায় ভোট দাড়িয়ে যদি ভোট কেটে দেন, তাহলে বিজেপি-এর লাভ হবে। ইন্ডিয়া জোটটা আমি তৈরি করেছি।’’
এরপরেই জোর গলায় মমতা বলেন, ‘‘আমি জোটে আছি,থাকব৷ অনেকে ভুল বুঝেছে। ইন্ডিয়া জোটে আমরা থাকব। কোনও ভুল বোঝাবুঝির ব্যাপার নেই।’’
আরও পড়ুন: ‘এবার ওরা হারছে..,’ ২০০-ও পেরবে না বিজেপি, কোন কোন রাজ্যে হারছে…বুঝিয়ে দিলেন মমতা
লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিপর্বের একটা বড় সময় ধরেই সারা দেশ জুড়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলি নিয়ে তৈরি হতে দেখা গিয়েছি ইন্ডিয়া জোট৷ যেখানে মূল হোতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল, নীতীশ কুমার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদবদের৷ বিজেপি বিরোধী মঞ্চে সনিয়া, রাহুল, খাড়্গেদের পাশেই ছিলেন মমতা, নীতীশরা৷
কিন্তু, পরবর্তীকালে আসন সমঝোতা প্রশ্নে সমস্যা দেখা দেয় দলগুলির মধ্যে৷ যেমন, বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে যে আসন সমঝোতা হবে না, তা স্পষ্ট করে দেন মমতা৷ অভিষেকও জানিয়ে দেন, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর জন্যেই পশ্চিমবঙ্গে ইন্ডিয়ার জোট হয়নি৷ অধীর চৌধুরীও বার বার একাধিক বিষয় নিয়ে তুলোধনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে৷
ইন্ডিয়া জোট নিয়ে মমতার গত বুধবারের মন্তব্য সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি ওঁকে বিশ্বাস করি না৷ উনি জোট ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন৷ উনি তো বিজেপির সঙ্গেও যেতে পারেন…ওরা কংগ্রেসকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে৷ এই ক’দিন আগেই বলছিল কংগ্রেস ৪০টার বেশি আসন পাবে না৷ এখন আবার বলছে অন্য কথা৷ এর মানে কংগ্রেস এবং জোট ক্ষমতায় এলেই উনি সেখানে থাকতে চাইছেন৷’’