সুজন চক্রবর্তী

Lok Sabha Elections 2024: দমদমে প্রচারে এলেন না প্রধানমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি নিয়ে কি বললেন সুজন চক্রবর্তী, জানুন

দমদমঃ লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। ১ জুন শেষ দফার নির্বাচন হবে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট, দমদমের মতো কেন্দ্রগুলিতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ প্রচার। তার আগে সব দলের তারকা প্রার্থীরা কার্যত চষে বেরিয়েছেন কেন্দ্রগুলিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাটি কামড়ে পড়েছিলেন রাজ্যে। একদিনে একাধিক সভা যেমন করেছেন তেমনই করেছেন রোড শো। ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজের দলের প্রার্থীদের সমর্থনে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে উড়ে বেরিয়েছেন। এইরকম হেভি ওয়েট নেতৃত্বের প্রচারে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব পড়ে একই সঙ্গে দলের নিচুতলার নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয় বলেই মনে করা হয়। সেই কারণে অসংখ্য প্রচারের পরেও বার বার ছুটে বেড়াতে হয় নেতৃত্বকে।

তবে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিপরীত প্রচার কৌশল লক্ষ্য করেছে রাজনৈতিক মহল। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন। আবার প্রায় সারা রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রচারে গেলেও এই কেন্দ্রে একবারও প্রচারে দেখা মিলল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আর এই নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রেের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুনঃ পুরীতে জগন্নাথ দেবের চন্দনযাত্রায় ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণ! আগুনে ঝলসে গেল বহু পুণ্যার্থী, মৃত ৩

তিনি বলেন, “বিজেপি বুঝে গিয়েছে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে লড়াইতে তারা নেই। দমদম কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী একটা মিটিংও করলেন না। বুঝে গেছেন দমদম ইজ আর লস্ট কেস। বিজেপির ওখানে কোনও অস্তিত্বই নেই। পারলে প্রায় বিজেপি নির্বাচনের প্রসঙ্গই নয়। সবাই বুঝে গিয়েছেন। দমদমের আসেপাশে মোদীজি চক্কর কাটলেন। অথচ দমদমে আসার সাহস পেলেন না।”

আবার ওই কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি নিয়েও তিনি জানান, “তৃণমূল জিতবেই সেই রকম মনোভাব ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এখন তিনি বুঝে গেছেন তৃণমূলের হাল খারাপ। সাত-আটটা মিটিং করলেন। কোনও মিটিং-এ লোক জুটল না। লোক যা তার চাইতে পুলিশ বেশি। রোড শো করলেন রোড শোতে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হল। মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হলো। মানুষ নেই ফাঁকা মাঠে উনি চলেছেন পুলিশের বাহিনী নিয়ে। সেটা বিরাটিতেই হোক বা বরানগরেই হোক। বিজেপি বুঝে গেছে লড়াইতে নেই। সেই কারণে মোদিজি আসেনি। মমতা বুঝে গিয়েছে হাল খুব খারাপ। সেই কারণে ঘন ঘন আসছে তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না”।

Ujjal Roy