জিয়াউল আলম, হাড়োয়া: মঞ্চ থেকেই নিজের দলের বিধায়কের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ জানিয়ে দিলেন, পায়ে ধরে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলকে ফেরত নেবে না দল৷ এ দিন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাড়োয়ায় সভা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিযোগ, সেই সভাতে হাজির না হয়েই তৃণমূলনেত্রীর রোষে পড়েন মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডল এবং তাঁর স্বামী৷
এ দিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে সরাসরি মিনাখাঁর বিধায়ক ঊষারানিকে নিশানা করেন তৃণমূলনেত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যাঁরা তৃণমূলের বিধায়ক থাকবেন আর মিটিংয়ে আসবেন না, মনে রাখবেন তার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক থাকবে না৷ আমি আজই বলে গেলাম, আপনাকে নিয়ে দল চলবে না৷ ব্লক, সংগঠনে যাঁরা আছেন দেখে নেবেন৷ যতক্ষণ ক্ষমা না চাইবে, পায়ে না ধরবে, ঊষারানি মণ্ডলকে দল ফেরাবে না৷’
আরও পড়ুন: রবিবার রাতে ঠিক কখন আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় রিমল?জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে মমতা আরও বলেন, ‘বিজেপির সাথে যে আঁতাঁত করে, তাঁর সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই৷ তৃণমূল নেতা তৈরি করে৷ একজন চলে যায়, লক্ষ নেতা তৈরি হয়৷ আপনি আর আপনার স্বামী দলটাকে বেঁচে দেবেন তৃণমূল কংগ্রেস সেটা মানবে না৷’
যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই হুঁশিয়ারির পর মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷ তবে তাঁর স্বামী এবং উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলা পরিষদের সদস্য মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁদের সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছে৷ মিনাখাঁয় দলের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা আব্দুল খালেক মোল্লার দিকেই আঙুল তুলেছেন মৃত্যুঞ্জয়৷ বিজেপি যোগের কথাও অস্বীকার করেছেন তিনি৷
এ দিনও হাড়োয়ার সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘আরও দশ দিন সময় আছে, এখনই বিদায় নিলে ভাল হয়৷’ এ দিন হাড়োয়ার পর এ দিন বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে বিধাননগরে পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷