সবজির দাম কমাতে নির্দেশ মমতার৷

Mamata Banerjee: ‘মানুষ বাজারে যেতে ভয় পাচ্ছে, দশ দিনের মধ্যে দাম কমাতে হবে!’ নির্দেশ ক্ষুব্ধ মমতার

কলকাতা: গত বেশ কিছু দিন ধরেই বাজারে সবজির দাম আকাশছোঁয়া৷ আলু, পেয়াঁজ থেকে শুরু করে ঝিঙে, শশা, কাঁচালঙ্কা, বেগুন- বাজারে অধিকাংশ সবজির দামই মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে৷ অধিকাংশ সবজির দামই ৮০ থেকে ১০০ টাকা ছুঁয়েছে৷

শাক সবজির এই আগুন দাম কমাতে এবার তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নবান্নে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর এবং বাজার কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, ‘যে কোনও উপায়ে আগামী দশ দিনের মধ্যে বাজারে সবজির দাম কমাতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ১০ দিনের মধ্যে দাম কমাতে হবে। কীভাবে কমাবেন, সেটা জানি না।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, যে হারে শাক সবজির দাম বেড়েছে তাতে মানুষ বাজারে যেতেই ভয় পাচ্ছে৷

আরও পড়ুন: আচমকা কুণালকে ফোন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের! কী ‘কথোপকথন’? অডিও ফাঁস হতেই শোরগোল মানিকতলায়

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন অভিযোগ করেছেন, কৃত্রিম চাহিদা তৈরি করেই বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি করছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী৷ বর্ষা আসার পরেও কেন সবজির দাম কমবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ একই সঙ্গে বাজারে শাক, সবজি, মাছের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁর তৈরি করে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

কেন্দ্রের উপরেও মূল্যবৃদ্ধির দায় চাপিয়েছেন মু্খ্যমন্ত্রী৷ তাঁর অভিযোগ, ‘সারা দেশ জুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এটা তো রাজ্যের বিষয় নয়, কেন্দ্রের বিষয় ।কেন্দ্র পুরোপুরি ব্যার্থ দাম নিয়ন্ত্রণে। কেউ যদি চোখ বন্ধ করে থাকে আমরা কেন চোখ খোলাবো না? শেষ ১০ দিনে দাম প্রচুর বেড়েছে। হয়তো ইলেকশন বন্ডের টাকা তুলছে। শেষ ৩ মাসে যে যার মতো টাকা তুলেছে। তখন তো সবকিছুই ইলেকশন কমিশনের অধীনে ছিল।’

রাজ্য সরকারের তৈরি করে দেওয়া টাস্ক ফোর্সের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেও মমতা বলেন, ‘ফড়েদের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দিয়েছিলাম৷ বিভিন্ন সরকারি দফতর,পুলিশ, বাজার কমিটির সদস্যরা ছিলেন৷ তাঁরা কি এখন মিটিং করে? কেউ কিছু দেখে না৷ আজকে থেকে নির্দেশ দিচ্ছি, সাত দিন অন্তর এই বৈঠক করতে হবে৷ ‘ এই বৈঠকে মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব. ডিজি সহ প্রতিটি কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসকরা অংশ নেবেন বলেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জেলা থেকেও জিনিসপত্রের দাম সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে তাঁকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷