প্রার্থী পার্থ ভৌমিক

Loksabha Election 2024: পাখির চোখ সোকসভা! উত্তরের তিন জেলায় প্রচারে তৃণমূলের ইস্যু কেন্দ্রীয় বঞ্চনা 

জলপাইগুড়ি: রাজ্যের প্রথম দফার তিন আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের প্রধান অস্ত্রই হল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। জলপাইগুড়ির ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি বিরোধিতায় প্রচারে সরব তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়া প্রচারে ইস্যু সরগরম।

অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, “আমার কাছে এই রাজ্যের প্রত্যেকটি মানুষের জীবনের দাম যে-কোনো হীরক খণ্ডের থেকেও হাজার গুণ দামী। আকস্মিক বিধ্বংসী ঝড়ে জলপাইগুড়ির ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যের সঙ্গে দেখা করলাম এবং তাঁদের আশ্বস্ত করলাম যে, আপনাদের যে-কোনও বিপদে যে দল আজীবন পাশে আছে তাঁর নাম তৃণমূল কংগ্রেস। আমার সঙ্গে ছিল সেই ১০ প্রতিনিধি, যাঁরা আর্তদের জন্য সোচ্চার হয়ে দিল্লিতে পাশবিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। আসলে বিজেপির অভিধানে সহমর্মিতা বা মানবিকতা বলে কোনও শব্দ নেই। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, আগামী সোমবারের মধ্যে কিস্তির মাধ্যমে পেয়ে যাবেন এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পাশে ভোটের পর আমাদের দল নিজেদের সাধ্যমত দাঁড়াবে।”

 সভা শেষে, তিনি ওই গ্রামে ভান্ডানী মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। অন্যদিকে ঝড়ের রাতেই জলপাইগুড়ি ছুটে আসেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি এলাকায় গিয়েছেন। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, “দেশের নামে বিদ্বেষ ছড়াতে ছড়াতে বিজেপির রাজনীতি আজ শুধু মানুষের অনিষ্ট করতেই উঠেপড়ে লেগেছে। ভোটের সময় শুধু পরিযায়ী পাখির মতো দিল্লি থেকে জমিদারেরা আসছে আর মিথ্যা-কুৎসার বুলি আওড়াচ্ছে। শান্তি-সৌহার্দের ভূমিতে এরা হিংসাকে উস্কে দিচ্ছে। কারণ, নির্বাচনে হিংসা এবং বিভাজন এই দুই এদের অস্ত্র। বাংলার সঙ্গে যে বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে তা গণতন্ত্রের জন্য নক্কারজনক ঘটনা। এরা রাজনীতির নাগপাশে অন্ধ হয়ে গিয়ে, ঝড়ে বিধ্বস্ত মানুষদের সাহায্য করতে ভুলে যাচ্ছে! ধিক্কার জানাই এই নোংরা রাজনীতিকে। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যতদিন আছে, আমি যতদিন বেঁচে আছি ততদিন সাধারণ মানুষের কষ্টকে লাঘব করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট৷ তার আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েই শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল।