আগরতলা: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি মানুষের বিশ্বাস উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে বলে দাবি করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। তাঁর অভিযোগ, সমস্যা তৈরি করে রাজ্য শাসন করে গিয়েছে সিপিএম কংগ্রেস। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে কোন গুরুত্ব দেয়নি তারা। কিন্তু ভারতীয় জনতা পার্টি প্রকৃত অর্থে মানুষের সার্বিক কল্যাণে বিশ্বাস করে। এর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে মানুষের।
আসন্ন নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থীরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়যুক্ত হবেন। লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে পূর্ব ত্রিপুরা আসনে ভারতীয় জনতা পার্টি মনোনীত প্রার্থী কৃতি সিং দেববর্মার সমর্থনে কল্যাণপুরে আয়োজিত নির্বাচনী সভায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। কল্যাণপুর – প্রমোদনগর মণ্ডলের উদ্যোগে স্থানীয় লোটাস কমিউনিটি হলে এ দিন বিশিষ্টজনদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ১৯৯৪ সালে ৫ হাজারে কেনা SBI শেয়ার, হঠাৎ খুঁজে পেলেন চিকিৎসক! ঘরে এল কত লক্ষ?
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে ৭০ এর দশকের পরিস্থিতি আমরা দেখেছি। কী পরিস্থিতি কায়েম করে রেখেছিল? ভারতীয় জনতা পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে রাজ্যের কী অবস্থা ছিল? রাজ্যের সব জায়গাতেই একটা আতঙ্কের পরিবেশ কায়েম করে রেখেছিল। তাদের লক্ষ্যই ছিল রাজনীতি করতে হবে, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করে রাখতে হবে। যেন তেন প্রকারে সরকারে টিকে থাকাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারপর যা মনে ধরবে সেটাই করব – এই ভাবনাই ছিল তাদের। যাদের ভোটে জয়ী হয়েছি তাদের চিন্তা কম কর, আর নিজের চিন্তাটাই বেশি কর। এই রাজনীতিই আমরা এতদিন প্রত্যক্ষ করে এসেছি।’
কংগ্রেস এবং সিপিএমকে আক্রমণ করে মানিক সাহা আরও বলেন, ‘আগের কংগ্রেস বা কমিউনিস্ট নেই আর এখন। এক অদ্ভূত দর্শন সৃষ্টি করেছে তারা। মানুষকে দমন করে চলা এবং মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ না করা তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য হয়েছে। সমস্যা সৃষ্টি করেই তারা মসনদে থাকতে চেয়েছে। তারা এখন কংগ্রেস সিপিএম জোট বলতে লজ্জাবোধ করে। তাই বলছে ইন্ডিয়া জোট।’