Tag Archives: North Bengal Flood

River commission: উত্তরের বন্যা সামলাতে ইন্দো-ভুটান যৌথ রিভার কমিশন! বিধানসভায় প্রস্তাব রাজ্যের

শিলিগুড়ি:  খামখেয়ালি বর্ষায় এ বছর বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে উত্তরবঙ্গকে। নদীর পাড় ভেঙে জল ঢুকে পড়ে ভেসে গিয়েছে লোকালয়। চাষের জমিও জলের তলায়। এই বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখেই বিধানসভায় বিশেষ প্রস্তাব রাজ্যের। উত্তরবঙ্গ, বিশেষ করে ডুয়ার্স বাঁচাতে ইন্দো-ভুটান জয়েন্ট রিভার কমিশন তৈরি করা হোক, এমনই আর্জি রাখা হল।

রায়ডাক,সঙ্কোশ, কালচিনি প্রভৃতি একাধিক নদী ভুটান থেকে আসে। এই সব নদীর জল বাড়তেই ডুয়ার্সের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানান প্রতিনিধিরা। চা বাগান, কৃষি জমি, বনাঞ্চলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি ভুটানের আপার ক্যাচমেন্টে জল ধারণের সমস্যা। ডুয়ার্স বাঁচাতে অবিলম্বে কেন্দ্র সাহায্য করুক, প্রস্তাব রাজ্যের।

তিস্তার সমস্যা নিয়েও আলাদা করে কথা ওঠে। তিস্তায় একাধিক বাঁধের কারণে উত্তরের একাধিক স্থান সমস্যায়। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পংয়ের অবস্থা প্রসঙ্গক্রমে উঠে আসে। সব সমস্যার সমাধান হতে পারে যদি ইন্দো-ভুটান জয়েন্ট রিভার কমিশন গঠন করা হয়। পাশাপাশি ফারাক্কা ব্যারেজের ড্রেজিং করা হোক যথাযথ ভাবে,
প্রস্তাব বাংলার।

সেই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলে ওঠেন, “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এটা। আজকে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনার কথা ছিল। কিন্তু সকাল ১১টায় আজ জানানো হল এই প্রস্তাবে আলোচনা হবে। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কি এত কম সময়ে আলোচনা করা সম্ভব?” এর পরই বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে শঙ্কর বলেন, “আপনি ভাল উদাহরণ শেখান। সব সময় এটা হতে পারে না। আমি কটুক্তিতে বিশ্বাসী নই। খারাপ সম্পর্কে বিশ্বাসী নই। পক্ষপাতমূলক আচরণ দেখা যাচ্ছে একাধিক বিষয়ে।”

অধ্যক্ষ উত্তরে বলেন, “গতকাল পরিষদীয় দলের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম। আপনাদের সঙ্গে সচিবালয় যোগাযোগ করতে পারেনি। আর দেখবেন লোকসভাতেও এমন অবস্থার বদল হয়। প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে এই আলোচনা করা হবে। আজকেও আপনারা ওয়াক আউট করার সময় যা স্লোগান দিয়েছেন তা যথাযথ নয়।”

শঙ্কর আরও বলেন, “এই প্রস্তাবে প্রতিবেশী রাষ্ট্র, প্রতিবেশী রাজ্য আছে। ফলে কেন্দ্রের ভূমিকা আছে এখানে। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কে যাতে আঘাত না লাগে সেটাও দেখতে হবে।
কোচবিহারে জলাশয় বুজিয়ে ফ্ল্যাট হয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও হয়েছে। পাহাড়ে অবৈধ নির্মাণ হয়েছে। সিসমিক জোন-৪ এ আমরা আছি। সুন্দরবন ডুবে যাচ্ছে। একের পর এক জলাশয় বুজিয়ে দেওয়া হয়েছে। নয়ানজুলি বোজানো হচ্ছে। পরিবেশের ওপর চাপ মুক্ত শুধুমাত্র রিভার কমিশন দিয়ে হবে না। আপনাদের নেতা চন্দন কাঠ পাচারে অভিযুক্ত। শুধু রিভার কমিশন করলে হবে না। শাসক দলের দুবৃত্তরা লুঠ করছে।”