Tag Archives: Sujan Chakraborty

Lok Sabha Election 2024 Phase 7:ভোটের সকাল থেকেই তুমুল তৎপর বাম প্রার্থীরা, প্রতিকুর ধরলেন ভুয়ো ভোটার, আর সুজন…

কলকাতাঃ দেখতে দেখতে শেষ দফায় এসে দাঁড়িল চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আজ রাজ‍্যের ৯ কেন্দ্রে ভোট। পশ্চিমবঙ্গে সৌগত রায়, মালা রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের প্রথমসারির নেতাদের ভাগ্যপরীক্ষা আজ। তালিকায় রয়েছেন বামেদের সুজন চক্রবর্তী, সায়রা শাহ হালিম, সৃজন ভট্টাচার্যের, প্রতিকুর রহমানের নাম। চলতি বছর ভোটের শুরু থেকেই সক্রিয় বামেদের তরুণ ব্রিগেড।

নির্বাচন রেজাল্ট ২০২৪, লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ রেজাল্ট

আরও পড়ুনঃ বরাহনগরে মুখোমুখি সায়ন্তিকা-সজল! জ্যোতি বসুর গড়ে শিকে ছিঁড়বে বাম প্রার্থী তন্ময়ের? নাকি একদা লাল দুর্গে ফুটবে ফের ফুল?

আজ সকাল থেকেই নিজেদের কেন্দ্রে কড়া নজর রাখছে সুজন-প্রতিকুর-সৃজনরা। বারুইপুরে বাধার মুখে পড়ল সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ। যাদবপুরের সিপিএম প্রার্থী ঢুকতেই বিক্ষোভ শুরু হয়। বুথের ১০০ মিটারের মধ্যে জমায়েত কেন, এই প্রশ্ন তুলতে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিপিএম প্রার্থী। তাঁকে ঘিরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়।

এক্সিট পোল ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনেরএক্সিট পোল ২০২৪ পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচন

লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ বুথ ফেরত সমীক্ষা

অন‍্যদিকে, ডায়মন্ড হারবারের সিপিএম প্রার্থী প্রতিকুর রহমান ধরলেন ভুয়ো ভোটার। প্রতিকুরের অভিযোগ ওই ব্যক্তি এসেছিলেন ফলস ভোট দিতে। তখনই হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় সে। বাম প্রার্থীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দিলেন দে ছুট। দক্ষিণ কলকাতার সিপিএম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম পিকনিক গার্ডেন্সের এক কেন্দ্রে এক ভুয়ো ভোটার ধরেন।

অপরদিকে, ভোটের দিন সৌজন‍্যতার নজির গড়লেন সুজন চক্রবর্তীর। বুথের সামনে সিপিআইএম কর্মীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছিলেন। সেই সময় তৃণমূল এজেন্ট প্রতিবাদ করেন। বিষয়টি উত্তপ্ত হচ্ছে দেখে সুজন চক্রবর্তী নিজেই আসরে নামেন। বিরোধী এজেন্টের হাত ধরে সবাই মিলে ভোট করার জন্য আবেদন করেন। তৃণমূল এজেন্ট কথা দেন শান্তিপূর্ণ ভোট হবে কোন দুশ্চিন্তা নেই

Lok Sabha Elections 2024: দমদমে প্রচারে এলেন না প্রধানমন্ত্রী! মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি নিয়ে কি বললেন সুজন চক্রবর্তী, জানুন

দমদমঃ লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। ১ জুন শেষ দফার নির্বাচন হবে কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, বসিরহাট, দমদমের মতো কেন্দ্রগুলিতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শেষ প্রচার। তার আগে সব দলের তারকা প্রার্থীরা কার্যত চষে বেরিয়েছেন কেন্দ্রগুলিতে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মাটি কামড়ে পড়েছিলেন রাজ্যে। একদিনে একাধিক সভা যেমন করেছেন তেমনই করেছেন রোড শো। ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও নিজের দলের প্রার্থীদের সমর্থনে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে উড়ে বেরিয়েছেন। এইরকম হেভি ওয়েট নেতৃত্বের প্রচারে ভোটারদের মধ্যে প্রভাব পড়ে একই সঙ্গে দলের নিচুতলার নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয় বলেই মনে করা হয়। সেই কারণে অসংখ্য প্রচারের পরেও বার বার ছুটে বেড়াতে হয় নেতৃত্বকে।

তবে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি এবং তৃণমূলের বিপরীত প্রচার কৌশল লক্ষ্য করেছে রাজনৈতিক মহল। এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় একাধিক কর্মসূচি নিয়েছেন। আবার প্রায় সারা রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রচারে গেলেও এই কেন্দ্রে একবারও প্রচারে দেখা মিলল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আর এই নিয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন দমদম লোকসভা কেন্দ্রেের সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী।

আরও পড়ুনঃ পুরীতে জগন্নাথ দেবের চন্দনযাত্রায় ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণ! আগুনে ঝলসে গেল বহু পুণ্যার্থী, মৃত ৩

তিনি বলেন, “বিজেপি বুঝে গিয়েছে দমদম লোকসভা কেন্দ্রে লড়াইতে তারা নেই। দমদম কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী একটা মিটিংও করলেন না। বুঝে গেছেন দমদম ইজ আর লস্ট কেস। বিজেপির ওখানে কোনও অস্তিত্বই নেই। পারলে প্রায় বিজেপি নির্বাচনের প্রসঙ্গই নয়। সবাই বুঝে গিয়েছেন। দমদমের আসেপাশে মোদীজি চক্কর কাটলেন। অথচ দমদমে আসার সাহস পেলেন না।”

আবার ওই কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক কর্মসূচি নিয়েও তিনি জানান, “তৃণমূল জিতবেই সেই রকম মনোভাব ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। এখন তিনি বুঝে গেছেন তৃণমূলের হাল খারাপ। সাত-আটটা মিটিং করলেন। কোনও মিটিং-এ লোক জুটল না। লোক যা তার চাইতে পুলিশ বেশি। রোড শো করলেন রোড শোতে রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হল। মানুষকে ভোগান্তির মধ্যে ফেলা হলো। মানুষ নেই ফাঁকা মাঠে উনি চলেছেন পুলিশের বাহিনী নিয়ে। সেটা বিরাটিতেই হোক বা বরানগরেই হোক। বিজেপি বুঝে গেছে লড়াইতে নেই। সেই কারণে মোদিজি আসেনি। মমতা বুঝে গিয়েছে হাল খুব খারাপ। সেই কারণে ঘন ঘন আসছে তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না”।

Ujjal Roy 

Sujan Chakraborty: গরমে প্রচারে সুজন চক্রবর্তী, না খেয়ে টিফিনের সব টাকা হাতে তুলে দিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী!

সুবীর দে,বেলঘরিয়া: প্রখর গরমে প্রচারে দমদমের সিপিআইএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। আর সেই প্রচারের সময়ই নিজের টিফিনের জমানো টাকার বাক্স প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর হাতে তুলে দিল এক পড়ুয়া।

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রখর গরমকে উপেক্ষা জোর কদমে চলছে ভোট প্রচার। বয়সকে উপেক্ষা করেও প্রার্থী তালিকাতে নিজের নাম প্রকাশের পর থেকেই দমদম লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম মনোনীত প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী দমদম লোকসভার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে ভোট প্রচার করছেন। সেরকমই আজ সকালে কামারহাটি পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেলঘড়িয়া সিদ্ধার্থ শংকর রায় কলোনি এলাকা থেকে শুরু হয় এক বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মাধ্যমে ভোট প্রচার। প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী কয়েকশো কর্মী সমর্থকদের সাথে নিয়ে মিছিলে পা মেলান। এই দিনের এই মিছিলে প্রার্থীকে দেখবার জন্য রাস্তার ধারে বহু প্রবীণরা ভিড় জমান। আবার কেউ প্রার্থীকে মালা পরিয়ে বরণ করে নেন।

আরও পড়ুন: বইছে লু…! ছুটছে আগুন…! পুড়ছে চামড়া! ১৮-২১ কী হবে দেশ জুড়ে? কেমন থাকবে বাংলা? আইএমডি-র বিরাট ‘সতর্কবাণী’

বেলঘড়িয়া মহাকালী হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী সুদেষ্ণা শিখ। নিজের টিফিন না খেয়ে সেই টিফিনের টাকা জমিয়ে সেই টাকার বাক্স তুলে দিল সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর হাতে। ভোটার না হলেও আমার সুজন বাবুকে। আমি তাই টাকা জমিয়েছি। এমনই বললেন প্রার্থী সুজন চক্রবর্তীর ক্ষুদে ভক্ত স্কুলছাত্রী।

রামনবমীর অনুষ্ঠান নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন সিপিআইএম প্রার্থী। সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী বলেন, রামনবমী তো বাংলার পরিচিত উৎসব ছিল না। রামনবমী নিয়ে বিজেপি তৃণমূলের প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিযোগিতাটা কাজের মধ্যে হলে ভালো হয়। অস্ত্র হাতে যেভাবে ঝনঝনানি বাড়ছে। সেটা ভাল হচ্ছে না।

Sujan Chakraborty: ‘সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগীকে কবে জেরা?’ স্ত্রী-র চাকরি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই আসরে সুজন চক্রবর্তী

কলকাতা: ‘নিয়োগ দুর্নীতির ফাঁস’! সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। স্রেফ বিবৃতি দাবি নয়, তদন্তেরও আর্জি জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। পাল্টা সুজন চক্রবর্তীর চ্যালেঞ্জ, ‘খুঁজে বার করুক না।’ তৃণমূলের অভিযোগ, সুজনবাবুর স্ত্রী ১৯৮৭ সালে পয়লা অগাস্ট জয়েন করেছিলেন ল্য়াবরেটরি অ্য়াসিস্টেন্ট হিসেবে দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুস কলেজে। তিনি কোন ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন? তিনি কোন পরীক্ষা দিয়েছিলেন? এটা যদি জনসমক্ষে সুজন বাবু জানান, তাহলে আমি খুব উপকৃত হব’। পার্থ ভৌমিকের আরও বক্তব্য, ‘ব্রাত্য বসুর কাছে অনুরোধ জানাব, তিনি যদি দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে ১৯৮৭ সালের পয়লা অগাস্ট সুজনবাবুর স্ত্রী যে চাকরিটা পেয়েছিলেন, সেটা নিয়ে যদি তদন্ত করেন, আমি বাধিত হব’। একই দাবি করেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। এবার কুণালকেই পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন সুজন।

সুজন চক্রবর্তী পাল্টা ট্যুইট করে বলেন, ”পার্থবাবু জেলে থেকে যাদের নামে অভিযোগ করেছেন তাদের হেফাজতে নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত, কুণাল ঘোষ বলছেন। বেশ তো! তাহলে সারদার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী বলে কুনাল যে মমতা ব্যানার্জিকে অভিযুক্ত করেছিলেন তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ কবে শুরু হবে? আমি রাজি। ওরা প্রস্তুত তো!! (বানান অপরিবর্তীত)”

আরও পড়ুন: ফের কংগ্রেসের পালে হাওয়া, তৃণমূলে বড় ভাঙন! অন্য পথের সন্ধান দিচ্ছে মুর্শিদাবাদ?

যদিও সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি নিয়ে তৃণমূল ইতিমধ্যেই ট্যুইট করে লিখেছে, ‘প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী কোনও পরীক্ষায় পাশ করেননি। কিন্ত ৩৪ বছর চাকরি করেছেন দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুস কলেজে। যখন অবসর নেন, তখন বেসিক পে ছিল ৫৫ হাজার টাকা। এখন রাজ্য সরকারের পেনশনও নেন তিনি’।

আরও পড়ুন: আর রক্ষে নেই অনুব্রতর, গরু-কয়লা কাণ্ডের পর আরও বড় দুর্নীতিতে যোগ? বিস্ফোরক তথ্য

এদিকে চুপ করে থাকেননি সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর চ্য়ালেঞ্জ, ‘আমার কোনও অসুবিধা নেই। ১৯৯০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যখন তালিকা বের করবেন, সেই তালিকায় সব থাকবে তো। বার করুন না। তারপর খেলা দেখিয়ে দেব’। এবার সরাসরি কুণাল ঘোষকে নিশানা করলেন তিনি।