দু’দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলা নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার বিকেল পাঁচটা থেকে শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি। প্লাবিত কয়েকটি এলাকায় পরিদর্শনে যাওয়ার কথাও রয়েছে তাঁর। শিলিগুড়ি পৌঁছে উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে বাগডোগরা উড়ে যাবার আগে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলার বন্যা পরিস্থিতি ইতিমধ্যে ঘুরে দেখেছেন মমতা। দেড় মাস ধরে গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়ে রয়েছেন ভুতনির চরের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় দেড় লক্ষেরও বেশি বাসিন্দা। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসাবে ন’জন জলে তলিয়ে গিয়েছেন।বিহারে ভারী বৃষ্টির কারণে জল আরও বাড়তে চলেছে গঙ্গায়। গঙ্গার অববাহিকা দিয়ে ২৬ লক্ষ কিউসেক জল প্রবাহিত হবে বলে জানিয়েছে সেচ দফতর। ফলে গঙ্গা নদীর জলস্তর এক মিটারের বেশি বৃদ্ধি পেতে পারে। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এলাকাবাসীকে তৈরি থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। গভীর রাতে পরিস্থিতির কথা জেনে প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। বন্যাবিধ্বস্ত মালদহও তাকিয়ে আছে মুখ্যমন্ত্রীর রবিবারের বৈঠকের দিকে।সেই সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গেও। মমতা বলেন, “উত্তরবঙ্গে বন্যা হয়েছে। কোশী নদীর জল নেপাল ছেড়েছে৷ সেই জল বিহার হয়ে বাংলায় আসছে। মালদা, মুর্শিদাবাদ, দিনাজপুরে এর প্রভাব পড়বে। বিহারও ভাসবে৷ বাংলাও ভাসবে৷ ফারক্কায় ড্রেজিং হয় না। ফলে তারাও জল ধরে রাখতে পারে না। ফারাক্কা ব্যারেজ কেন্দ্র দেখে।”