রঘুনাথগঞ্জ: সম্পর্কের টানাপোড়েনে স্ত্রীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামীকে গলা কেটে খুন করল প্রথম স্বামী। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত প্রসাদপুরের হেলালপুর গ্রামে। মৃতের নাম বিশাল দাস ।
রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযুক্ত শুভ মাজিকে গ্রেফতার করেছে। মৃতের স্ত্রীকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে পুলিশ। এই ঘটনার পিছনে শুধু কী সম্পর্কের টানাপোড়েন, নাকি অন্য কেউ রয়েছে তা তদন্ত করে দেখছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: বর্ধমান থেকে সোজা গোপীবল্লভপুর! আর খাটল না প্রভাব, চিকিৎসক অভীক দে-র স্ত্রীকেও বদলি
রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা শুভ মাজির সঙ্গে কুড়ল গ্রামের শ্রাবণী দাসের বিয়ে হয় সাত বছর আগে। তাদের এক সন্তানও রয়েছে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই পাশের গ্রামের বিশাল দাসের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। সেই কারণে স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে চলে যান ওই গৃহবধূ।
কিছুদিন আগে গ্রামে সালিশি সভা করে ফের নিজের স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে আসে শুভ মাজি। কিন্তু তারপরেও বিশালের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই গৃহবধূর। এক মাস আগে প্রথম পক্ষের স্বামীকে ছেড়ে বিশালকে বিয়ে করেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে বিশলের সঙ্গে একই বিছানায় শুয়ে ছিল শ্রাবণী। ঠিক সেই সময় বাড়ির মূল দরজা বন্ধ না থাকায় শুভ মাজি বিশালের ঘরে ঢুকে পড়ে। বিশাল সেই সময় ঘুমিয়ে থাকলেও ওই গৃহবধূ কিন্তু জেগে ছিল। স্ত্রীর সামনেই ঘুমের মধ্যেই বিশাল দাসের গলা কেটে খুন করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় শুভ মাজি।
খবর পেয়ে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। মৃতের স্ত্রী বলেন, ‘আমরা এক ঘরেই ছিলাম। আমার প্রথম পক্ষের স্বামী ঘরের মধ্যে ঢুকে গলা কেটে বিশালকে খুন করেছে। আমি নিজে দেখেছি। আমি শুভ মাজির কঠোর শাস্তি চাই।’ ওই গৃহবধূর বাবা বলেন, ‘এর আগেও মেয়েকে তাঁর প্রথম পক্ষের স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল অনেক বুঝিয়ে। কিন্তু মেয়ে সন্তান ও স্বামীকে ছেড়ে আবার এই যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করে। শুভ রাগের বশে বাড়িতে এসে খুন করে। গ্রামের মধ্যে একটা আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এই ঘটনায়।’