টিকিট নিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে দিনমজুর

Mason Becomes Crorepati: পকেটে পড়েছিল মাত্র ৬০টাকা, কপাল ঠুকে কেটে ফেললেন লটারি, কয়েক ঘণ্টায় কোটিপতি এই দীন দরিদ্র

মালদহ: পকেটে ছিল মাত্র ষাট টাকা। বাড়ি ফেরার পথে রাস্তার ধারে লটারি বিক্রি হচ্ছে দেখে সেই টাকায় টিকিট কাটেন। বাড়ি ফিরে অনলাইনে টিকিট মেলাতেই চক্ষু চড়ক গাছ দিন মজুরের। কয়েক ঘটনার ব্যবধানেই একেবার দীন দরিদ্র থেকে হলেন কোটিপতি। এক কোটি টাকা মিলতেই সটান টিকিট নিয়ে হাজির হন পুলিশ ফাঁড়িতে।‌

কর্তব্যরত পুলিশ কর্তারা হাতে জমা দেন এক কোটি  টাকা  পুরস্কার ওঠা ডিয়ার লটারির বিশেষ নম্বরের টিকিট। মালদহের রতুয়ার সামসির মালোপাড়ার বাসিন্দা নুর ইসলাম। পেশায় দিনমজুর। দৈনিক দিন মজুরের কাজ করে কোন রকমে সংসার চলে। কোনওদিন সেই ভাবে ডিয়ার লটারি কাটার নেশা তাঁর ছিল না। গত প্রায় একমাস ধরে মাঝেমধ্যে টিকিট কাটতেন। ইচ্ছে থাকলেও পয়সার অভাবে টিকিট কাটা সম্ভব হয়ে উঠতো না।

এদিন সামসি বাজারে আসেন। বাজার করে ফেরার পথে রাস্তার ধারে দেখেন ডিয়ার লটারি বিক্রি হচ্ছে। পকেটে তখন মাত্র ষাট টাকা ছিল। সেই টাকাতেই তিনি ৩০ টাকা করে পাঁচ সেমের দুইটি লটারি কাটেন। দুপুর একটা নাগাদ খেলা ছিল। বাড়ি ফিরে গিয়ে প্রতিবেশীর মোবাইলে টিকিট মেলান। সেখানেই তিনি দেখেন তার টিকিটে খেলে উঠেছে প্রথম প্রাইজ। আনন্দে আত্মহারা হয়ে তিনি। দেরি না করে টিকিট নিয়ে দ্রুত হাজির হন স্থানীয় সামসি পুলিশ ফাঁড়িতে।

আরও পড়ুন – Harry Singh: ভারতের জার্সিতে খেলা ক্রিকেটারের ছেলে এবার খেলছেন ইংল্যান্ডের জার্সিতে, কিন্তু আপনার যাঁকে বাবা ভাবছেন তিনি কিন্তু বাবা নন

নূর ইসলাম বলেন, ‘টিকিট কাটার নেশা আমার নেই। গত একমাস থেকে মাঝেমধ্যে টিকিট কাটছি। পকেটে মাত্র ৬০ টাকা ছিল। সেই টাকাতেই এদিন টিকিট কাটি। এক কোটি টাকা পেয়েছি। এই টাকায় আমি ভাল একটি বাড়ি তৈরি করব। ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলব।’

দিনমজুরি করে কোন রকমের সংসার চলে। পরিবারে রয়েছে তিন ছেলে সহ বৃদ্ধ বাবা-মা স্ত্রী। এখন তাঁর স্বপ্ন লটারির টাকায় একটি ভাল বাড়ি তৈরি করবেন। তিন ছেলেকে কিছু জমি জায়গা কিনে দেবেন। বাকি টাকায় নিজে একটি ভাল ব্যবসা শুরু করবেন। আগামীতে এই তাঁর স্বপ্ন রয়েছে। তাঁর এক কোটি টাকা পাওয়াই খুশি তার পরিবারের লোকেরা।

Harshit Singh