ধূপগুড়ি: দুর্নীতি ইস্যু থেকে শুরু করে ইডি-এনআইএ-কে আক্রমণ৷ রবিবার ধূপগুড়ির সভায় মোদির বক্তৃতার আদ্যোপান্ত জুড়েই রইল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল কংগ্রেসকে ধারাল আক্রমণ৷ শুধু তাই নয়, ধূপগুড়ির সভা থেকে প্রতিটা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থীর জামানত জব্দ করার ডাক দিলেন তিনি৷
কোচবিহারের পরে এদিন ধূপগুড়িতে বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ শুরুর দিকে ঝড়ে সর্বস্বান্ত এবং আহত জলপাইগুড়ির মানুষকে সমবেদনা জানান মোদি৷ তারপর উন্নয়নের বিষয়ক কিছু শব্দ খরচ করার পরেই সরাসরি চলে যান তৃণমূলকে জোরাল আক্রমণের পথে৷
রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে ‘গরিববিরোধী’ বলে আক্রমণ করে মোদি বলেন, ‘‘এঁরা কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাংলায় চালু হতে দিচ্ছে না। এখানকার চা বাগানের শ্রমিক এবং চা শিল্পের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ এবং এ জন্য তৃণমূল সরকার কিছুই করে না৷ এভাবেই ফেলে রেখে দিয়েছে৷’’
এদিনও দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে মোদির আক্রমণ, ‘‘রেশন দুর্নীতি থেকে শুরু করে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি৷ যেখানে সেখানে সিন্ডিকেট, তোলাবাজি৷ এঁদের কি আপনারা ছেড়ে দেবেন?’’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, তোলাবাজির অভিযোগ তুলে তাদের শিক্ষা দেওয়ার ডাক দেন মোদি। বললেন, “দেশের আইন এবং সংবিধানকে তছনছ করছে তৃণমূল।এই ভোটে তৃণমূলকে সবক শেখানো খুব জরুরি। এক একটি বুথে তৃণমূলের জমানত জব্দ করতে হবে?” এদিনের বক্তৃতায় মোদির কথায় ফের উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও৷
তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল চায় ওদের গুন্ডাদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্স মিলুক। তন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের উপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল। সন্দেশখালিতে আপনারা দেখেছেন, কী হয়েছে। এখানে প্রত্যেক ঘটনায় আদালকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।’’
এদিনও পশ্চিমবঙ্গ থেকে উদ্ধার দুর্নীতি ৩৫০০ কোটি টাকা বঞ্চিতদের ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন মোদি৷