পানিহাটি শ্মশানের ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্র৷

RG Kar Murder Case: সেদিন কী হয়েছিল পানিহাটি শ্মশানে? নির্যাতিতার সৎকার বিতর্কে মুখ খুললেন শ্মশানের ম্যানেজার

পানিহাটি: আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ ছিল, পুলিশই তরুণীর দেহ তড়িঘড়ি নিয়ে গিয়ে পানিহাটি শ্মশানে শেষকৃত্য করে দিয়েছে। এবার সেদিন তরুণীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার সময়  শ্মশানের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন।

ভোলানাথ পাত্র নামে পানিহাটি শ্মশানের ওই ম্যানেজারের দাবি, সংবাদমাধ্যমে নির্যাতিতা পরিবারের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি দেহ সৎকার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হলেও, সেদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন করার সময় মৃতা চিকিৎসকের মা কোনওরকম বাধা দেননি। তবে, ওইদিন সন্ধ্যের বেশ কিছুটা পরে পুলিশের পক্ষ থেকে শ্মশান ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্রকে জানানো হয়, স্থানীয় এক তরুণীর দেহ আসবে। যদিও ততক্ষণে টিভির পর্দায় দেখে ঘটনার কথা জেনে গিয়েছিলেন শ্মশানে কর্মরত ম্যানেজার এবং অন্যান্য কর্মীরাও।

আরও পড়ুন: কার নির্দেশের অপেক্ষায় ছিলেন সন্দীপ? আরজি কর তদন্তে জবাব খুঁজছে মরিয়া সিবিআই

ইতিমধ্যেই শ্মশান এলাকায় ধীরে ধীরে ভিড় জমতে শুরু করে। যেখানে স্থানীয় বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ও হাজির হয়। ফলে সংকীর্ণ জায়গায় রীতিমতো ভিড় জমে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতেই, আগে আসা দুটি দেহের সৎকার না করেই ওই তরুণীর দেহ প্রথমে সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়৷

ভোলানাথ বাবুর দাবি, গোটা এলাকায় ভিড় থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল৷ পাশাপাশি শোকাহত পরিবারকে কিছুটা স্বস্তি দিতে তিনি এবং শ্মশানের অন্যান্য কর্মীরাও তৎপর হন। এই কথা ভেবেই, আগে থাকা দুটি মৃতদেহের পরিজনদের অপেক্ষা করতে অনুরোধ করা হয়। বিষয়টি জেনে তাঁরাও রাজি হয়ে যাওয়ায়, নির্যাতিতা তরুণীর দেহ সৎকারের কাজ আগে করা হয়েছিল বলেই দাবি করেছেন পানিহাটি শ্মশান ম্যানেজার ভোলানাথ পাত্র।

এলাকারই বাসিন্দা এক তরুণীর সঙ্গে যা ঘটেছে, তাতে দোষীদের কঠোর শাস্তি  চাইছেন ভোলানাথ বাবুও।

Rudra Narayan Roy