কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে সন্দেশখালির মহিলাদের একাংশের আন্দোলন খানিকটা হলেও বিপাকে ফেলে দিয়েছিল বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। জোরাল সমালোচনা হয়েছিল এলকার সাংসদ নুসরত জাহানের অনুপস্থিতি নিয়েও। সব হিসেব কষেই এবার সেখানে নুসরতকে ‘বাতিল’ করে এলাকার ভূমিপুত্র তথা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল৷ কিন্তু, তাতে কী? পাল্টা সন্দেশখালির ‘নির্যাতিতা’রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি৷ শুক্রবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এল সেই সন্দেশখালি প্রসঙ্গ৷
রাজনীতির কারবারিরা মনে করছিলেন, ‘সন্দেশখালি’কে আসলে মমতার ‘নন্দীগ্রাম’, ‘সিঙ্গুর’ করতে চাইছে বিজেপি৷ এদিন তা নিয়ে কটাক্ষ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘সন্দেশখালি আর দুর্নীতি নিয়ে লড়াইয়ের কথা বলেছেন। জেনে রাখুন সন্দেশখালি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নয়। আমরা গ্রেফতার করেছি। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা অবিচার করিনি। কিন্তু হাথরস, বিলকিস, কী হয়েছে? তুমি কতবার গেছো, তোমার নেতারা কতবার গেছে?’’
এর পরে মোদির গত বৃহস্পতিবারের দুর্নীতির ‘অভিযোগে’র জবাবে মমতা বলেন, ‘‘চ্যালেঞ্জ করছি শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। দুর্নীতি ইউপি-তে কী হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে রিপোর্ট প্রকাশ করুক। এলাকায় কেউ বদমাইশি করলে তাদের আমরা গ্রেফতার করি। শাহজাহান, আরাবুলকে গ্রেফতার করেছি। তোমাদের ওই প্রার্থী যে গুন্ডামি করে তাকে গ্রেফতার করো।’’
বিজেপি-র তুলোধনা করে মমতা জানান, অত্যচার, অনাচার, ব্যাভিচার, স্বৈরাচার দল বানিয়ে ফেলেছে বিজেপি। বিজেপি করলে সাদা। না হলেই কালো।
মমতা বলেন, ‘‘আগে নিজেদের প্রার্থীর পিছনের স্ট্যাম্প দেখুন। তারপর আমাদের দুর্নীতিবাজ বলবেন। যদি ভোটে জেতায় এত আত্মবিশ্বাসী হন। তাহলে সবাইকে ভোট করতে দিন। কেন জাজদের কিনবেন। সংবাদমাধ্যমকে কাজ করতে দিন। গোটা বিশ্ব এই ভোট নজর রাখছে। গণতন্ত্রের গলা টিপবেন না। নীরব মোদি, ললিত মোদি, আপনার গদ্দাররা দুর্নীতিবাজ নয়? স্কুলের চাকরি অনেক দিয়েছে। ভয়ে অনেকে বলে না। আদালতকেও ম্যানেজ করছে অনেক সময়। দেখলেন না এক বিচারপতিকে প্রার্থী করেছে। আমাদের ছাত্র নেতা দেবাংশুকে প্রার্থী করেছি। ও ছুটিয়ে মারছে। আপনি আদালতে চাকরি খেয়েছেন। জনতার আদালতে আপনার চাকরি যাবে।’’