Mamata Banerjee: ‘২৬ হাজার ছেলেমেয়ের দায় কে নেবে?’ শিক্ষকদের চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে মমতা

কলকাতা: শিক্ষকদের চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বললেন, ‘আমি রায়দান সম্পর্কে বলছি৷ বিচারপতির নাম বলছি না, প্রয়োজন পড়ে না৷ বলতে পারত, এখানে ভুল আছে সংশোধন করে দিন৷ সবটা তো আমি করি না৷ এসএসসি, কলেজ সার্ভিস সব আলাদা আলাদা৷ একসঙ্গে ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিলেন৷ আপনার বাড়ির কেউ হলে বলতে পারতেন? আজ কোনও ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করলে দায়িত্ব নেবেন? চিন্তা করবেন না, সাধ্য মতো কেসটা লড়ব৷ যে শিক্ষক শিক্ষিকারা আট বছর ধরে চাকরি করতেন তাঁদের সামাজিক সম্মান হয়নি? স্কুলে এত মাস্টার কোথা থেকে আসবে? বাচ্চারা স ওখানে বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা গিয়ে পড়াবে?’

মমতা এ দিন অন্য এক নির্বাচনী সভা থেকে বলেন, ‘অভিষেক-কে খুন করতে গিয়েছিল৷ তার বাড়ি পর্যন্ত রেকি করেছে৷ ফেসটাইমে কথা বলেছে, বলেছে আপনার সঙ্গে কথা বলতে চাই৷ কথা বলতে গেলেই ওকে গুলি করে মেরে দিত৷ ওরা চায়, সবাইকে গুলি করে মেরে দিতে৷ প্রতিবার ভোটের সময় কেষ্টকে ঘরবন্দী করত৷ তাতে কী লাভ বয়েছিল? ভোটের আগে উদয়নকে বলেছিল নিজের বুথের বাইরে বেরতে না৷ আপনার ছোটমন্ত্রী জিতবে তো?’ নিশীথ প্রামাণিককেও এই দিন খোঁচা দেন মুখ্যমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন –  এ যুগের নস্ত্রাদামুস, ব্রাজিলের জ্যোতিষির কথা ফলে অক্ষরে অক্ষরে, ২০২৪ নিয়ে দিলেন চরম বার্তা

সেখানে শীতলকুচির প্রসঙ্গও তোলেন তিনি৷ বলেন, ‘শীতলকুচির ঘটনা মনে আছে? ৫ জনকে গুলি করে মেরেছিল৷ আমি ছুটে গিয়েছিলাম৷ কাল দেখলাম, উনি বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী ফাঁসিয়েছেন৷ উনি এখানকার প্রার্থী হয়েছেন৷ আপনার বিরুদ্ধে ডিপি তো চলছে৷ আমি ফাঁসালে তো ভালভাবে ফাঁসাতে পারতাম৷ আজ আপনি এখানে এসেছেন, দয়া করে কারোর জীবন কাড়বেন না৷ বিএসএফ কার নির্দেশে গুলি চালিয়েছিল? একবার জিজ্ঞাসা করুন৷’

সভার শুরুতেই তিনি তোলেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রসঙ্গও৷ তিনি বলেন, ‘ভোটের আগে ইচ্ছা করে ওঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে৷ দেখবেন, ভোটের পর ছেড়ে দেবে৷ আমাদের সাংসদদের প্রতিদিন হুমকি দেওয়া হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে৷ কিন্তু তাঁরা কখনই দিল্লি থেকে পালিয়ে আসেননি৷ বরং তাঁরা লড়াই করে মানুষের কথা বলেছেন৷ আগামী দিনেও বলবেন৷’