হুগলি: একজন দুঁদে রাজনীতিক। বহু বছরের পোড় খাওয়া। আরেকজন রাজনীতির ময়দানে একেবারেই নতুন। একাধিক ছবিতে প্রতিপক্ষ হয়েছেন তাঁরা। এবার রণাঙ্গনে মুখোমুখি। কিন্তু শেষ হাসি হাসলেন রচনাই। দিদি নম্বর ওয়ানের কাছে ধরাশায়ী লকেট।
জেতার পরে রচনা জানিয়েছেন তিনি মানুষের জন্য কাজ করবেন। তবে তাঁর চোখে ‘দিদি নম্বর ওয়ান’ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আপাতত ‘হুগলি নম্বর ওয়ান।’
১৯৮০ থেকে সাত বার সেখানে জিতেছিলেন সিপিএম নেতা রূপচাঁদ পাল। এরপর ২০০৯ সালে তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের কাছে হারেন। এখন সেই আসনেই সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। উল্টো দিকে রয়েছেন রচনা। বাংলায় তাঁর ভক্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বলা ভাল, আপামর বাঙালি দর্শকের কাছে তিনি দিদি নম্বর ১। তবে রাজনীতি এর আগে কখনও করেননি। এবার কি নতুন মুখকে ভরসা করবেন হুগলিবাসী? এই প্রশ্ন ছিলই। উত্তরও মিলে গেল। হুগলিতে তৃণমূলের নতুন অধ্যায় রচনাই।
শুক্রবার রচনাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”এক্সিট পোলের উপর বিচার করে কিছু বলব না। এক্সিট পোল অনেক কিছুই বলছে, হুগলি নিয়েও বলেছে। যা হবে সেটা মেনে নেব, দিদিও মেনে নেবে। প্রচারের সময় দেখেছি কাতারে কাতারে মানুষ ভালবাসা দিয়েছে, তারা ভোট বাক্সে ভোটটা দিয়েছে কিনা, এটা কাল বুঝতে পারব।”
এক সময়ের সহকর্মী লকেট রাজনীতির ময়দানে অনেকটাই অভিজ্ঞ। তবু নির্বাচনী প্রচারে রীতিমতো ঝড় তুলেছিলেন রচনা। ভোটের ফল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী রচনা বলেছিলেন, শেষ হাসি হাসবেন তিনিই। তাইই হল শেষমেশ।