মালদহ: নেপাল-সহ উত্তরেও প্রবল বর্ষণ। ভয়ানক হতে পারে মালদহের বন্যা পরিস্থিতি। জেলার নদীগুলির জলস্তর ফের বাড়তে শুরু করেছে।এমনিতেই মানিকচক ব্লকের ভুতনির তিনটি পঞ্চায়েত বন্যায় জলবন্দি। ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড়ি অঞ্চলের সমস্ত জল কোশি নদী হয়ে গঙ্গায় প্রবাহিত হবে। সেই জলে মানিকচকের বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় এবং মানিকচক কালিয়াচক তিন নম্বর ব্লকের গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং করা হচ্ছে। নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। গঙ্গা তীরবর্তী গ্রামগুলিতে। স্থানীয় বাসিন্দা আলিফ আলি বলেন, “বন্যা পরিস্থিতি ভয়ংকর হচ্ছে এলাকায়। বাড়িঘর ছেড়ে বাচ্চাদের নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছি।”
জেলা প্রশাসন ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বন্যা মোকাবিলার সব রকম সুব্যবস্থা করা হচ্ছে। বন্যা দুর্গতদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার সুব্যবস্থা করা হয়েছে। ভুতনির তিনটি পঞ্চায়েতের বহু মানুষকে আগেই নিরাপদ ত্রাণ শিবিরে নিয়ে আসা হয়েছিল। নতুন করে বন্যা পরিস্থিতি আবার তৈরি হওয়ায় অন্যান্যদের নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে আসার সুব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুকনো খাবার থেকে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে দুর্গতদের। ইতিমধ্যে বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই গঙ্গা নদীর জলস্তর। পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ইমরান হোসেন বলেন, “নেপাল-সহ উত্তর ভারতে বৃষ্টি হয়েছে। কোশি নদীর জল ছাড়া হয়েছে। গঙ্গার জলস্তর প্রায় এক মিটার বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরী বৈঠক করা হয়েছে, সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হচ্ছে।”
পাশাপাশি মহানন্দা টাঙ্গন, পুর্নভবা-সহ অন্যান্য নদীগুলির জলস্তর আবারও নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সমস্ত নদীগুলির উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
হরষিত সিংহ