আরজি কর কাণ্ডে 'প্রতিবাদী' মমতা

Mamata Banerjee: ‘মেয়েটির বাবা-মা’কে এক বিজেপি নেত্রী গাড়ি থেকে প্রায় নামিয়েই ফেলেছিল!’ পুলিশকে ক্লিনচিট দিয়ে বিস্ফোরক মমতা

কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে পথে নেমেই সিপিআইএম, বিজেপিকে একযোগে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৌলালি থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিলে হাঁটার পর বক্তব্য রাখেন মমতা। সেখান থেকেই তিনি বলেন, ”প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি দোষীদের ফাঁসি হোক। আমাদের রাজ্য সরকার ফাঁসির পক্ষে। ঝাড়গ্রাম থেকে আসতে আসতে আমি কলকাতার পুলিশ কমিশনারের মেসেজ পেলাম। তৎক্ষণাৎ মেয়েটির বাবা-মা-এর সঙ্গে কথা বলিয়ে দিল। আমি বলে দিলাম, রাজ্য সরকার সব সহযোগিতা করবে। আমি সোমবার তাদের বাড়ি গিয়েছিলাম সিপি-কে সঙ্গে নিয়ে।” সঙ্গে মমতার সংযোজন, ”দরকার হলে দল, সাধারণ মানুষ কী বলছেন, তাতে গুরুত্ব দিন। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় সব সত্য নয়। ঘটনা না ঘটলেও ফেক ভিডিও করে ডিজিটাল মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। ঘটনার প্রমাণ মিডিয়া ট্রায়ালের জন্য বাইরে আসতে পারে না। ছাত্র-ছাত্রীরা যা করতে বলেছেন, কলকাতা পুলিশ তাই করেছে। ডিএনএ টেস্ট, ফরেন্সিক, ডগ স্কোয়াড পর্যন্ত পাঠিয়েছে। মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপির এক নেত্রী মেয়েটির মা-বাবাকে গাড়ি থেকে প্রায় নামিয়ে ফেলেছিল।”

ফের পুলিশের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ”কলকাতা পুলিশ যা যা করার দরকার সব করেছে। ওরা সারারাত ঘুমায়নি। আমি বলেছিলাম যতক্ষণ না শেষকৃত্য হবে, আমাকে মেসেজ দেবে। আমি রাজনীতি করি, কিন্তু তার আগে আমি একজন মানবিক মানুষ। আমি কারও ক্ষতি করিনি। বুদ্ধবাবু মারা গিয়েছেন। হাজরাতে আমাকে মেরে ফেলতে গিয়েছিল। ক্ষমতায় কারা ছিল?

আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে একটাই দাবি, ‘ফাঁসি চাই’, নারী-বাহিনী নিয়ে এবার পথে নামলেন মমতা!

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ”বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হয়। ধর্ষকদের মালা পড়িয়েছিল কে? আমাদের রাজা তো চেঞ্জ হল না। উনি বড় বড় কথা বলেছেন, বলতেই পারেন। বাংলায় মহিলাদের নিরাপত্তা নেই উনি বলছেন, বিজেপি রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা আছে তো? বিজেপি কী ভাবছে, আমরা ভদ্রতা দেখাব আর আপনারা দুর্বল ভাববেন। বাংলায় কোনও ঘটনা ঘটলেই আমরা সঙ্গেসঙ্গে ব্যবস্থা করি।”

এরপরই মমতা বলেন, ”সাইবার ক্রাইম নিয়ে কেন্দ্র যদি আইন করতে পারে, তাহলে রাজ্য পারে না কেন?” এরপরই তিনি বলেন, ”রাত তিনটে থেকে সকাল ৯ টা পর্যন্ত ডিউটিতে যাঁরা ছিলেন, কেন খবর নিলেন না মেয়েটির? প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় তো খোঁজ রাখতে হয় রোগীদের। কিন্তু এখানে রাজনীতি করতে নামবেন বলে করছেন। মনে রাখবেন আন্দোলনের মধ্যে আমার জন্ম। আন্দোলনের মধ্যেই আমার মৃত্যু হবে। রবিবারের মধ্যে সিবিআই-কে ফাঁসির ব্যবস্থা দিতে হবে।”