কলকাতা Mamata Banerjee Doctors Meeting: ‘আমাদের তো জানাননি’, আরজি করের অধ্যক্ষকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রীর! পাল্টা দাবি অনিকেতের Gallery October 21, 2024 Bangla Digital Desk সোমবারের বৈঠকে আরজি কর বিচার নিয়ে দাবি তুললেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে মমতা বললেন, “বিচার আমাদের হাতে নেই। ওবিসি ম্যাটার তাড়াতাড়ি আইনত সমাধান দরকার। এটা হয়ে গেলে পুলিশ ও স্বাস্থ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দ্রুত হবে। আমাদের তো নিয়োগে ডাক্তার চাই। আমাদের দরজা খোলা আছে আগেও বলেছি। আমরাও চাই দ্রুত নিয়োগ হোক।” অভিযোগ জানানোর জায়গা নেই আরজি করে, এমন অভিযোগ এনেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাতে মমতা বলেন, “গ্রিভ্যান্স সেলে জমা দাও। সেটা তোমাদের সুযোগ আছে। আমাদেরও স্ক্রুটিনি করার সুযোগ আছে। তোমাদেরও দায়িত্ব আছে বোনেদের দেখে রাখা। বোনেদেরও দায়িত্ব আছে ভাইদের দেখা। আমরা আদালতে ফাইট করছি। তোমাদের আইনজীবী বলেছেন আদালতে যে হাসপাতালে তুলো ছাড়া কিছু পাওয়া যায় না।” এর পরেই মমতা বলেন, “প্রিন্সিপাল বলুন, এটা কি ঠিক? ভাব তো আমাদের মুখ পুড়ল কী ভাবে। মনের দরজা বন্ধ করতে নেই। রাতে ঘুমানোর আগে ঘরের দরজা বন্ধ করতে হয়। “ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি চিকিৎসকদের পক্ষেই আছেন। তাঁর কথায়, “তোমরাই তো কাজ করবে। আমি তোমাদের সঙ্গে সহমত, অনেক প্রিন্সিপাল যথাযথ কাজ করেন না। রাজনৈতিক রোল প্লে করেন। নিরপেক্ষ ভাবে আমি বলছি, অনেকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করে না।” মমতা বলেন, “আমাকে প্যানেল গঠন করতে হয় সচিবদের দফতর চালাতে। সব প্রিন্সিপাল আমরা তৈরি করেছি এমনটা নয়। আমি তো উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল কলেজ টিভিতে দেখলাম। সেখানে চাপ দিয়ে একজন চিকিৎসককে পদত্যাগ করানো হল। এটা কি থ্রেট কালচার নয়? আমি কিঞ্জলের সাথে সহমত, সুস্থ সামাজিক জায়গা তৈরি করা হোক।” এর পর মমতা আঙুল তোলেন কেন্দ্রের দিকেই। জানান, রাজ্যের পক্ষ থেকে যা সম্ভব, তা করা হচ্ছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে। মমতার কথায়,”আমাদের আবার কেন্দ্রীয় সাহায্য মেলে না। আমি আপনাদের সাথে সহমত চাপ বেড়েছে। কোয়ালিটি অফ হেলথ কেয়ার বাংলায় এক নম্বর। এখন হাসপাতাল পরিকাঠামো অনেক ভালো করা হয়েছে। আমরা অনেক কিছু করেছি। আরও কাজ করতে হবে এটা তোমরা বলতে পারো।” মমতা আরও বলেন, “গত দু’মাসে অনেক গ্যাপ হয়েছে। তোমাদের দোষ দেব না। হয়ত আমাদেরও কিছু ত্রুটি হয়েছে। এই যে যাদবপুরের ছেলেটা মারা গেল র্যাগিংয়ে। তাই আমাদের মানসিকতা বদলাতে হবে। সিনিয়র চিকিৎসক যেমন দরকার, জুনিয়র চিকিৎসক তেমন দরকার।” এর পরেই বৈঠকে উপস্থিত আরজি করের অধ্যক্ষকে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, “আপনার হাসপাতাল কলেজে এতজন স্টুডেন্টকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। আমাদের তো জানাননি। এটা কি তাহলে থ্রেট কালচার নয়? আপনি তো প্রিন্সিপাল। আপনাকে তো টেক কেয়ার করতে বলা হয়েছে। আপনি নিজে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দিলেন। এবার থেকে এনকোয়ারি করা হোক। প্রিন্সিপালদের বলছি একটা হেল্প ডেস্ক খোলা হোক। একটা নাম্বার করুন। “ মমতা সাফ জানিয়ে দেন, “কেউ কাউকে থ্রেট করবে না। আজ আমি পাওয়ারে মানে থ্রেট করলাম। কাল তুমি পাওয়ারে মানে আমাকে থ্রেট করা হল। সেটা হতে পারেনা। এটা তো একটা পলিসি হওয়া দরকার। সরকার বলে, সিস্টেম বলে একটা জিনিষ আছে। আপনারা নিজেরা এনকোয়ারি করে নিলেন। এটা হতে পারে না। “ ডাক্তার কিঞ্জল নন্দ বলেন, শেষ যিনি প্রিন্সিপাল আমাদের আর জি করে ছিলেন। তার ঘরে ঢুকতে আমাদের দুই ঘন্টা দাঁড়াতে হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ” আমরা ক্রিমিনালের পক্ষে নয়। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের নামে কারা যাচ্ছে? সেটা এবার জানতে হবে। আমাকেও মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কোনও প্রকল্প করতে গেলে আমাকেও মুখ্য সচিব বা অর্থ সচিবের সাথে কথা বলতে হয়। আমি সিস্টেম স্বচ্ছ করতে চাই।”