Mamata Banerjee: ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি বর্ধমান, বৈঠক থেকে ত্রাণে জোর দেওয়ার নির্দেশ মমতার

বর্ধমান: বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বর্ধমানে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। জেলা শাসকের অফিসে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে জেলার মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি, কৃষি, সেচ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়াও প্রশাসনের সব দফতরের আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। মূলত বন্যায় জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিয়েই বৈঠকে আলোচনা হয়। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে জোর দিতে বলেন তিনি। ভেঙে পড়া বাড়ির তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন।

ডিভিসির ছাড়া জলে বানভাসি পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না জামালপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা। জামালপুরের জ্যোৎশ্রীরাম অঞ্চলের শিয়ালি, মাঠ শিয়ালি কোরা, অমরপুর, মুইদিপুর, ফতেপুরের মতো এলাকা জলে ভেসেছে। একইভাবে বানভাসি হয়ে পড়ে রায়না ২ ব্লকের গোতান অঞ্চলের বড়বৈনান-সহ কয়েকটি গ্রাম। জলের চাপে জামালপুরে দামোদর বাঁধের একাধিক জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিস্তীর্ণ জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জামালপুর এবং রায়নার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে রাজ্যের অপর মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও ছিলেন। ওই দিন বিকেলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে প্রশাসনের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন অরূপ বিশ্বাস, সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইঞা, সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী ও স্বপন দেবনাথ।

আরও পড়ুন: গুণের ভাণ্ডার, রোজ খাচ্ছেন দই? সাবধান, কাদের খাওয়া একেবারে বারণ? শরীরের দফারফা হওয়ার আগেই জানুন

এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজে এলেন। এই বিপদের সময় ত্রাণ ও পুনর্বাসনের কাজ সুষ্ঠুভাবে যাতে হয় সেই লক্ষ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রশাসনিক বৈঠক করলেন। কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখেন তিনি। কতটা ত্রাণ বিলি হয়েছে তা জানতে চান। আরও কতটা ত্রাণ প্রয়োজন, এসবের রূপরেখা তৈরি করেন তিনি।  নবান্নে নয়, মুখ্যমন্ত্রী এইসব কাজ বন্যা দুর্গত জেলায় বসেই করতে চান। সেই জন্যই তাঁর এই জেলা সফর।  মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্হিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরি, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।