হাওড়া: হাওড়ায় তৈরি হালদারদের তিরঙ্গার কদর ভিন রাজ্যেও! দিন-রাত এক করে উনসানিতে চলছে জাতীয় পতাকা তৈরির কাজ, জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা৷ হাতে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ, আর তারপরেই স্বাধীনতা দিবস৷ আসমুদ্র হিমাচলের একসুরে গাওয়ার দিন, আগামীর শপথ নেওয়ার ক্ষণ ৷ সরকারি অফিস থেকে সাধারণের বাড়ির ছাদ সবখানে উড়বে সেদিন স্বাধীন ভারতের পতাকা ৷
বছরের এই সময়টা বরাবরই পতাকা বিক্রেতাদের কাছে বিশেষ দিন৷ সারা দেশবাসীর কাছে দু-একটা দিন স্পেশ্যাল হলেও রাজু হালদার ও তার সহকর্মীদের হাতে বছরের বারোটা মাসই স্পেশ্যাল। এই হাওড়া থেকে দেশের জাতীয় পতাকা ছড়িয়ে পড়ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে৷ স্বাধীনতা দিবসের আগে দেশের জাতীয় পতাকা তৈরিতে চরম ব্যস্ত হাওড়া উনসানি দক্ষিণ পাড়ার রাজু হালদার৷
বাজারে পতাকার চাহিদা তুঙ্গে ৷ সেই পতাকার জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাওড়ার উনশানির পতাকা ব্যবসায়ী রাজু৷ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা তৈরির জন্য নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই হাওড়ার উনশানি এলাকার দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা পতাকা ব্যবসায়ী রাজু হালদারের ৷ বরাতের চাপে দিনরাত এক করে এখন শুধু পতাকা বানানোর কাজেই ব্যস্ত হয়ে আছেন ৷
স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে এই ব্যবসা৷ বাবা ঠাকুরদার পর প্রায় ৩০ বছর পারিবারিক ব্যবসা সামাল দিচ্ছেন রাজু হালদার | পতাকা ব্যবসায়ী জানালেন, ” পতাকার সবচেয়ে ছোট মাপ হল ৮ ইঞ্চি লম্বা, ১২ ইঞ্চি চওড়া ৷ সবচেয়ে বড় মাপের পতাকা হল ৪৮ ইঞ্চি লম্বা ও ৭২ ইঞ্চি চওড়া পতাকা ৷ কারখানা থেকে বেশ কয়েকরকমের পতাকা শুধুমাত্র কলকাতার বিভিন্ন বাজার -সহ রাজ্যের প্রায় সব জেলায় সরবরাহ করা হয় ৷”
এছাড়াও বিহার, অসম, ঝাড়খন্ড, ত্রিপুরা, উড়িষ্যা এবং দিল্লিতেও এই জাতীয় পতাকা পাঠানো হয় ৷এখানকার কারিগরদের ব্যস্ততা তুঙ্গে ৷ নাওয়া-খাওয়া ভুলে সেলাই মেশিনে হাত লাগিয়েছেন৷ যে করেই হোক অর্ডার অনুযায়ী কাজ শেষ করতে হবে ৷ কারিগররা জানান, এই কাজ নিয়ে তারা গর্ব অনুভব করেন | বিভিন্ন জায়গায় যখন তাদের হাতে তৈরি পতাকা ওড়ে তখন দেখতে তাদের খুব ভাল লাগে |
রাকেশ মাইতি