'রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে', পাহাড়ের বনধ নিয়ে নিজের 'অবস্থান' স্পষ্ট করলেন মমতা

Mamata Banerjee North Bengal Trip: ‘অন্য দল রাজনীতির চেষ্টা করছে’, পাহাড়ের বনধ নিয়ে নিজের ‘অবস্থান’ স্পষ্ট করলেন মমতা!

কলকাতা:  উত্তরবঙ্গ সফর সেরে কলকাতা ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ও দিকে, ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে চা শ্রমিক সংগঠনগুলি সোমবার সকাল থেকে পাহাড়ে ১২ ঘণ্টার বন্‌ধ ডেকেছে।  চা শ্রমিকদের আটটি সংগঠনের যৌথ মঞ্চের নেতৃত্বে  সকাল থেকে বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নেমেছেন চা শ্রমিকেরা।

এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,  “কিছু রাজনৈতিক দল রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। পাহাড়ের বনধ ওদের বিষয়, ওরা দেখছে। আমি হস্তক্ষেপ করব না।” তিনি আরও বলেন, “ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চলছে। তাই আমি হস্তক্ষেপ করব না।”

আরও পড়ুন- ‘কেন্দ্র সামান্য সাহায্যটুকু করছে না’, পুজোর মুখেই ভাসছে বাংলা! উত্তরে ছুটলেন মমতা

পাহাড়ে চা শ্রমিকদের বোনাস ইস্যুতে সোমবার ফের বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের শ্রম দফতরের আধিকারিকদের বলা হয়েছে দুপক্ষের সঙ্গেই বৈঠক করতে। এই নিয়ে নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শ্রম দফতরকে। এমনটাই নবান্ন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় নিয়ে শ্রম দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মুখ্যসচিব।

বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  রবিবার তিনি উত্তরকন্যা থেকে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। পুজোর আগে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে  দুর্গতদের পাশে থাকার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘গজোলডোবায় বিদ্যুৎ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা ছিল না। বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়ে মারা যান ৪ জন। তাঁদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল। খুবই দুঃখজনক ঘটনা একটা পরিবার এর ৪ জন মারা গিয়েছেন। আজ আমরা যেগুলো বন্যায় প্লাবিত হতে পারে ও হয়েছে তাঁদের সবার সঙ্গে মিটিং করলাম। সবাইকে অনুরোধ করব তার টানবেন না। বিদ্যুৎ দফতরকে বলেছি একটা অ্যাড করতে। বিধান মার্কেটে কাল ৬টা দোকান পুড়ে গিয়েছে। গৌতম দেবকে বলেছি নতুন করে তৈরি করে দিতে। পুজোর সময় পুড়ে গিয়েছে, সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আর যেইগুলো অল্প ক্ষতি হবে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন- মাছ খেয়েই ওজন কমে গেল ১৫ কিলো! কী মাছ? জানলে আপনিও মেদ ঝরাবেন কিলো কিলো…!

এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ান মমতা। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্র ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট টাকা দেয় না। ফরাক্কা ব্যারেজ ড্রেজিং করে না। তাহলে আরও জল ধরে রাখতে পারত। পুজো বলে মানুষের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। পাশে থাকতে হবে। আমি পাশকুড়া থেকে ফিরছিলাম দেখলাম জল নেই। ১৫ মিনিটের মধ্যে জল হয়ে গেল। আমি নিজেও কিছু ড্রাই ফ্রুট পাঠাচ্ছি, govt ছাড়াও। আমাদের পুলিশের লোকরা ভাল কাজ করছে। গঙ্গার পার্শবর্তী অঞ্চলগুলো আছে, তাদের বলব কয়েকটা দিন রিলিফ সেন্টারে থাকুন। নৌকা করে ত্রাণ দিয়ে বেরোন লাইফ জ্যাকেট ছাড়া ত্রাণ দেবেন না। সব ডিপার্টমেন্টকে যার যার দ্বায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।’