পশ্চিম বর্ধমান: রাজনীতির ময়দানে লড়াইটা আলাদা। সেখানে আলাদা রং, আলাদা প্রতীক। আলাদা রাজনৈতিক মতাদর্শ। কিন্তু সৌজন্যতা রংহীন। এখানে মনুষ্যত্ব আর বিবেকই সবথেকে বড় প্রতীক। সেই ছবি আবার উঠে এল কুলটির মিঠানি গ্রামে। যেখানে একসঙ্গে দেখা গেল তৃণমূল নেতা এবং বিজেপি নেতাকে। জনসমক্ষে হল সাক্ষাৎ। একে অপরের স্বাস্থ্য নিয়ে নিলেন খোঁজখবর।
কুলটির মিঠানি গ্রাম। সেখানেই চলছে একটি মেলা। এদিন সেই মেলাতে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। অন্যদিকে, সেই মেলাতেই হাজির ছিলেন কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। মেলাতে উজ্জ্বল বাবুকে দেখে তাঁর কাছে এগিয়ে যান জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তারপর সেখানেই হয়েছে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ।
আরও পড়ুন:কেন হাতে পায়ে ঝিন ধরে জানেন?…কোন ভিটামিনের অভাবে? খবরদার ফেলে রাখবেন না একদম!
যদিও প্রথমে এই ছবি দেখে আচমকা অনেকেই হকচকিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এটা যে নিছকই সৌজন্যতামূলক সাক্ষাৎকার, তা জানিয়েছেন জিতেন্দ্র। তৃণমূল নেতার সঙ্গে বার্তালাপ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, উনি জেলার সিনিয়র নেতা। একসঙ্গে তারা রাজনীতি করেছেন। উনি তাঁর পূর্ব পরিচিত। তাই এখানে দেখা হলে কথা বলাটাই স্বাভাবিক। এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই।
একই সুর উঠে এসেছে তৃণমূল নেতার কথাতেও। উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, এখানে মেলা চলছে। তাই অনেকেই আসছেন। তেমনভাবেই এসেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। অতীতে তাঁরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তাঁরা একে অপরের পূর্ব পরিচিত। তাই তাঁরা কথাবার্তা বলেছেন। সাধারণ কথাবার্তা হয়েছে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অতীতে জিতেন্দ্র তিওয়ারি ছিলেন আসানসোলের মেয়র। ছিলেন ঘাসফুল শিবিরের সদস্য। তবে এখন দলীয় প্রতীক বদলেছে। কিন্তু রাজনীতির ময়দান আলাদা হলেও সৌজন্যতা যে শেষ হয়নি, সেই কথা আবার প্রমাণ করেছে এই ছবি।
নয়ন ঘোষ