ব্যবসা-বাণিজ্য ১৫ বছর পর থেকে বছরে ২৫ লাখ টাকা মুনাফা! টপ-আপ SIP-তেই রয়েছে আসল ম্যাজিক Gallery September 17, 2024 Bangla Digital Desk SIP থেকে বিপুল লাভ পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে অনেকেই জানেন না, স্টেপ আপ এসআইপি থেকে আরও বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। বিনিয়োগকারীর আয় যেমন বাড়বে তেমনই বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানোর সুবিধা পাওয়া যায় এতে। ছোট ছোট পদক্ষেপেই লম্বা ম্যারাথন দৌড়তে হয়। টপ আপ এসআইপিও সেরকম। প্রতি বছর অল্প পরিমাণ বিনিয়োগ বাড়িয়ে বড় আর্থিক লক্ষ্য অর্জনের দিকে নিয়ে যায় বিনিয়োগকারীকে। বিনিয়োগ এবং সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে এই কৌশল কাজেও দেয় খুব। ধরে নেওয়া যাক, কেউ প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকার এসআইপি করলেন। দীর্ঘমেয়াদে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন সহজেই পাওয়া যায়। এখন তিনি প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে টপ আপ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তাহলে ৭ বছর পর টপ আপ এসআইপির চ্যালু দাঁড়াবে ২৫,৬৪,২৯১ টাকা। ১০ বছরে ৫০,৬১,৪৮৯ টাকা। ১২ বছর পর টপ আপ এসআইপির ভ্যালু দাঁড়াবে ৭৫,৩৬,৫১২ টাকা, ১৪ বছর পর ১,০৫,১৫৪১০ টাকা, ১৫ বছর পর ১,২৫,১০,২২৩ টাকা, ১৫ বছর পর ১,৫০,১৭,৭০৭ টাকা, ১৭ বছর পর ১,৭৪,৮২,৭১৭ টাকা এবং ১৮ বছর পর তা হবে ২,০৫,৫৬,৫১২ টাকা। ১৮ বছরের পর থেকে বৃদ্ধি হবে আরও দ্রুত। কারণ কমপাউন্ডিং। ১৯ বছর পর টপ আপ এসআইপির ভ্যালু দাঁড়াবে ২,৪০,৯৬,৮০৫ টাকা, ২০ বছরে হবে ২,৯১,৬৮,০৫৭ টাকা, ২১ বছরে ৩,১৮,৪৬,৭১১ টাকা এবং ২২ বছরে ৩,৮২১৬,৬৫১ টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে। টপ আপ এসআইপিতে কীভাবে বিনিয়োগ করতে হয়: ধরে নেওয়া যাক, মাসে ১০ হাজার টাকার এসআইপি বিনিয়োগ শুরু করলেন এক ব্যক্তি। প্রতি বছর তিনি ১০ শতাংশ হারে টপ আপ করবেন। তাহলে প্রথম বছর প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলেন। ১৩ তম মাস থেকে বিনিয়োগে ১০ হাজার টাকার দশ শতাংশ হাজার টাকাও যোগ হবে। অর্থাৎ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ১১ হাজার টাকা। এভাবে ২৪ তম মাস পর্যন্ত চলবে। ২৫ তম মাস অর্থাৎ তৃতীয় বছরে ১১ হাজার টাকার উপর আরও ১০ শতাংশ বিনিয়োগ বাড়াবেন তিনি। এভাবে প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।