মালদহ: শরীরী ভাষায় বোঝার উপায় নেই। গায়ে পুলিশের খাকি উর্দি। হাঁটাচলা থেকে কথাবার্তা, এমনকি, হম্বিতম্বিও আর পাঁচটা পুলিশের মতোই। ফলে কার্যত সন্দেহের ঊর্ধ্বেই ছিল সবকিছু। ছয় মাস ধরে দিব্যি চলছিল এলাকায় আনাগোনা। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। মালদহে গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ধৃত ভুয়ো পুলিশ অফিসার।
পুলিশের পোশাক পড়ে এলাকায় ঘোরাফেরা, সাধারণ মানুষকে হুমকি, তোলা আদায় থেকে শুরু করে পুলিশ অফিসারের মিথ্যে পরিচয় দিয়ে এক যুবতীর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা। সন্দেহ হওয়ায় গতকাল বেশি রাতে অভিযুক্তকে আটক করে পুখুরিয়ার লোখরা গ্রামের মানুষজন।
মোটরবাইকে করে পুলিশের পোশাকে এলাকার এক যুবতীর বাড়িতে এসে হাজির হয় অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই যুবতীর পরিবারের কাছ থেকে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। মালদহের পুখুরিয়া থানার আড়াইডাঙ্গা অঞ্চলের লোখরা গ্রামের বাসিন্দারা ভুয়ো পুলিশ অফিসারকে সন্দেহের বশে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
আরও পড়ুন: চার বিধায়কের শপথ! বিধানসভার সচিবালয় থেকে এবার চিঠি গেল রাজভবনে, তারপর…
সেইসময়ও পুলিশের পোশাক পরে যথেষ্ট হম্বিতম্বি করতে দেখা যায় তাকে। এমনকি, তার ছবি তোলার জন্য বাঁধা সৃষ্টি চেষ্টা হয়। এমনকি, এভাবে আটকে রাখার জন্য স্থানীয় কয়েকজনকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয় ভুয়ো পুলিশ। পরে পুখুরিয়া থানার পুলিশ অভিযুক্তকে থানায় তুলে আনে।
জানা গিয়েছে, পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদেও প্রথমে নিজেকে পুলিশ বলেই দাবি করে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে প্রতারক। শেষপর্যন্ত অবশ্য জিজ্ঞাসাবাদে ভেঙে পড়ে সে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত আনোয়ারুল হক হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃত প্রতারককে আজ মালদহের চাঁচোল মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে।
কতদিন ধরে পুলিশের মিথ্যে পরিচয় দিচ্ছে, আর কোথায় কি অপরাধ ঘটিয়েছে? কোথা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে পুলিশের পোশাক। সঙ্গে কোনও অস্ত্র ব্যবহার করত কি না- এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ।