সার্কাসে জীবন বাজি রেখে খেলা দেখান খেলোয়াড়রা। কখনও সরু দড়ির উপর দিয়ে হাঁটছেন। কখনও মোটরসাইকেল নিয়ে ঝাঁপ দিচ্ছেন মৃত্যুকূপে। একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই মৃত্যু। কিন্তু বাস্তবে যদি এমনটা কেউ করে?
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, স্টেশনে ট্রেন ঢুকছে। আর দরজার হাতল ধরে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছেন এক যুবক। প্ল্যাটফর্মে ঢোকা মাত্র পা ছুঁইয়ে দিলেন তিনি। একটা পা ট্রেনের দরজায়। আর এক পা প্ল্যাটফর্মের মেঝেতে ঘষতে ঘষতে যাচ্ছে। হাত একবার ফসকালেই সাক্ষাৎ মৃত্যু।
ওই যুবক একা নন। তাঁর পিছনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরও এক যুবক। তিনিও একই কাজ করছেন। সঙ্গে উৎসাহ দিয়ে চলেছেন। মুখে নানা রকম আওয়াজ করছেন। দুই যুবকের কাণ্ড দেখে থ ট্রেনের যাত্রীরা। প্ল্যাটফর্মের লোকজনও মুখ ঘুরিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন তাঁদের দিকেই। চোখেমুখে যেন একটাই জিজ্ঞাসা, হচ্ছেটা কী?
View this post on Instagram
এমআর মেহতাব নামের এক ইউজার ভিডিওটি শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। এখনও পর্যন্ত ১.২ কোটি ভিউ হয়েছে। লাইক করেছেন ২ লাখ ইউজার। হাজার হাজার কমেন্টেও হয়েছে। অধিকাংশ ইউজারই তাজ্জব। দুই যুবকের উপর ব্যাপক ক্ষেপে গিয়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ অবশ্য তাঁদের সাহসের তারিফও করেছেন।
রীতিমতো কড়া ভাষায় এক ইনস্টাগ্রাম ইউজার লিখেছেন, “এত তাড়াতাড়ি মরার শখ হল কেন ভাই? পরিবারের লোকজন আপনার ছবিতে মালা দিচ্ছে, এটা দেখতে ভাল লাগবে?” আরেক ইউজার কোনও রাখঢাক না করেই বলেছেন, “আপনি এখনও বেঁচে আছেন দেখে দুঃখ হচ্ছে।”
ট্রেনে এমন কাণ্ড করার সাহস হয় কী করে? এমন প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। তাঁদের দাবি, রেল কর্তৃপক্ষ এঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক। এক ইউজার লিখেছেন, “রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অবিলম্বে পদক্ষেপ নিন। এদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া দরকার।”
দুই যুবকের সাহসের প্রশংসাও করেছেন অনেক ইউজার। একজন লিখেছেন, “পাশে আছি ভাই। চালিয়ে যান।” আরেকজন লিখেছেন, “এমন স্টান্ট করার জন্য হিম্মত দরকার,হিম্মত। আপনাদের সেই হিম্মত আছে। স্যালুট।” কিন্তু রেল কী স্টান্ট দেখানোর জায়গা? এই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, উপযুক্ত শাস্তি না দিলে এঁদের শিক্ষা হবে না। একজন ইউজার লিখেছেন, “এঁদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। উপযুক্ত শাস্তি না দিলে এঁদের শিক্ষা হবে না।”