ওষুধের দাম বাড়ছে হুহু করে, অন্য চিকিৎসায় ঝুঁকছে মানুষ, রোগীদের সিদ্ধান্তে সঙ্কট

Medicine Price Hike: ওষুধের দাম বাড়ছে হুহু করে, অন্য চিকিৎসায় ঝুঁকছে মানুষ, আর্থিক চিন্তায় একী সিদ্ধান্ত রোগীদের! চরম সঙ্কট

কলকাতা: মানুষের ব্যবহৃত ওষুধ মোটামুটি দু ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমটি হল ‘অফিসিয়াল ব্র্যান্ডেড ড্রাগ’, দ্বিতীয়টি হল ‘জেনেরিক ড্রাগ’। প্রতি বছর ১০-১২ শতাংশ হারে অফিসিয়াল ব্র্যান্ডেড ড্রাগের দাম বাড়ে। সঙ্গে জেনেরিকের দাম তুলনায় একটু কম বাড়ে। প্রচুর মানুষ ‘জেনেরিক ড্রাগে’র ওপর নির্ভর করছে। একটাই কারণ, ‘অফিসিয়াল ব্র্যান্ডেড’ ওষুধের থেকে অন্ততপক্ষে তিন-ছয় গুণ পর্যন্ত কম দাম জেনেরিক ওষুধের। আবার এবছর ওষুধের দাম বাড়বে। রীতিমতো ওষুধ দোকানদারদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঘটনা।

কলকাতা-১ এর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান স্বপন দত্ত বলেন, ”প্রতি বছরই ওষুধের দাম বাড়ে। আমাদের দেশে প্রচুর মানুষ রয়েছে, যারা বেশ কয়েকটি ওষুধ প্রতিদিন নিয়মিত খান। যেমন ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টরেল, মধুমেহ, অ্যান্টাসিড প্রভৃতি। যার ফলে শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রোগী ‘অফিসিয়াল ব্র্যান্ডেড’ ওষুধ ব্যবহার করছে না।ফলে ওষুধ দোকানের বিক্রি কমেছে।”

আরও পড়ুন: সারাদিন এসি-তে বসে? গরমের হাত থেকে বাঁচতে গিয়ে আরও ভয়ঙ্কর ক্ষতি! ঘণ্টার পর ঘণ্টা শীতল ঘর আপনার শরীরে যা ঘটাচ্ছে…!

তাহলে সেই রোগীরা গেল কোথায়? তাদের তো ওষুধ খেতে হচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে স্বপন বাবু জানান, ওই ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ রোগীর বেশিরভাগ অংশটাই কম দামে জেনেরিক ওষুধ কিনে খাচ্ছে। আর বেশ কিছু রোগী, কেউ হোমিওপ্যাথি, কেউ বা আয়ুর্বেদিক ওষুধের উপর নির্ভর করছে। এমনও তথ্য রয়েছে, হাসপাতালে বিনা পয়সায় ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।সঙ্গে এমনও মানুষ রয়েছে যারা অর্থের অভাবে ওষুধ খাওয়া কমিয়েছে।

সব মিলিয়ে ‘অফিসিয়াল ব্র্যান্ডেড’ ওষুধ প্রস্তুতকারক কম্পানিগুলোর বিক্রি কমে গেলেও প্রতিবছর ওষুধের দাম বাড়ার ফলে তারা ব্যবসা টিকিয়ে রেখেছে। এক ওষুধ বিক্রেতার কথায়, অফিসিয়াল ব্র্যান্ডেড ওষুধের যা কার্যক্ষমতা, তার থেকে কিছুটা হলেও কম থাকে জেনেরিক ওষুধে।  তবুও আর্থিক কারণে মানুষ অ্যালোপ্যাথি থেকে সরে গিয়ে অন্য কোনও চিকিৎসায় যাচ্ছে। নইলে তারা জেনেরিক ওষুধ খাচ্ছে। প্রতিদিন যেভাবে মানুষ ক্রনিক ডিজিজে আক্রান্ত হচ্ছে, তাতে ওষুধ কিনে খেয়ে সুস্থ থাকাটা অনেকটাই চাপের হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডিপিসিও ( drug price control order) থেকেও সাধারণের কোনও লাভ হচ্ছে না।