বর্তমানে ‘মি টু’ আন্দোলনে উত্তাল মালয়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। এবার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে এক তামিল পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন লাঞ্ছনার অভিযোগ আনলেন মালয়ালম অভিনেত্রী। তাঁর দাবি, ওই পরিচালক তাঁকে যৌনদাসী হওয়ার জন্য রীতিমতো ‘প্রশিক্ষণ’ দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, একবার পরিচালকের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় রীতিমতো জোর করেই চুমু খেয়েছিলেন তিনি। এরপর অভিনেত্রী জানান যে, ওই ব্যক্তির তৈরি একটি ছবিতে একপ্রকার বাধ্য হয়েই অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে এ-ও স্বীকার করে নিয়েছিলেন যে, তিনি একেবারেই ওই ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না।
যদিও তামিল পরিচালকের নাম প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী। তবে তাঁর বক্তব্য, ওই ব্যক্তির নাম তিনি কেরল সরকার দ্বারা গঠিত বিশেষ পুলিশ দলের কাছেই জানাবেন। আসলে এই বিশেষ পুলিশ দলই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ঘটা যৌন হেনস্থার অভিযোগগুলিকে খতিয়ে দেখছে।
এনডিটিভি-র কাছে অভিনেত্রী জানান যে, “একদিন ওঁর স্ত্রী বাড়ি ছিলেন না। উনি না কি আমাকে নিজের কন্যাসন্তানের মতো দেখেন বলে দাবি করে আমায় জোর করে চুমু খান। আমি তো পুরোপুরি শক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি তো এই ঘটনার কথা বন্ধুদেরও জানাতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি… আমি লজ্জিত। ভেবেছিলাম যে, আমিই বোধহয় কিছু ভুল করেছি। ফলে আমি তাঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে বাধ্য।”
অভিনেত্রী আরও বলে চলেন, “তাই নাচের রিহার্সাল আমি চালিয়ে যাচ্ছিলাম… প্রতিদিন আমি যখন যেতাম। আর ধীরে ধীরে ওই লোকটা আমার শরীরকে সম্পূর্ণ ভাবে নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করে গিয়েছেন। একটা পর্যায়ে গিয়ে তো উনি আমার সঙ্গে জোরজবরদস্তি করেছিলেন…. ওই ব্যক্তি আমায় ধর্ষণ করেছিলেন। আমি কলেজে পড়াকালীন প্রায় বছর খানেক এমনটা চলেছিল।”
অভিনেত্রীর দাবি, পরিচালক তাঁকে নিজের ‘কন্যা’ বলে সম্বোধন করলেও যৌন হেনস্থা করেছিলেন। সঙ্গে তিনি আরও জানান যে, “এই লজ্জা কাটিয়ে উঠতে এবং পুরোপুরি সেরে উঠতে আমার ৩০ বছর সময় লেগেছে। আমি নিগৃহীত সকলকেই এই সমস্ত নিগ্রহের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।”